হাওর নদী বিল জলাশয় ও সবুজ তৃণরাজি বেষ্টিত যার পরতে পরতে রয়েছে সাহিত্য ভান্ডার সেই ঐতিহ্যবাহী কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলা সদর দক্ষিণে কুর্শা গ্রামে ৩১শে জুলাই ১৯৬২ সালে কবি ছিদ্দিকুর রহমান আনারের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম। পিতা মোঃ মজিবুর রহমান জুমু মাতা ফজিলাতুন্নেছা অণু। পেশাঃ শিক্ষকতা, বাজিতপুর উপজেলায় বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে অবসর গ্রহণ করেছন। তিনি শিক্ষক, সংগঠক, কবি, গীতিকার, প্রাবন্ধিক, গল্প লেখক ও গবেষক ।
তার লেখা গ্রন্থসমূহ হলো – ( ১) কবিতার কন্ঠ, ( ২) বিশ্ব জুড়ে মহামারী, (৩) একুশে বই মেলা, ( ৪) বাংলার বরেণ্য কবি, (৫) ৬৪ জেলার কবি, (৬) ৭১ এর গল্প ( গল্পগ্রন্থ), (৭) জলে ধোয়া, (৮) কাব্য নীড়, ( ৯) কবিতার ফাইল, (১০) কাব্য তরঙ্গ, (১১) মনের রিংটোন, (১২) বিশ্বময় বাংলা, (১৩) বনানী কাব্য সম্ভার, (১৪) কাব্যযৌথ সম্পাদনা ভাটির টানে, (১৪) একক সম্পাদনায় ভাটির কন্যার চাহনি ( ১) নিকলীর ইতিহাস ও ঐতিহ্যের, ( ১৫ ) ইসলামিক ছন্দ বস্ত অভিব্যক্তি, (১৬) শিশুতোষ ছড়া পড় । ২০২৩ সালের বই মেলায় তার আরও চারটি বই প্রকাশিত হয়েছে । সেগুলো হলো ( ১) ভাটির কন্যার সাজ (কাব্য গ্রন্থ) (২) কুসংস্কার (প্রবন্ধ গ্রন্থ) (৩) নীলাচল (ভ্রমণ কাহিনী) ও (৪) ভাটি বাংলা (কাব্য গ্রন্থ) ।
তার অসংখ্য কবিতা ও প্রবন্ধ বিভিন্ন পত্র প্রত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এবং সম্মাননা ও পদক পেয়েছেন । তিনি ভাটির দর্পণ সাহিত্য পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, ডাক বাংলা সাহিত্য একাডেমির সিনিয়র সহ-সভাপতি, ও বনানী সাহিত্য পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জাতীয় লেখক ও শিল্পী পরিষদ সম্মানিত উপদেষ্টা এবং ভারতীয় বাংলা ভাষা সংরক্ষণ পরিষদের গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বাজিতপুর শাখার সাবেক সাধারন সম্পাদক (দীর্ঘ পনের বছর পর্যন্ত ছিলেন) এবং বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কিশোরগঞ্জ জেলার শাখার সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি আলহাজ্ব জামাল হোসেন গণপাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এবং কুর্শা পল্লী কানন বিদ্যানিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা। ব্যাক্তি জীবনে তিনি তিন কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক।