ঢাকা ০৬:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
আজকের সেহরি ও ইফতার ::
ঢাকায় সেহেরি ৪:৩৩ মি. ইফতার ৬:১৭ মি.:: চট্টগ্রামে সেহেরি ৪:২৮ মি. ইফতার ৬:১১ মি. :: রাজশাহীতে সেহেরি ৪:৩৯ মি. ইফতার ৬:২৪ মি. :: খুলনায় সেহেরি ৪:৩৭ মি. ইফতার ৬:২০ মি. :: বরিশালে সেহেরি ৪:৩৪ মি. ইফতার ৬:১৭ মি. :: সিলেটে সেহেরি ৪:২৬ মি. ইফতার ৬:১১ মি. :: রংপুরে সেহেরি ৪:৩৭ মি. ইফতার ৬:২২ মি. :: ময়মনসিংহে সেহেরি ৪:৩২ মি. ইফতার ৬:১৭ মি. ::::

সাঁথিয়া ভূমি অফিসের দৃশ্যপট বদলে দিয়েছেন এসিল্যান্ড মনিরুজ্জামান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:০২:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৩৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জালাল উদ্দিন, সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি :

সাঁথিয়া ভূমি অফিসের দৃশ্য বদলে দিয়েছেন সাঁথিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মনিরুজ্জামান। এখন এ অফিসে নেই হয়রানি, নেই দালালের দৌরাত্ম। দ্রুততার সাথে মিলছে সেবা। শুধু তাই নয় অফিসটির বাহ্যিক পরিবেশও এখন আকর্ষনীয়।

জানা গেছে, বিগত ২০২১ সালে ২৫ জুলাই সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মনিরুজ্জামান সাঁথিয়া উপজেলায় যোগ দেন। তিনি যোগদানের পর থেকেই ভূমি কর (রাজস্ব) আদায়ের পাশাপাশি মাত্র অল্প সময়ের মধ্যে বিপুল সংখ্যক নামজারি কেস নিষ্পত্তি করে গত এক বছর ধরে জেলায় শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন। একটা সময় যেখানে নিজের জমি খারিজ করতে সময় লেগে যেত ৬ মাস থেকে এক বছর। সেই খারিজ সম্পন্ন করতে সময় লাগছে মাত্র ২৫ দিন। যেটি সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের চেয়েও কম সময়ে সম্পন্ন হচ্ছে।

ভূমি অফিসে আসা জনসাধারণের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আগে সাঁথিয়া অফিসে আসলে কে দালাল আর কে এই কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী তা বোঝা দায় ছিল। দালালদের পেছনে ঘুরে ঘুরে জমির নামজারি বা অন্যান্য কাজ করতে হতো। তাদের মনে ছিল ক্ষোভ-অসন্তোষ। তারা অভিযোগ জানানোর মত কাউকে পেতেন না। কিন্তু সেই নেতিবাচক ধারণা পাল্টে দিয়েছেন সহকারী কমিশনার ভূমি মো. মনিরুজ্জামান । তিনি তার মেধা ও কর্ম দক্ষতা দিয়ে খোলনলচে পাল্টে দিয়েছেন অফিসটির।

ভূমি অফিস চত্বরটিতে বেশ ছায়াঢাকা পরিবেশ। সেই পরিবেশটিকে আরো মোহনীয় করা হয়েছে। করা হয়েছে ফুলের বাগান, পড়ে থাকা খাল জায়গায় শাক- সবজি আবাদ, জনগণের নানা কাজ করার জায়গা বা অপেক্ষার জন্য গোল ঘরটিকে টাইলস দ্বারা বেষ্টন করা হয়েছে। এখানে গাছের গোড়াগুলো টাইলস দিয়ে বাধানো হয়েছে। ভূমি অফিসের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কাজটিও সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়া সেবা প্রত্যাশী জনসাধারণের জন্য অফিসের ফুটপাতের অংশটুকুও আকর্ষণীয় করতে টাইলস দ্বারা বাধানো হয়েছে। এতে সেবা প্রত্যাশীরা একটি সুন্দর পরিবেশে অপেক্ষা করে তাদের সেবা নিয়ে ঘরে ফিরতে পারছেন। বিরক্তির লেশমাত্র তারা অনুভব করছেন না। কারণ এখানে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন সহকারী কমিশনার ভূমি। তিনি বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে আগতদের জন্য একটি স্বাস্থ্যসম্মত ও ঝকঝকে টয়লেট নির্মাণের ব্যবস্থা করেছেন। উপজেলার সবগুলো ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সিসি ক্যামেরা লাাগনো হয়েছে। সেখানে আগত জনগণ কেমন সেবা পাচ্ছেন তা মনিটর করা হয়।

উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গৌরীগ্রামে সরকারি ৫২ বিঘা খাস জমি উদ্ধার করা ভূমি অফিসের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। সহকারী কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান সেটা করতে পেরেছেন এবং প্রতারকদের আইনের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন। ইকরজানায় প্রায় ১ বিঘা খাস জলা উদ্ধার করা হয়েছে। সেটি আগামী বছর থেকে ইজারা দেওয়া হবে। স্বরগ্রামে গত ৫বছর ধরে খাস জলা ইজারা দেওয়া হয়নি। যেটা তিনি করতে পেরেছেন। এছাড়া সাঁথিয়া পৌরসভায় দুটি পুকুর উদ্ধার করে একটি লিজ দেওয়ার কাজ চলছে। আরেকটি এরই মধ্যে খাস করা হয়েছে। এটি অনেক সাহসিকতার সাথে করতে হয়েছে বলে ভূমি অফিসের কর্মকর্তা- কর্মচারিরা জানান।

এদিকে কাজ ও সেবা দিয়ে সেরাও হয়েছে সাঁথিয়া উপজেলা ভূমি অফিস । নামজারির সময় ২৮ দিনের কম সময়ে এ অফিস ২৫ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারছে। এক্ষেত্রে জেলার মধ্যে গত ১ বছর ধরে সাঁথিয়া উপজেলা ভূমি অফিস কম সময়ের হিসেবে নামজারিকরণে শীর্ষে রয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় গত দু সপ্তাহে প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

সেবা প্রত্যাশী বেশ কয়েকজন জানান, সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মো. মনিরুজ্জামান জনগণকে সহজ সেবা এবং ভূমি সংক্রান্ত সঠিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। ভূমি সংক্রান্ত জটিল বিষয়গুলো সহকারী কমিশনারকে বলা মাত্রই তিনি সহজ সমাধান করে দিচ্ছেন ও সঠিক পরামর্শ প্রদান করছেন । কেউ যাতে কোন দালাল কিংবা কাউকে কোন টাকা না দিয়ে কাজ করিয়ে না নেন এবং জনগণ কে সরাসরি তার অফিসে এসে ভূমি সেবা নিতে বলছেন তিনি।
বামনডাঙ্গা গ্রামের সাগর হোসেন, পদ্মবিলা গ্রামের হাফিজুর রহমান, বনগ্রামের আব্দুল গফুর জানান, তারা কোন টাকা পয়সা ও হয়রানি ছাড়া ভূমি অফিস থেকে সেবা পেয়েছেন। এতে তারা খুব খুশি বলে জানান।

সাঁথিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, তিনি সরকারি দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করছেন মাত্র। তিনি জানান, আমি চাই সততার সাথে কাজ করতে এবং সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে জনগণের ভোাগন্তি লাঘব করতে। আবার জমি- জমা নিয়ে জালিয়াতি বা কেউ যাতে প্রতারণা করতে না পারে সেটিও প্রতিরোধের চেষ্টা করছি। এক্ষেত্রে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ হোসেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ারসহ সহ সংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক সহযোগিতা পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

 

বা/খ: জইৃ

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/9jam

নিউজটি শেয়ার করুন

সাঁথিয়া ভূমি অফিসের দৃশ্যপট বদলে দিয়েছেন এসিল্যান্ড মনিরুজ্জামান

আপডেট সময় : ১২:০২:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩

জালাল উদ্দিন, সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি :

সাঁথিয়া ভূমি অফিসের দৃশ্য বদলে দিয়েছেন সাঁথিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মনিরুজ্জামান। এখন এ অফিসে নেই হয়রানি, নেই দালালের দৌরাত্ম। দ্রুততার সাথে মিলছে সেবা। শুধু তাই নয় অফিসটির বাহ্যিক পরিবেশও এখন আকর্ষনীয়।

জানা গেছে, বিগত ২০২১ সালে ২৫ জুলাই সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মনিরুজ্জামান সাঁথিয়া উপজেলায় যোগ দেন। তিনি যোগদানের পর থেকেই ভূমি কর (রাজস্ব) আদায়ের পাশাপাশি মাত্র অল্প সময়ের মধ্যে বিপুল সংখ্যক নামজারি কেস নিষ্পত্তি করে গত এক বছর ধরে জেলায় শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন। একটা সময় যেখানে নিজের জমি খারিজ করতে সময় লেগে যেত ৬ মাস থেকে এক বছর। সেই খারিজ সম্পন্ন করতে সময় লাগছে মাত্র ২৫ দিন। যেটি সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের চেয়েও কম সময়ে সম্পন্ন হচ্ছে।

ভূমি অফিসে আসা জনসাধারণের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আগে সাঁথিয়া অফিসে আসলে কে দালাল আর কে এই কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী তা বোঝা দায় ছিল। দালালদের পেছনে ঘুরে ঘুরে জমির নামজারি বা অন্যান্য কাজ করতে হতো। তাদের মনে ছিল ক্ষোভ-অসন্তোষ। তারা অভিযোগ জানানোর মত কাউকে পেতেন না। কিন্তু সেই নেতিবাচক ধারণা পাল্টে দিয়েছেন সহকারী কমিশনার ভূমি মো. মনিরুজ্জামান । তিনি তার মেধা ও কর্ম দক্ষতা দিয়ে খোলনলচে পাল্টে দিয়েছেন অফিসটির।

