ঢাকা ০১:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সোনালি আঁশ পাট বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল : প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২০:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৫২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সোনালি আঁশ পাট বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল। পাটখাত দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী অন্যতম ক্ষেত্র।

সোমবার (৬ মার্চ) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় ‘জাতীয় পাট দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে রোববার (৫ মার্চ) এক বাণীতে এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, পাটখাত দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির হাতিয়ার হিসেবে স্বীকৃত শ্রমঘন পাটখাত দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশব্যাপী ৬ মার্চ ‘জাতীয় পাট দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। এ আয়োজন উপলক্ষে শেখ হাসিনা পাটচাষি, পাটশিল্পের শ্রমিক-কর্মচারী, উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ীসহ উৎপাদন এবং বিপণনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

এ বছর পাট দিবসের প্রতিপাদ্য ‘পাট শিল্পের অবদান স্মার্ট-বাংলাদেশ বিনির্মাণ’।

শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাটশিল্পের উন্নয়নে নানামুখী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের চলমান পৃষ্ঠপোষকতা পাটখাতের হারানো ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার করার সঙ্গে সঙ্গে এখাতকে অধিক সমৃদ্ধশালী করতে সক্ষম হয়েছে। বিশ্বব্যাপী পরিবেশের ওপর প্লাস্টিক ও পলিথিনের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি হওয়ায় বিকল্প প্রাকৃতিক তন্তু হিসেবে পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, ‘পাট চাষে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি, দেশীয়-আন্তর্জাতিক বাজারে পাট-পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি ও বিশ্বব্যাপী সোনালি আঁশের উজ্জ্বল সম্ভাবনা তুলে ধরার লক্ষ্যে পাটপণ্যকে ‘বর্ষপণ্য ২০২৩’ এবং পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এরইমধ্যে ‘পণ্যে পাটজাতমোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’, ‘পাট আইন, ২০১৭’, ‘জাতীয় পাটনীতি, ২০১৮’ এবং ‘চারকোল নীতিমালা ২০২২’ প্রণয়ন পাটখাতের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ নীতি সহায়তা হিসেবে কাজ করছে। পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের সরকার বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্ভাবন ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করছে। আমি আশা করি, বাংলাদেশের বহুমুখী পাটপণ্য একদিন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে।’

আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৪ বছর ধরে মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বুকে ‘রোল মডেল’। আমরা মাতৃভূমিকে ‘উন্নয়নশীল’ দেশের কাতারে নিয়ে এসেছি। আমাদের উন্নয়নের এ গতিধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। প্রতিষ্ঠিত হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ তথা জাতির পিতার আজীবন লালিত স্বপ্ন ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলাদেশ’।

পাটচাষিদের অত্যন্ত পরিশ্রমী উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার বিশ্বাস বাংলাদেশের মাটি এই অর্থকরী ফসল চাষের বিশেষ উপযোগী। সুতরাং আমাদের শ্রম, মেধা, গবেষণালব্ধ ফল, পাটের বহুমুখী পণ্যের সম্ভার, সম্প্রসারণশীল বাজার এবং সরকারি-বেসরকারি সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় পাটখাত উত্তরোত্তর এগিয়ে যাবে।

প্রধানমন্ত্রী ‘জাতীয় পাট দিবস ২০২৩’-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

সোনালি আঁশ পাট বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১১:২০:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সোনালি আঁশ পাট বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল। পাটখাত দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী অন্যতম ক্ষেত্র।

সোমবার (৬ মার্চ) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় ‘জাতীয় পাট দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে রোববার (৫ মার্চ) এক বাণীতে এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, পাটখাত দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির হাতিয়ার হিসেবে স্বীকৃত শ্রমঘন পাটখাত দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশব্যাপী ৬ মার্চ ‘জাতীয় পাট দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। এ আয়োজন উপলক্ষে শেখ হাসিনা পাটচাষি, পাটশিল্পের শ্রমিক-কর্মচারী, উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ীসহ উৎপাদন এবং বিপণনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

এ বছর পাট দিবসের প্রতিপাদ্য ‘পাট শিল্পের অবদান স্মার্ট-বাংলাদেশ বিনির্মাণ’।

শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাটশিল্পের উন্নয়নে নানামুখী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের চলমান পৃষ্ঠপোষকতা পাটখাতের হারানো ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার করার সঙ্গে সঙ্গে এখাতকে অধিক সমৃদ্ধশালী করতে সক্ষম হয়েছে। বিশ্বব্যাপী পরিবেশের ওপর প্লাস্টিক ও পলিথিনের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি হওয়ায় বিকল্প প্রাকৃতিক তন্তু হিসেবে পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, ‘পাট চাষে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি, দেশীয়-আন্তর্জাতিক বাজারে পাট-পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি ও বিশ্বব্যাপী সোনালি আঁশের উজ্জ্বল সম্ভাবনা তুলে ধরার লক্ষ্যে পাটপণ্যকে ‘বর্ষপণ্য ২০২৩’ এবং পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এরইমধ্যে ‘পণ্যে পাটজাতমোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’, ‘পাট আইন, ২০১৭’, ‘জাতীয় পাটনীতি, ২০১৮’ এবং ‘চারকোল নীতিমালা ২০২২’ প্রণয়ন পাটখাতের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ নীতি সহায়তা হিসেবে কাজ করছে। পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের সরকার বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্ভাবন ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করছে। আমি আশা করি, বাংলাদেশের বহুমুখী পাটপণ্য একদিন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে।’

আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৪ বছর ধরে মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বুকে ‘রোল মডেল’। আমরা মাতৃভূমিকে ‘উন্নয়নশীল’ দেশের কাতারে নিয়ে এসেছি। আমাদের উন্নয়নের এ গতিধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। প্রতিষ্ঠিত হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ তথা জাতির পিতার আজীবন লালিত স্বপ্ন ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলাদেশ’।

পাটচাষিদের অত্যন্ত পরিশ্রমী উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার বিশ্বাস বাংলাদেশের মাটি এই অর্থকরী ফসল চাষের বিশেষ উপযোগী। সুতরাং আমাদের শ্রম, মেধা, গবেষণালব্ধ ফল, পাটের বহুমুখী পণ্যের সম্ভার, সম্প্রসারণশীল বাজার এবং সরকারি-বেসরকারি সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় পাটখাত উত্তরোত্তর এগিয়ে যাবে।

প্রধানমন্ত্রী ‘জাতীয় পাট দিবস ২০২৩’-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।