ঢাকা ১১:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

হুমকির মুখে ফরিদপুর শহর রক্ষা বাঁধ   

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:১৭:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিশেষ প্রতিনিধি : 

ফরিদপুরের শহর রক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে, যেকোন সময় ফরিদপুর শহর নদীগর্ভে চলে যেতে পারে। শতশত কোটি টাকা খরচ করে ব্লকের মাধ্যমে ফরিদপুরের সিএন্ডবি ঘাট থেকে শুরু করে চরভদ্রাসন উপজেলা, সদরপুর উপজেলা ও ভাঙ্গা উপজেলার পদ্মা নদীর ভাঙন প্রতিরোধ ব্লক বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। পদ্মা নদী ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করেছে ফরিদপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ড । তার মধ্যে অন্যতম ব্লক বাঁধ হচ্ছে ফরিদপুর শহর রক্ষা বাঁধ ।
সম্প্রতি মাস ২ ধরে সদর উপজেলার ফরিদপুর শহর সংলগ্ন ডিগ্রীরচর ইউনিয়নের মদনখালী ও ধলার মোড় এলাকা থেকে প্রতি রাতে অন্ধকারে প্রভাবশালী দুই নেতার নাম ব্যবহার করে শের আলী গং, সাঈদ মীর গং, রাজু গং, রুহুল আমিন গং, দুলাল গং, তুষার গং ডিগ্রীরচর ইউনিয়নের শ্রমিক লীগ নেতা জাহাঙ্গীর শেখ, আরেক শ্রমিক লীগ নেতা সেলিম গংরা যৌথভাবে ফরিদপুর শহর রক্ষা বাঁধ সংলগ্ন এলাকা থেকে ৪ টি গ্রুপে ১২ টি বেকু দিয়ে  শতশত ট্রাক মাটি উত্তোলন করে ১৫/২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে । ক্ষতি হচ্ছে উক্ত এলাকাবাসীর এবং শহর রক্ষা বাঁধ হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে ।
ডিগ্রীরচর এলাকাবাসীরা জানান, উপরোক্ত ব্যক্তিরা প্রভাবশালী ২ নেতার নাম ব্যবহার করে রাতভর মাটি কেটে নিচ্ছে আর ক্ষতি হচ্ছে আমাদের। আমরা রাতে ট্রাকের শব্দে ঘুমাতে পারি না এবং বাড়ি – ঘর বালু কাদায় বিনষ্ট হয়ে যায় ।
মাটি কাটার বিষয়ে শ্রমিক লীগ নেতা জাহাঙ্গীর শেখ , শের আলী , রুহুল আমিন , তুষার গং ,রাজু গংরা জানান , ডিগ্রীরচর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মিন্টু ফকির ও ইউনিয়ন আ. লীগের সভাপতি আবু ফকিরের নেতৃত্বে আমরা এই মাটি বিক্রি করে ওই টাকা দলকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করার জন্য তাদের দিয়ে থাকি । তারা অপর দুই প্রভাবশালী নেতাকে বিভিন্ন প্রকারের সমস্যা হলে তারাই ম্যানেজ করে থাকেন ।
মাটি কাটার বিষয়ে ডিগ্রীরচর ইউনিয়ন চেয়াম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু ফকির জানান , আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না , আমার কথা বলে থাকলে তা মিথ্যা ।
এ বিষয়ে  ডিগ্রীরচর ইউনিয়নের আঃলীগ সভাপতি আবু ফকির জানান, বিষয়টি আমি খোঁজ খবর নিয়ে আপনাকে জানাবো ।
ফরিদপুর জেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক শাহ ইশতিয়াক আরিফ জানান, দলের নাম ভাঙিয়ে মাটি কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই।  তবে যদি আ.লীগের  কোন নেতা যদি এ মাটি কাটার সাথে জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা জানান, নদীর মাটি কে বা কারা কাটলো এ দেখার দায়িত্ব আমার না, এ দায়িত্ব ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের। তার সাথে যোগাযোগ করুন ।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার জানান , নদীর মাটি কাটার বিষয়গুলো ভুমি উন্নয়ন বোর্ড , পানি উন্নয়ন বোর্ড ও নৌ পুলিশ বাহিনীর দেখে রাখার দায়িত্ব । এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরো জানান, আমার পক্ষে রাতে মাটি কাটার সময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সম্ভব নয়। আমি ইতিমধ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে কয়েকটি বেকু চেয়ারম্যানের নিকট জব্দ করে  জিম্মা রেখে এসেছি । আমি আবার এ বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখবো ।
বা/খ: এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

