ঢাকা ১১:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

স্পিকারের সঙ্গে টনি ব্লেয়ারের সাক্ষাৎ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:২৪:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৪৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং টনি ব্লেয়ার ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল চেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান নির্বাহী চেয়ারম্যান টনি ব্লেয়ার।

শনিবার (৪ মার্চ) জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন তারা।

সাক্ষাৎকালে তারা একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে যুক্তরাজ্যের অবদান, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিকাশ, বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সুদীর্ঘ ২৩ বছর লড়াই-সংগ্রাম করেছেন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। ১৯৪৮ সালে ভাষার জন্য শুরু হয় প্রতিবাদ-আন্দোলন, আর শেষ হয় ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে শুরু হয় বাংলাদেশের কালো অধ্যায়। কালো আইন সংযোজনের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে রচিত সংবিধানের কাঁটা-ছেঁড়া। এরপরেও সহযাত্রীর মনোভাব নিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের বিকাশে কাজ করে যাচ্ছেন।

১৯৭৩ সালে বাংলাদেশে মহান জাতীয় সংসদ যাত্রা শুরু করে উল্লেখ করে যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে স্পিকার জানান, এবছর বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করতে যাচ্ছে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ গণতন্ত্র চর্চার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ়। এসময় টনি ব্লেয়ার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন কমনওয়েলথ স্কলারশিপের অধীনে ইউনিভার্সিটি অব অ্যাসেক্স হতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের স্মৃতিচারণ করেন স্পিকার।

এসময় বাংলাদেশকে যুক্তরাজ্যের অকৃত্রিম বন্ধু উল্লেখ করে টনি ব্লেয়ার বলেন, পপ সঙ্গীতের জনপ্রিয় ইংল্যান্ডের শিল্পী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে ১৯৭১ সালের ১ আগস্ট ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ আয়োজন করে, যা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশ্ব জনমত গঠনে ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মাসেতু বাস্তবায়নসহ উন্নয়নশীল দেশে বাংলাদেশের উত্তরণ অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন, নারীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনজীবন সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিবেচনায় ডেল্টা প্লান ২১০০ গ্রহণসহ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এসময় বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় যুক্তরাজ্যের অধিকতর সহযোগিতা কামনা করেন স্পিকার।

বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন টনি ব্লেয়ার। এসময় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

স্পিকারের সঙ্গে টনি ব্লেয়ারের সাক্ষাৎ

আপডেট সময় : ০৩:২৪:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং টনি ব্লেয়ার ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল চেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান নির্বাহী চেয়ারম্যান টনি ব্লেয়ার।

শনিবার (৪ মার্চ) জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন তারা।

সাক্ষাৎকালে তারা একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে যুক্তরাজ্যের অবদান, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিকাশ, বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সুদীর্ঘ ২৩ বছর লড়াই-সংগ্রাম করেছেন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। ১৯৪৮ সালে ভাষার জন্য শুরু হয় প্রতিবাদ-আন্দোলন, আর শেষ হয় ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে শুরু হয় বাংলাদেশের কালো অধ্যায়। কালো আইন সংযোজনের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে রচিত সংবিধানের কাঁটা-ছেঁড়া। এরপরেও সহযাত্রীর মনোভাব নিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের বিকাশে কাজ করে যাচ্ছেন।

১৯৭৩ সালে বাংলাদেশে মহান জাতীয় সংসদ যাত্রা শুরু করে উল্লেখ করে যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে স্পিকার জানান, এবছর বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করতে যাচ্ছে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ গণতন্ত্র চর্চার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ়। এসময় টনি ব্লেয়ার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন কমনওয়েলথ স্কলারশিপের অধীনে ইউনিভার্সিটি অব অ্যাসেক্স হতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের স্মৃতিচারণ করেন স্পিকার।

এসময় বাংলাদেশকে যুক্তরাজ্যের অকৃত্রিম বন্ধু উল্লেখ করে টনি ব্লেয়ার বলেন, পপ সঙ্গীতের জনপ্রিয় ইংল্যান্ডের শিল্পী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে ১৯৭১ সালের ১ আগস্ট ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ আয়োজন করে, যা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশ্ব জনমত গঠনে ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মাসেতু বাস্তবায়নসহ উন্নয়নশীল দেশে বাংলাদেশের উত্তরণ অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন, নারীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনজীবন সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিবেচনায় ডেল্টা প্লান ২১০০ গ্রহণসহ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এসময় বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় যুক্তরাজ্যের অধিকতর সহযোগিতা কামনা করেন স্পিকার।

বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন টনি ব্লেয়ার। এসময় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।