ঢাকা ১০:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

২০৩০ সাল নাগাদ ৩৪ কোটি নারী চরম দারিদ্র্যের শিকার হবে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:০০:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪৮৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চলমান আর্থ-সামাজিক অবস্থা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সাল নাগাদ ৩৪ কোটির বেশি নারী ও মেয়ে শিশু চরম দারিদ্র্যের শিকার হবে। যা বিশ্বের মোট নারীর আনুমানিক ৮ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদন জাতিসংঘের নারী বিষয়ক সংস্থা ইউএন উইমেন এ তথ্য জানিয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার প্রেক্ষাপটে লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের ঘাটতি সম্পর্কিত চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, চেষ্টা সত্ত্বেও লিঙ্গ সমতা অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে বিশ্ব। শ্রমের ক্ষেত্রে পুরুষদের প্রতি ডলারের বিপরীতে নারীরা আয় করেন অর্ধেকেরও কম। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে প্রতি চারজনের মধ্যে একজন নারী মাঝারি বা গুরুতর খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হবেন।

প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তনের তথ্যও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শতাব্দীর মাঝামাঝি নাগাদ জলবায়ু পরিবর্তন ১৫ কোটি ৮৩ লাখ নারী ও মেয়ে শিশুকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিতে পারে। যা পুরুষ ও ছেলে শিশুদের মোট সংখ্যার চেয়ে এক কোটি ৬০ লাখ বেশি। আর বয়ষ্ক পুরষদের তুলনায় বয়ষ্ক নারীরা বেশি দারিদ্র ও সহিংসতার শিকার বলেও জানানো হয় প্রতিবেদনে।

ইউএন উইমেনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতি বছর অতিরিক্ত ৩৬ হাজার কোটি ডলার প্রয়োজন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

২০৩০ সাল নাগাদ ৩৪ কোটি নারী চরম দারিদ্র্যের শিকার হবে

আপডেট সময় : ০৫:০০:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

চলমান আর্থ-সামাজিক অবস্থা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সাল নাগাদ ৩৪ কোটির বেশি নারী ও মেয়ে শিশু চরম দারিদ্র্যের শিকার হবে। যা বিশ্বের মোট নারীর আনুমানিক ৮ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদন জাতিসংঘের নারী বিষয়ক সংস্থা ইউএন উইমেন এ তথ্য জানিয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার প্রেক্ষাপটে লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের ঘাটতি সম্পর্কিত চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, চেষ্টা সত্ত্বেও লিঙ্গ সমতা অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে বিশ্ব। শ্রমের ক্ষেত্রে পুরুষদের প্রতি ডলারের বিপরীতে নারীরা আয় করেন অর্ধেকেরও কম। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে প্রতি চারজনের মধ্যে একজন নারী মাঝারি বা গুরুতর খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হবেন।

প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তনের তথ্যও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শতাব্দীর মাঝামাঝি নাগাদ জলবায়ু পরিবর্তন ১৫ কোটি ৮৩ লাখ নারী ও মেয়ে শিশুকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিতে পারে। যা পুরুষ ও ছেলে শিশুদের মোট সংখ্যার চেয়ে এক কোটি ৬০ লাখ বেশি। আর বয়ষ্ক পুরষদের তুলনায় বয়ষ্ক নারীরা বেশি দারিদ্র ও সহিংসতার শিকার বলেও জানানো হয় প্রতিবেদনে।

ইউএন উইমেনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতি বছর অতিরিক্ত ৩৬ হাজার কোটি ডলার প্রয়োজন।