ঢাকা ০৩:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

হাওরে উড়াল সড়ক নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন একনেকে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১৫:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
মোঃ হেলাল উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
মহামান্য রাষ্ট্রপতি এডঃ আব্দুল হামিদের জন্মস্থান , কিশোরগঞ্জের রূপসী  হাওড় অঞ্চলে উড়াল সড়ক নির্মাণের  একটি প্রকল্প হাতে  নিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার।
দেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানা যায়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গত মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকায় শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে  প্রকল্পটি চুড়ান্ত ভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। হাওড় অঞ্চলের অবকাঠামোগত উন্নয়নের লক্ষ্যে  ডেল্টাপ্ল্যানের সংগতি  রেখে, দীর্ঘ সময় পরীক্ষা নীরিক্ষা পর হাওড় এলাকায় আকস্মিক বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনায় ( অ্যাটগ্রেড) জমিতে ভাসমান সড়কের পরিবর্তে উড়াল সড়ক নির্মাণের প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয় ।কিশোরগঞ্জ জেলার প্রত্যন্ত হাওর অঞ্চল মিঠামইন উপজেলা সদর থেকে নির্মানাধীন  সেনানিবাসকে  সংযুক্ত করে, করিমগঞ্জ উপজেলার গুনধর ইউনিয়নের মরিচখালী পর্যন্ত হাওড়ের উপর দিয়ে ১৫ দশমিক ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়াল সড়ক নির্মাণ করা হবে। এ প্রকল্পে সরকারের  ব্যয় হবে মোট ৫ হাজার ৬শ’ ৫১ কোটি ১৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।  উড়াল সড়ক নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় এ কাজ বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
প্রকল্প এলাকা হচ্ছে, কিশোরগঞ্জ জেলা সদর, করিমগঞ্জ, নিকলী ও মিঠামইন উপজেলা। উড়াল সড়ক প্রকল্পটির প্রধান লক্ষ্যে  মিঠামইন উপজেলা সদর থেকে মিঠামইন সেনানিবাসকে সংযুক্ত করে করিমগঞ্জ পর্যন্ত হাওড়ের ওপর দিয়ে ১৫ দশমিক ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়াল সড়ক নির্মাণ। এছাড়াও কিশোরগঞ্জ জেলা সদরে যাতায়াতের মুল সড়ক  নাকভাঙ্গা মোড় থেকে মরিচখালী বাজার পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৪০ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণের মাধ্যমে ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলাসহ এর আশেপাশের হাওড় এলাকার সাথে  কিশোরগঞ্জ জেলা সদর এবং ঢাকা, সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ জেলার অঞ্চলে  সরাসরি ও নিরবচ্ছিন্ন ভাবে সকল  আবহাওয়ায় চলাচলের জন্য উপযোগী সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা । প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে ১৩ দশমিক ৪০ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণ, ১৫ দশমিক ৩১ কিলোমিটার উড়াল সড়ক নির্মাণ, এক হাজার ২৩০ মিটার সেতু নির্মাণ (৪৩০ মিটার দৈর্ঘ্যরে দুটি, ৩৩০ মিটার দৈর্ঘ্যরে একটি এবং ৪০ মিটার দৈর্ঘ্যরে একটি), ১৩টি টোল প্লাজা (টোল বুথ ওজন স্টেশন ও টোল যন্ত্রপাতিসহ), টোল মনিটরিং ভবন, চেক পোস্ট ইত্যাদি নির্মাণ ।
এছাড়া ১৩ কিলোমিটার অস্থায়ী সাব-মারসিবল সড়ক নির্মাণ, চারটি ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন (শোধনাগারসহ), চারটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ, ৪০ হাজার ৪৬৮ বর্গমিটার কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড, আট হাজার ২২৪ বর্গমিটার বাস স্টপ নির্মাণ, ১৫১ দশমিক ০৯ একর ভূমি অধিগ্রহণ কাজ করা হবে। প্রকল্পটি ২০২৮ সালের জুনের মধ্যে শেষ করতে চায় সেতু বিভাগ। উড়ালসড়ক নির্মিত হলে স্থানীয় পর্যটন বিকশিত হবে। হাওড় অঞ্চলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়বে। হাওড়ে  পর্যটন সম্ভাবনা সহ অর্থনৈতিক চাকা বৃদ্ধি পাবে ঐতিহাসিক  এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
বা/খ: এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

