ঢাকা ০৩:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সিভিল প্রসাশনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে কাজ করছে সেনাবাহিনী : সেনাপ্রধান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৪০:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করে সরকারের দেওয়া যেকোনো দায়িত্ব সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে চায় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে সেনাবাহিনী সমন্বয় করে কাজ করতে চায়। বর্তমানে সিভিল প্রসাশনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে কাজ করছে সেনাবাহিনী।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় ও শেষ দিনের প্রথম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

সেনাপ্রধান বলেন, ডিসিদের এটাই বলা হয়েছে যে, সেনাবাহিনী চাইছে বেসামরিক বা সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে আরও নিবিড় সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে। কর্মপদ্ধতির ভিন্নতা রয়েছে, কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য এক। জেলা প্রশাসকদের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীর সহায়তাও চাওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, কয়েকজন জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার স্পষ্ট করে উদাহরণ দিয়ে বলেছেন যে, সেনাবাহিনী কত ভালো কাজ করেছে ও তারা (ডিসিরা) কত খুশি।

সেনাপ্রধান বলেন, আমি গতবারও ব্যক্তিগতভাবে এখানে এসেছি, এবারও আসলাম। কোনো প্রতিনিধি পাঠাইনি। সশরীরে ডিসি সম্মেলনে আমার উপস্থিতি এটিই প্রমাণ করে যে এটিকে (ডিসি সম্মেলন) আমি কতটা গুরুত্ব দিয়েছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, প্রশাসনের সঙ্গে মাঠপর্যায়ে যারা সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখেন, তারা হলেন জেলা প্রশাসক। বিভাগীয় কমিশনররাও আছেন।

তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, প্রশাসনে মাঠ পর্যায়ে যারা সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখেন তারা হলেন ডিসিরা। ডিসিরা আছে, বিভাগীয় কমিশনাররা আছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সরকারের অনেক দায়িত্ব পালন করে, যেগুলো কিন্তু বেসামরিক প্রশাসনের আওতায়। ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারে আমরা যেসব কর্মকাণ্ড করি, সেগুলো কিন্তু বেসামরিক প্রশাসনের পূর্ণ সহযোগিতা ছাড়া করা অসম্ভব। আমি তাদের এই সিগন্যালটা ক্লিয়ারভাবে দিয়ে গেলাম, আমি ব্যক্তিগতভাবে এসেছি, সেনাবাহিনী চাচ্ছে, সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করে সরকারের প্রদত্ত যেকোনো দায়িত্ব সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে।

শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারে আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, জাতি গঠনমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড, অনেক সিকিউরিটি দায়িত্ব পালন করে থাকি। এখানে কথা প্রসঙ্গে গত বন্যায় সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা সবাই করেছে। অন্যান্য কাজেও আমাদের প্রশংসাগুলো তারা বলেছে।

তিনি আরও বলেন, আমরাও বলেছি বর্তমান সেনাবাহিনীতে নিচের পর্যায়ে সবার ভেতরে একটা অনুভূতি এসেছে যে, সিভিল প্রশাসন আগের তুলনায় আমাদের সঙ্গে অনেক ফ্রেন্ডলি। আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করে আগের চেয়ে অনেক ভালো, স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি। এই যে আমাদের একটা কালচারাল ডিফারেন্স, সেনাবাহিনী তাদের মতো করে কাজ করছে, বেসামরিক প্রশাসন তাদের মতো করে কাজ করছে। উদ্দেশ্য একই, কিন্তু কর্মপদ্ধতির ভিন্নতার কারণে কিছু কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়তো হয়ে থাকে। যত আমরা এগুলো দূর করতে পারবো, নিজের কাজের স্বকীয়তা বজায় রেখে, আমার মনে হয় উই উইল বি এইবল টু পারফর্ম হোয়াট ইজ এক্সপেক্টেড ফ্রম আস বাই দ্য গভর্নমেন্ট অ্যান্ড দ্য পিপল অব দ্য কান্ট্রি।

মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি এবং আগামী নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সেনাপ্রধান বলেন, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি।

তবে আগামী সংসদ নির্বাচন এবং মিয়ানমার সীমান্ত ইস্যু নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলেও জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

