শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংলাপের আশার প্রদীপ এখনও নেভেনি: কাদের রাসিক নির্বাচনে ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী জনির প্রচার মিছিলে জনতার ঢল নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বরফ কল চালু : বন্ধ করলো নৌ-পুলিশ কোরবানি ঈদ সামনে পাবনা-সিরাজগঞ্জে ভেজাল ভুসি ও ওষুধের রমরমা ব্যবসা রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প :২ লক্ষ ৯৮ হাজার টাকার যন্ত্রাংশসহ ৪ চোর আটক  মীরসরাইয়ে লোকালয় থেকে বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার তালায় কনের পিতাকে জরিমানা, পালিয়েছে বর! শাহজাদপুরে প্রফেসর ডা.এমএ মতিন ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন ‘সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বের সেরা হবে’ বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রয়োজন নেই: তথ্যমন্ত্রী সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে : মির্জা ফখরুল পদযাত্রা কর্মসূচির রুট ঘোষণা করেছে বিএনপি ট্রাক-ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪ কাপ্তাইয়ের মোশাররফ রাঙ্গামাটি জেলার শ্রেষ্ঠ ইমাম নির্বাচিত  চিলমারীতে জাতীয় শ্রমিকলীগের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত 

হতদরিদ্রের ভরসা বালু চরের কমদামি পোশাক হাট

ফয়সাল হক, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) থেকেঃ 
দেশের বাজারে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে বিপাকে পড়েছেন কুড়িগ্রামরে চিলমারীর খেটে খাওয়া দিনমজুররা। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। বর্তমানে তাদের বালুচরের কমদামের দোকানই ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এসব দোকানেও প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে কিছুটা। তারপরও খেটে খাওয়া মানুষের স্বস্তির বাজার হয়ে আশা জাগিয়েছে এসব কমদামের দোকান গুলো। সীমিত লাভে বিক্রি হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় কাপড়। সপ্তাহে রবিবার ও বুধবার বসে এ হাট। এখানে বিশেষ করে চরাঞ্চলের খেটে খাওয়া দিনমজুররাই পোষাক কিনছেন কমদামের  দোকান থেকে।
চরশাখাহাতী থেকেু বালুচরে বসে থাকা দোকানে কাপড় কিনতে আশা তারা বেগম বলেন, ‘ছোট ছেলেকে সাথে নিয়ে এসেছি। নতুন কাপড় কিনে দিতে। আমরা তো বড় বড় দোকান থেকে কাপড় কিনতে পারি না। আমরা এখানে যে পোষাক কিনি ১শ’ থেকে ২শ’ টাকা আর বড় সব দোকানে গেলে দাম আরও বেশি দিয়ে নিতে হয়। যা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। এসব দোকানে যদিও কাপড়ের মান একটু কম তারপরেও এসবই আমাদের ভরসা।’
চরগুজিমারী থেকে ছক্কু মিয়া এই হাটে এসেছে বাজার করতে । তিনি কমদামী এই সব দোকানে গিয়ে একটি গামছা কিনলেন ৫০টাকা দিয়ে। অথচ এই গামছা টি থানাহাট বাজারের কোন এক দোকানে নিলে ৭০ থেকে ৮০টাকা গুনতে হতো। তাই বালু চরের এই কাপড়ের দোকানই আমাদের ভরসা। উপজেলার রমনা ইউনিয়নের জোড়গাছ বাজারের সামনে বিশাল বালুচরে সপ্তাহের রবিবার ও বুধবার বসে এই হাট । এখানে অষ্টমীরচর, নয়ারহাট, চিলমারী ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক চরের মানুষ আসেন বাজারে কেনা বেচা  করতে। সাশ্রয়ী মূল্যে কেনা বেচা করেন চরাঞ্চলের বিভিন্ন মৌসুমের ফসল। শতবর্ষী এই হাটটি এই অঞ্চলের অর্থনৈতিকভাবে বেশ সহযোগীতা করে। এই হাটে শুধু এ উপজেলা ব্যাতিত আশপাশের  বেশ কয়েকটি এলাকার মানুষও আসেন পণ্য কেনা বেচা করতে। সরেজমিনে দিনব্যাপী রবিবার এ হাট ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। দেখা গেছে বিস্তৃর্ণ চরের বিশাল এক হাট বসে। হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে এই হাটে।
খোলা বাজারের কমদামের কাপড়ের দোকানের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাচ্চাদের ছোট প্যান্ট ২০টাকা, বড় প্যান্ট ২৫ থেকে ৩০টাকা। টি-শার্ট ২০ থেকে ৪০টাকা প্রতি পিচ। লুঙ্গি ৩শ’ থেকে ৫শ’ টাকা, গামছা বিক্রি হচ্ছে ৫০/১০০টাকা। উলিপর থেকে আসা কাপড় ব্যবসায়ী সাইফুল রহমান বলেন, তিনি প্রতি হাটে এখানে কাপড়ের দোকান দেন । প্রতি হাটে প্রায় ১ থেকে ২ হাজার টাকা বিক্রি হয়। এখানে বেশির ভাগ ক্রেতা চর অঞ্চলের মানুষ।
সীমিত লাভে এখানে কাপড় বিক্রি করেন জোড়গাছ ভট্টপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুল করিম । তিনি জানান, বড় বড় সব দোকানের তুলনায় এখানে কম দামে কাপড় বিক্রি করি। সপ্তাহে দুই দিন এই হাটে কাপড় কেনা বেচা হয়। অনেকেই আসেন চর থেকে তাদেও কাছে আমরা সীমিত লাভে কাপড় বিক্রি করি।
বা/খ: এসআর।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *