সেনবাগে এক বিদ্যালয়ের ৪৩ এসএসসি ভোকেশনাল শিক্ষার্থীর সকলেই ফেল! ১০ শিক্ষক অবরুদ্ধ
- আপডেট সময় : ১২:১১:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০২২
- / ৪৪২ বার পড়া হয়েছে
কাজী মো. ফখরুল ইসলাম, নোয়াখালী প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বিজবাগ নবকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়ের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনাল এর ৪৩ শিক্ষার্থীর সকলেই ফেল করায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা দুপুর ১টা থেকে বিদ্যালয়টির প্রশসিনিক ভবনের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক সহ ১০ জন শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রেখে দফায় দফায় বিক্ষোভে প্রদর্শন করেছে।
জানা গেছে, এবারই প্রথম বারের মত ওই স্কুল থেকে ৪৩ শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় আংশ নেয়। কিন্তু করোনাকালীন সময় নবম শ্রেণিতে তাদের নিকট থেকে ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং’ বিষটির এ্যাসাইসমেন্ট খাতা বিদ্যালয়ে জমা নিলেও যথা সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও প্রধান শিক্ষক মূল্যায়ন শীট কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে প্রেরণ করেননি। পরবর্তিতে বিষয়টি নিয়ে জটিলতা দেখা দিলে প্রধান শিক্ষক সমস্যা সমাধানের আস্বাস দিয়ে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নিকট থেকে অতিরিক্ত ৭শ’ ৫০ টাকা আদায় করেও এর কোন সুরাহা না করায় বোর্ড কর্তৃপক্ষ অন্য সব বিষয়ে পাশ দেখালেও ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং’ বিষটিতে সকল পরীক্ষার্থীকেই ফেল দেখানো হয়।
শিক্ষার্থীদের এ পরিণতির জন্য প্রধান শিক্ষক মো. হানিফের গাফেলতিকেই দায়ী করলেন সবাই। এ পরিস্থিতি আগে থেকেই বুঝতে পেরে তিনি সকাল থেকেই বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে অবরুদ্ধ সহকারী প্রধান শিক্ষক সাংবাদিকদের বিকেলে জানান, দুপুরে স্কুলে পরীক্ষার ফলাফল আসার পর অনাকাঙ্খিত ৪৩ শিক্ষার্থীর ফেল এবং পরবর্তী উদ্ভুত পরিস্তিতি সম্পর্কে প্রধান শিক্ষককে তাঁর মুঠোফোন (০১৭*****৩০৮) নম্বরে জানালে তিনি অফিসের কাজে বাইরে আছেন বলে কলটি কেটে দেন। পরে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. মজিবুল হক ও শিক্ষার্থীদের এ পরিনতির জন্য প্রধান শিক্ষককেই দুষলেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের সাথে তাদের অভিবাবকরাও দফায় দফায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিল।
সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইকবাল হেসেন পটোয়ারী জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশের একটি দল ঘটনা স্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের দ্রুত সমাধানের আস্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা তালা খুলে শিক্ষকদেরকে অবরোধ মুক্ত করে দেয়।