সিভিল প্রসাশনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে কাজ করছে সেনাবাহিনী : সেনাপ্রধান

আপডেট সময় : ০১:৪০:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করে সরকারের দেওয়া যেকোনো দায়িত্ব সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে চায় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে সেনাবাহিনী সমন্বয় করে কাজ করতে চায়। বর্তমানে সিভিল প্রসাশনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে কাজ করছে সেনাবাহিনী।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় ও শেষ দিনের প্রথম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

সেনাপ্রধান বলেন, ডিসিদের এটাই বলা হয়েছে যে, সেনাবাহিনী চাইছে বেসামরিক বা সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে আরও নিবিড় সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে। কর্মপদ্ধতির ভিন্নতা রয়েছে, কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য এক। জেলা প্রশাসকদের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীর সহায়তাও চাওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, কয়েকজন জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার স্পষ্ট করে উদাহরণ দিয়ে বলেছেন যে, সেনাবাহিনী কত ভালো কাজ করেছে ও তারা (ডিসিরা) কত খুশি।

সেনাপ্রধান বলেন, আমি গতবারও ব্যক্তিগতভাবে এখানে এসেছি, এবারও আসলাম। কোনো প্রতিনিধি পাঠাইনি। সশরীরে ডিসি সম্মেলনে আমার উপস্থিতি এটিই প্রমাণ করে যে এটিকে (ডিসি সম্মেলন) আমি কতটা গুরুত্ব দিয়েছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, প্রশাসনের সঙ্গে মাঠপর্যায়ে যারা সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখেন, তারা হলেন জেলা প্রশাসক। বিভাগীয় কমিশনররাও আছেন।

তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, প্রশাসনে মাঠ পর্যায়ে যারা সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখেন তারা হলেন ডিসিরা। ডিসিরা আছে, বিভাগীয় কমিশনাররা আছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সরকারের অনেক দায়িত্ব পালন করে, যেগুলো কিন্তু বেসামরিক প্রশাসনের আওতায়। ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারে আমরা যেসব কর্মকাণ্ড করি, সেগুলো কিন্তু বেসামরিক প্রশাসনের পূর্ণ সহযোগিতা ছাড়া করা অসম্ভব। আমি তাদের এই সিগন্যালটা ক্লিয়ারভাবে দিয়ে গেলাম, আমি ব্যক্তিগতভাবে এসেছি, সেনাবাহিনী চাচ্ছে, সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করে সরকারের প্রদত্ত যেকোনো দায়িত্ব সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে।

শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারে আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, জাতি গঠনমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড, অনেক সিকিউরিটি দায়িত্ব পালন করে থাকি। এখানে কথা প্রসঙ্গে গত বন্যায় সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা সবাই করেছে। অন্যান্য কাজেও আমাদের প্রশংসাগুলো তারা বলেছে।

তিনি আরও বলেন, আমরাও বলেছি বর্তমান সেনাবাহিনীতে নিচের পর্যায়ে সবার ভেতরে একটা অনুভূতি এসেছে যে, সিভিল প্রশাসন আগের তুলনায় আমাদের সঙ্গে অনেক ফ্রেন্ডলি। আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করে আগের চেয়ে অনেক ভালো, স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি। এই যে আমাদের একটা কালচারাল ডিফারেন্স, সেনাবাহিনী তাদের মতো করে কাজ করছে, বেসামরিক প্রশাসন তাদের মতো করে কাজ করছে। উদ্দেশ্য একই, কিন্তু কর্মপদ্ধতির ভিন্নতার কারণে কিছু কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়তো হয়ে থাকে। যত আমরা এগুলো দূর করতে পারবো, নিজের কাজের স্বকীয়তা বজায় রেখে, আমার মনে হয় উই উইল বি এইবল টু পারফর্ম হোয়াট ইজ এক্সপেক্টেড ফ্রম আস বাই দ্য গভর্নমেন্ট অ্যান্ড দ্য পিপল অব দ্য কান্ট্রি।

মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি এবং আগামী নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সেনাপ্রধান বলেন, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি।

তবে আগামী সংসদ নির্বাচন এবং মিয়ানমার সীমান্ত ইস্যু নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলেও জানান তিনি।