হাওরে উড়াল সড়ক নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন একনেকে

আপডেট সময় : ০৩:১৫:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩
মোঃ হেলাল উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
মহামান্য রাষ্ট্রপতি এডঃ আব্দুল হামিদের জন্মস্থান , কিশোরগঞ্জের রূপসী  হাওড় অঞ্চলে উড়াল সড়ক নির্মাণের  একটি প্রকল্প হাতে  নিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার।
দেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানা যায়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গত মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকায় শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে  প্রকল্পটি চুড়ান্ত ভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। হাওড় অঞ্চলের অবকাঠামোগত উন্নয়নের লক্ষ্যে  ডেল্টাপ্ল্যানের সংগতি  রেখে, দীর্ঘ সময় পরীক্ষা নীরিক্ষা পর হাওড় এলাকায় আকস্মিক বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনায় ( অ্যাটগ্রেড) জমিতে ভাসমান সড়কের পরিবর্তে উড়াল সড়ক নির্মাণের প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয় ।কিশোরগঞ্জ জেলার প্রত্যন্ত হাওর অঞ্চল মিঠামইন উপজেলা সদর থেকে নির্মানাধীন  সেনানিবাসকে  সংযুক্ত করে, করিমগঞ্জ উপজেলার গুনধর ইউনিয়নের মরিচখালী পর্যন্ত হাওড়ের উপর দিয়ে ১৫ দশমিক ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়াল সড়ক নির্মাণ করা হবে। এ প্রকল্পে সরকারের  ব্যয় হবে মোট ৫ হাজার ৬শ’ ৫১ কোটি ১৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।  উড়াল সড়ক নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় এ কাজ বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
প্রকল্প এলাকা হচ্ছে, কিশোরগঞ্জ জেলা সদর, করিমগঞ্জ, নিকলী ও মিঠামইন উপজেলা। উড়াল সড়ক প্রকল্পটির প্রধান লক্ষ্যে  মিঠামইন উপজেলা সদর থেকে মিঠামইন সেনানিবাসকে সংযুক্ত করে করিমগঞ্জ পর্যন্ত হাওড়ের ওপর দিয়ে ১৫ দশমিক ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়াল সড়ক নির্মাণ। এছাড়াও কিশোরগঞ্জ জেলা সদরে যাতায়াতের মুল সড়ক  নাকভাঙ্গা মোড় থেকে মরিচখালী বাজার পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৪০ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণের মাধ্যমে ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলাসহ এর আশেপাশের হাওড় এলাকার সাথে  কিশোরগঞ্জ জেলা সদর এবং ঢাকা, সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ জেলার অঞ্চলে  সরাসরি ও নিরবচ্ছিন্ন ভাবে সকল  আবহাওয়ায় চলাচলের জন্য উপযোগী সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা । প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে ১৩ দশমিক ৪০ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণ, ১৫ দশমিক ৩১ কিলোমিটার উড়াল সড়ক নির্মাণ, এক হাজার ২৩০ মিটার সেতু নির্মাণ (৪৩০ মিটার দৈর্ঘ্যরে দুটি, ৩৩০ মিটার দৈর্ঘ্যরে একটি এবং ৪০ মিটার দৈর্ঘ্যরে একটি), ১৩টি টোল প্লাজা (টোল বুথ ওজন স্টেশন ও টোল যন্ত্রপাতিসহ), টোল মনিটরিং ভবন, চেক পোস্ট ইত্যাদি নির্মাণ ।
এছাড়া ১৩ কিলোমিটার অস্থায়ী সাব-মারসিবল সড়ক নির্মাণ, চারটি ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন (শোধনাগারসহ), চারটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ, ৪০ হাজার ৪৬৮ বর্গমিটার কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড, আট হাজার ২২৪ বর্গমিটার বাস স্টপ নির্মাণ, ১৫১ দশমিক ০৯ একর ভূমি অধিগ্রহণ কাজ করা হবে। প্রকল্পটি ২০২৮ সালের জুনের মধ্যে শেষ করতে চায় সেতু বিভাগ। উড়ালসড়ক নির্মিত হলে স্থানীয় পর্যটন বিকশিত হবে। হাওড় অঞ্চলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়বে। হাওড়ে  পর্যটন সম্ভাবনা সহ অর্থনৈতিক চাকা বৃদ্ধি পাবে ঐতিহাসিক  এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
বা/খ: এসআর।