ভূমি অফিস চত্বরটিতে বেশ ছায়াঢাকা পরিবেশ। সেই পরিবেশটিকে আরো মোহনীয় করা হয়েছে। করা হয়েছে ফুলের বাগান, পড়ে থাকা খাল জায়গায় শাক- সবজি আবাদ, জনগণের নানা কাজ করার জায়গা বা অপেক্ষার জন্য গোল ঘরটিকে টাইলস দ্বারা বেষ্টন করা হয়েছে। এখানে গাছের গোড়াগুলো টাইলস দিয়ে বাধানো হয়েছে। ভূমি অফিসের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কাজটিও সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়া সেবা প্রত্যাশী জনসাধারণের জন্য অফিসের ফুটপাতের অংশটুকুও আকর্ষণীয় করতে টাইলস দ্বারা বাধানো হয়েছে। এতে সেবা প্রত্যাশীরা একটি সুন্দর পরিবেশে অপেক্ষা করে তাদের সেবা নিয়ে ঘরে ফিরতে পারছেন। বিরক্তির লেশমাত্র তারা অনুভব করছেন না। কারণ এখানে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন সহকারী কমিশনার ভূমি। তিনি বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে আগতদের জন্য একটি স্বাস্থ্যসম্মত ও ঝকঝকে টয়লেট নির্মাণের ব্যবস্থা করেছেন। উপজেলার সবগুলো ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সিসি ক্যামেরা লাাগনো হয়েছে। সেখানে আগত জনগণ কেমন সেবা পাচ্ছেন তা মনিটর করা হয়।

উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গৌরীগ্রামে সরকারি ৫২ বিঘা খাস জমি উদ্ধার করা ভূমি অফিসের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। সহকারী কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান সেটা করতে পেরেছেন এবং প্রতারকদের আইনের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন। ইকরজানায় প্রায় ১ বিঘা খাস জলা উদ্ধার করা হয়েছে। সেটি আগামী বছর থেকে ইজারা দেওয়া হবে। স্বরগ্রামে গত ৫বছর ধরে খাস জলা ইজারা দেওয়া হয়নি। যেটা তিনি করতে পেরেছেন। এছাড়া সাঁথিয়া পৌরসভায় দুটি পুকুর উদ্ধার করে একটি লিজ দেওয়ার কাজ চলছে। আরেকটি এরই মধ্যে খাস করা হয়েছে। এটি অনেক সাহসিকতার সাথে করতে হয়েছে বলে ভূমি অফিসের কর্মকর্তা- কর্মচারিরা জানান।

এদিকে কাজ ও সেবা দিয়ে সেরাও হয়েছে সাঁথিয়া উপজেলা ভূমি অফিস । নামজারির সময় ২৮ দিনের কম সময়ে এ অফিস ২৫ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারছে। এক্ষেত্রে জেলার মধ্যে গত ১ বছর ধরে সাঁথিয়া উপজেলা ভূমি অফিস কম সময়ের হিসেবে নামজারিকরণে শীর্ষে রয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় গত দু সপ্তাহে প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

সেবা প্রত্যাশী বেশ কয়েকজন জানান, সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মো. মনিরুজ্জামান জনগণকে সহজ সেবা এবং ভূমি সংক্রান্ত সঠিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। ভূমি সংক্রান্ত জটিল বিষয়গুলো সহকারী কমিশনারকে বলা মাত্রই তিনি সহজ সমাধান করে দিচ্ছেন ও সঠিক পরামর্শ প্রদান করছেন । কেউ যাতে কোন দালাল কিংবা কাউকে কোন টাকা না দিয়ে কাজ করিয়ে না নেন এবং জনগণ কে সরাসরি তার অফিসে এসে ভূমি সেবা নিতে বলছেন তিনি।
বামনডাঙ্গা গ্রামের সাগর হোসেন, পদ্মবিলা গ্রামের হাফিজুর রহমান, বনগ্রামের আব্দুল গফুর জানান, তারা কোন টাকা পয়সা ও হয়রানি ছাড়া ভূমি অফিস থেকে সেবা পেয়েছেন। এতে তারা খুব খুশি বলে জানান।

সাঁথিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, তিনি সরকারি দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করছেন মাত্র। তিনি জানান, আমি চাই সততার সাথে কাজ করতে এবং সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে জনগণের ভোাগন্তি লাঘব করতে। আবার জমি- জমা নিয়ে জালিয়াতি বা কেউ যাতে প্রতারণা করতে না পারে সেটিও প্রতিরোধের চেষ্টা করছি। এক্ষেত্রে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ হোসেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ারসহ সহ সংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক সহযোগিতা পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

 

বা/খ: জইৃ

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/9jam