হুমকির মুখে ফরিদপুর শহর রক্ষা বাঁধ   

আপডেট সময় : ০৬:১৭:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি : 

ফরিদপুরের শহর রক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে, যেকোন সময় ফরিদপুর শহর নদীগর্ভে চলে যেতে পারে। শতশত কোটি টাকা খরচ করে ব্লকের মাধ্যমে ফরিদপুরের সিএন্ডবি ঘাট থেকে শুরু করে চরভদ্রাসন উপজেলা, সদরপুর উপজেলা ও ভাঙ্গা উপজেলার পদ্মা নদীর ভাঙন প্রতিরোধ ব্লক বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। পদ্মা নদী ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করেছে ফরিদপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ড । তার মধ্যে অন্যতম ব্লক বাঁধ হচ্ছে ফরিদপুর শহর রক্ষা বাঁধ ।
সম্প্রতি মাস ২ ধরে সদর উপজেলার ফরিদপুর শহর সংলগ্ন ডিগ্রীরচর ইউনিয়নের মদনখালী ও ধলার মোড় এলাকা থেকে প্রতি রাতে অন্ধকারে প্রভাবশালী দুই নেতার নাম ব্যবহার করে শের আলী গং, সাঈদ মীর গং, রাজু গং, রুহুল আমিন গং, দুলাল গং, তুষার গং ডিগ্রীরচর ইউনিয়নের শ্রমিক লীগ নেতা জাহাঙ্গীর শেখ, আরেক শ্রমিক লীগ নেতা সেলিম গংরা যৌথভাবে ফরিদপুর শহর রক্ষা বাঁধ সংলগ্ন এলাকা থেকে ৪ টি গ্রুপে ১২ টি বেকু দিয়ে  শতশত ট্রাক মাটি উত্তোলন করে ১৫/২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে । ক্ষতি হচ্ছে উক্ত এলাকাবাসীর এবং শহর রক্ষা বাঁধ হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে ।
ডিগ্রীরচর এলাকাবাসীরা জানান, উপরোক্ত ব্যক্তিরা প্রভাবশালী ২ নেতার নাম ব্যবহার করে রাতভর মাটি কেটে নিচ্ছে আর ক্ষতি হচ্ছে আমাদের। আমরা রাতে ট্রাকের শব্দে ঘুমাতে পারি না এবং বাড়ি – ঘর বালু কাদায় বিনষ্ট হয়ে যায় ।
মাটি কাটার বিষয়ে শ্রমিক লীগ নেতা জাহাঙ্গীর শেখ , শের আলী , রুহুল আমিন , তুষার গং ,রাজু গংরা জানান , ডিগ্রীরচর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মিন্টু ফকির ও ইউনিয়ন আ. লীগের সভাপতি আবু ফকিরের নেতৃত্বে আমরা এই মাটি বিক্রি করে ওই টাকা দলকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করার জন্য তাদের দিয়ে থাকি । তারা অপর দুই প্রভাবশালী নেতাকে বিভিন্ন প্রকারের সমস্যা হলে তারাই ম্যানেজ করে থাকেন ।
মাটি কাটার বিষয়ে ডিগ্রীরচর ইউনিয়ন চেয়াম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু ফকির জানান , আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না , আমার কথা বলে থাকলে তা মিথ্যা ।
এ বিষয়ে  ডিগ্রীরচর ইউনিয়নের আঃলীগ সভাপতি আবু ফকির জানান, বিষয়টি আমি খোঁজ খবর নিয়ে আপনাকে জানাবো ।
ফরিদপুর জেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক শাহ ইশতিয়াক আরিফ জানান, দলের নাম ভাঙিয়ে মাটি কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই।  তবে যদি আ.লীগের  কোন নেতা যদি এ মাটি কাটার সাথে জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা জানান, নদীর মাটি কে বা কারা কাটলো এ দেখার দায়িত্ব আমার না, এ দায়িত্ব ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের। তার সাথে যোগাযোগ করুন ।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার জানান , নদীর মাটি কাটার বিষয়গুলো ভুমি উন্নয়ন বোর্ড , পানি উন্নয়ন বোর্ড ও নৌ পুলিশ বাহিনীর দেখে রাখার দায়িত্ব । এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরো জানান, আমার পক্ষে রাতে মাটি কাটার সময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সম্ভব নয়। আমি ইতিমধ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে কয়েকটি বেকু চেয়ারম্যানের নিকট জব্দ করে  জিম্মা রেখে এসেছি । আমি আবার এ বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখবো ।
বা/খ: এসআর।