ঢাকা ১২:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ১৮ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সাত দশক পর রাজকীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া দেখলো ব্রিটেনবাসী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৩:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৪২১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাত দশক পর ব্রিটেনে আবারও অনুষ্ঠিত হলো একটি রাজকীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। যার সাক্ষী হয়েছে সারাবিশ্বের ৪শ’ কোটির বেশি মানুষ। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের এই শেষকৃত্য যেমন রাজকীয় নানা আচারের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে, তেমনি এর পেছনে খরচ হওয়া ৭২ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা বিচিত্র প্রভাব ফেলবে ব্রিটিশদের জীবনে।

১৯৫২ সালে মারা যান রাজা ষষ্ঠ জর্জ। তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সাত দশক পর অনুষ্ঠিত হলো রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আয়োজন। ১১দিনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সোমবার সেন্ট জর্জেস চ্যাপেলে সমাহিত করা হয়েছে তাঁকে।

৮ই সেপ্টেম্বর মারা যান রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ, রাষ্ট্রীয় ও রাজকীয় আয়োজন শেষে সোমবার ১৯শে সেপ্টেম্বর তাঁকে সমাহিত করা হয়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার হিসেবে ১১ দিনের এই আয়োজন ঘিরে ব্যয় হয়েছে ৬৯০ কোটি ডলার বা ৭২ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। এই অর্থ বাংলাদেশে ২টি পদ্মা সেতু নির্মাণের ব্যয়ের চেয়েও বেশি।

অবশ্য এর একটা বড় অংশ রাজ কোষাগার থেকেই ব্যয় হয়েছে। আল-জাজিরা বলছে, এই ব্যয় বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দার জেরে ব্রিটেনের জন্য বড় এক বিপর্যয় বয়ে আনতে পারে। আগামী শীত মৌসুমে প্রায় ৭ কোটি ব্রিটিশের মৌলিক চাহিদা পূরণে যা সরাসরি প্রভাব ফেলবে।

এদিকে, বিভিন্ন মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে প্রায় ২শ’টি দেশের চারশ’ ১০ কোটি মানুষ এই রাজকীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আয়োজন দেখেছে। আয়োজনস্থলে দুশ’ রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ প্রায় দুই হাজারের অধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। লন্ডনজুড়ে ১০ লাখের বেশি মানুষ সরাসরি দেখেছে এই আয়োজন। ব্রিটেনের ১২৫টি সিনেমাহলে সরাসরি সম্প্রচার করা হয় আয়োজনটি। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে বড় পর্দায় সম্প্রচার করা হয় শেষকৃত্যের আনুষ্ঠানিকতা।

রানীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ঘিরে কাজ করেছে ১০ হাজারের বেশি সেনা, নৌ ও বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য। গত কয়েকদিনের প্রস্তুতিতে অংশ নেয় প্রায় ৬ হাজার সেনা। সোমবার শেষকৃত্যের দিনে রানীর কফিন ঘিরে হেঁটেছে ১৪২ জন। এছাড়া এই আয়োজনে অংশ নেয়া বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের জন্য বিশেষ পোশাকও প্রস্তুত করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

সাত দশক পর রাজকীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া দেখলো ব্রিটেনবাসী

আপডেট সময় : ০৩:৫৩:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২

সাত দশক পর ব্রিটেনে আবারও অনুষ্ঠিত হলো একটি রাজকীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। যার সাক্ষী হয়েছে সারাবিশ্বের ৪শ’ কোটির বেশি মানুষ। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের এই শেষকৃত্য যেমন রাজকীয় নানা আচারের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে, তেমনি এর পেছনে খরচ হওয়া ৭২ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা বিচিত্র প্রভাব ফেলবে ব্রিটিশদের জীবনে।

১৯৫২ সালে মারা যান রাজা ষষ্ঠ জর্জ। তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সাত দশক পর অনুষ্ঠিত হলো রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আয়োজন। ১১দিনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সোমবার সেন্ট জর্জেস চ্যাপেলে সমাহিত করা হয়েছে তাঁকে।

৮ই সেপ্টেম্বর মারা যান রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ, রাষ্ট্রীয় ও রাজকীয় আয়োজন শেষে সোমবার ১৯শে সেপ্টেম্বর তাঁকে সমাহিত করা হয়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার হিসেবে ১১ দিনের এই আয়োজন ঘিরে ব্যয় হয়েছে ৬৯০ কোটি ডলার বা ৭২ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। এই অর্থ বাংলাদেশে ২টি পদ্মা সেতু নির্মাণের ব্যয়ের চেয়েও বেশি।

অবশ্য এর একটা বড় অংশ রাজ কোষাগার থেকেই ব্যয় হয়েছে। আল-জাজিরা বলছে, এই ব্যয় বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দার জেরে ব্রিটেনের জন্য বড় এক বিপর্যয় বয়ে আনতে পারে। আগামী শীত মৌসুমে প্রায় ৭ কোটি ব্রিটিশের মৌলিক চাহিদা পূরণে যা সরাসরি প্রভাব ফেলবে।

এদিকে, বিভিন্ন মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে প্রায় ২শ’টি দেশের চারশ’ ১০ কোটি মানুষ এই রাজকীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আয়োজন দেখেছে। আয়োজনস্থলে দুশ’ রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ প্রায় দুই হাজারের অধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। লন্ডনজুড়ে ১০ লাখের বেশি মানুষ সরাসরি দেখেছে এই আয়োজন। ব্রিটেনের ১২৫টি সিনেমাহলে সরাসরি সম্প্রচার করা হয় আয়োজনটি। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে বড় পর্দায় সম্প্রচার করা হয় শেষকৃত্যের আনুষ্ঠানিকতা।

রানীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ঘিরে কাজ করেছে ১০ হাজারের বেশি সেনা, নৌ ও বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য। গত কয়েকদিনের প্রস্তুতিতে অংশ নেয় প্রায় ৬ হাজার সেনা। সোমবার শেষকৃত্যের দিনে রানীর কফিন ঘিরে হেঁটেছে ১৪২ জন। এছাড়া এই আয়োজনে অংশ নেয়া বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের জন্য বিশেষ পোশাকও প্রস্তুত করা হয়।