সিরাজগঞ্জ সলঙ্গায় বিএডিসি খাল-খননে নয়ছয় অভিযোগ কৃষকের
- আপডেট সময় : ১২:০৫:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
- / ৪৫৭ বার পড়া হয়েছে
প্রকল্পের অনিয়মের কথা জানতে গিয়ে নাজেহাল হতে হলো গণমাধ্যম কর্মীদের, কৃষকের জন্য প্রকল্প অথচ তারাই নাখোশ। সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের সলঙ্গায় গাড়াদহ নদী খননে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, কৃষকের দাবি নদীর তলদেশ গভীর করার বদলে ঠিকাদারেরা উলটো নদীর দুইপারের মাটি উপড়ে তুলে ফেলছে, নদীর পার ড্রেসিং না করার ফলে বর্ষায় এই মাটি পুনরায় ঢসে পরে নদী আগের মতই ভরাট হওয়ার আশংকা রয়েছে বলে তাদের ধারণা, আবার বর্ষার পানিতে প্লাবিত হবে আশেপাশের গ্রাম গুলো।
এ দিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ রাতের আধারে ঠিকাদারের লোক এলাকার প্রভাবশালীদের যোগসাজশে বিক্রির করছেন নদী খননের মাটি।
অফিস সুত্রে জানাযায়, জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি আর শুষ্ক মৌসুমে সেচ নিশ্চিত করতে ২০১৯ সালে পাবনা, নাটোর ও সিরাজগঞ্জ অঞ্চলে একটি প্রকল্প নেয় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন বিএডিসি এ প্রকল্পের আওতায় ছোট ছোট নদী খননের লক্ষ নির্ধারণ করা হয়, এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর শুরু হয়েছে সারে সাত কিলোমিটার সলঙ্গা গাড়াদহ নদী খননের কাজ ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার প্রকল্পের কাজ ১৮ জন ঠিকাদার কাজটির কার্যাদেশ পায়।দরপত্রের শর্তানুযায়ী নদীর তলদেশের মাটি ৮ ফুট গভীর করে কাটার কথা থাকলেও তা না মেনে ঠিকাদারের ইচ্ছে মত যেনতেন ভাবে খনন করছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
এদিকে নদী তীরবর্তী মানুষ বলেন, নদী খনন হচ্ছে কৃষকের উন্নয়নের জন্য সেটা তো হবে না কারন যেভাবে খনন হচ্ছে বেশী গর্ত হলো না চৈত্র মাস আসার আগেই নদীতে পানি থাকবে না।
আর এক কৃষক বলেন সরকারী লাখ লাখ টাকা হরিলুট হচ্ছে নদী খনন হচ্ছে না, নদীর পারের মাটি ড্রেসিং না হওয়ায় এক বছরের মধ্যে বৃষ্টি হয়ে দুই পারের মাটি ধসে আগের মতই হয়ে যাবে নদী।
এদিকে ঠিকাদারের লোক বলছেন সিডিউলের সর্ত মেনেই কাজ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, দায়িত্বে থাকা বিএডিসি নির্বাহী প্রকৌশলী চিত্ত রঞ্জন রায় কথা না বলে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে অশোভন আচরণ করে বিদায় নিলেন ঘটনাস্থল থেকে।তবে সহকারী প্রকৌশলী আনন্দ বর্মনের কথায় বোঝা গেল কাজের মান ও অভিযোগের সত্যতা। চলতি বছরের জুন মাসে শেষ হবে প্রকল্পটি।
বাখ//আর