ঢাকা ০৩:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সরে দাঁড়ালেন বরিস, ঋষির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ পরিষ্কার!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৪৬:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪০৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 
ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের নেতৃত্বের দৌড় থেকে সরে দাঁড়ালেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এর ফলে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অনেকটা পথ পরিষ্কার হলো ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাকের।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) এ তথ্য জানান ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

তবে বরিস জনসনের দাবি, সংসদ সদস্যদের যথেষ্ট সমর্থন থাকা সত্ত্বেও তিনি সরে দাঁড়াচ্ছেন। কারণ সংসদে ঐক্যবদ্ধ দল না থাকলে কার্যকরভাবে শাসন করা যায় না। আমি বিশ্বাস করি আমার অনেক কিছু দেওয়ার আছে। কিন্তু আমি ভয় পাচ্ছি। কারণ, এটি এখন সঠিক সময় নয়। আমি এই মনোনয়নে থাকতে চাই না। সুনাক ও পেনি মর্ডান্ট (পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের নেতা) যেই সফল হোক, তার প্রতি আমার সমর্থন থাকবে।

তিনি বলেন, তার পক্ষে ১০২ জন সংসদ সদস্যের সমর্থন ছিল, তবে বিবিসি এই সংখ্যাটি যাচাই করতে পারেনি। কারণ মাত্র ৫৭ জন সংসদ সদস্য প্রকাশ্যে তাদের সমর্থন ঘোষণা করেছিলেন।

নিয়ম অনুযায়ী, প্রার্থিতা নিশ্চিত করতে ৩৫৭ জন কনজারভেটিভ (টোরি) এমপির মধ্যে ন্যূনতম ১০০ জনের সমর্থন পেতে হবে। যিনি দলের নেতা হবেন, তিনিই দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।

দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ও কর হ্রাস করার উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লিজ ট্রাস ক্ষমতা গ্রহণের ৪৫ দিন পর পদত্যাগ করেন।

এদিকে বহুজাতিক সংস্থার জনমত সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৪৫ শতাংশ নাগরিক ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। আর বরিসের ভাগ্যে জুটেছে মোটে ২৭ শতাংশ ভোট।

‘ওপিনিয়াম’ নামে ওই সংস্থা জানান, ব্রিটেনের ১,০০৫ জন নাগরিকের মধ্যে করা ওই সমীক্ষায় বরিসের থেকে ঋষিকেই এগিয়ে রেখেছেন বেশির ভাগ মানুষজন। সংখ্যার বিচারে তা ৪৫ শতাংশ। ৪০ শতাংশ নাগরিক মনে করেন, ব্রিটেনের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় যোগ্য প্রার্থী ঋষি। এ দায়িত্বে বরিসকে দেখতে চান মোটে ১৭ শতাংশ। সমীক্ষায় দাবি, ব্রিটিশ পার্লামেন্টে রিচমন্ড কেন্দ্রের প্রতিনিধি ঋষি যে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের যোগ্যতম দাবিদার তা-ও মনে করেন বেশির ভাগ নাগরিক।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

সরে দাঁড়ালেন বরিস, ঋষির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ পরিষ্কার!

আপডেট সময় : ১২:৪৬:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 
ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের নেতৃত্বের দৌড় থেকে সরে দাঁড়ালেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এর ফলে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অনেকটা পথ পরিষ্কার হলো ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাকের।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) এ তথ্য জানান ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

তবে বরিস জনসনের দাবি, সংসদ সদস্যদের যথেষ্ট সমর্থন থাকা সত্ত্বেও তিনি সরে দাঁড়াচ্ছেন। কারণ সংসদে ঐক্যবদ্ধ দল না থাকলে কার্যকরভাবে শাসন করা যায় না। আমি বিশ্বাস করি আমার অনেক কিছু দেওয়ার আছে। কিন্তু আমি ভয় পাচ্ছি। কারণ, এটি এখন সঠিক সময় নয়। আমি এই মনোনয়নে থাকতে চাই না। সুনাক ও পেনি মর্ডান্ট (পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের নেতা) যেই সফল হোক, তার প্রতি আমার সমর্থন থাকবে।

তিনি বলেন, তার পক্ষে ১০২ জন সংসদ সদস্যের সমর্থন ছিল, তবে বিবিসি এই সংখ্যাটি যাচাই করতে পারেনি। কারণ মাত্র ৫৭ জন সংসদ সদস্য প্রকাশ্যে তাদের সমর্থন ঘোষণা করেছিলেন।

নিয়ম অনুযায়ী, প্রার্থিতা নিশ্চিত করতে ৩৫৭ জন কনজারভেটিভ (টোরি) এমপির মধ্যে ন্যূনতম ১০০ জনের সমর্থন পেতে হবে। যিনি দলের নেতা হবেন, তিনিই দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।

দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ও কর হ্রাস করার উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লিজ ট্রাস ক্ষমতা গ্রহণের ৪৫ দিন পর পদত্যাগ করেন।

এদিকে বহুজাতিক সংস্থার জনমত সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৪৫ শতাংশ নাগরিক ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। আর বরিসের ভাগ্যে জুটেছে মোটে ২৭ শতাংশ ভোট।

‘ওপিনিয়াম’ নামে ওই সংস্থা জানান, ব্রিটেনের ১,০০৫ জন নাগরিকের মধ্যে করা ওই সমীক্ষায় বরিসের থেকে ঋষিকেই এগিয়ে রেখেছেন বেশির ভাগ মানুষজন। সংখ্যার বিচারে তা ৪৫ শতাংশ। ৪০ শতাংশ নাগরিক মনে করেন, ব্রিটেনের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় যোগ্য প্রার্থী ঋষি। এ দায়িত্বে বরিসকে দেখতে চান মোটে ১৭ শতাংশ। সমীক্ষায় দাবি, ব্রিটিশ পার্লামেন্টে রিচমন্ড কেন্দ্রের প্রতিনিধি ঋষি যে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের যোগ্যতম দাবিদার তা-ও মনে করেন বেশির ভাগ নাগরিক।