রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
আ.লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হলেন লেনিন একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাইলেন জয় বিএনপি পাকিস্তানের দালাল পার্টি: ওবায়দুল কাদের ঈশ্বরদীতে গণহত্যায় শহিদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন  ডামুড্যায় অবৈধ যান চলাচল রোধে মোবাইল কোর্ট  কলমাকান্দায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ বিতরণ  পরকীয়ার জেরে রূপপুর এনপিপি নিকিমথ কোম্পানির পরিচালকের গাড়ি চালক খুন : এক নারী আটক পানির অভাবে সেঁচ সঙ্কটে ধুকছে বাংলাদেশ সিশেলসকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ রমজানে পণ্যের দাম বৃদ্ধির যৌক্তিক কারণ নেই : তথ্যমন্ত্রী আওয়ামী লীগ নতুন পরিকল্পিত খেলায় নেমেছে : মির্জা ফখরুল ‘পরাশক্তিরা পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়ায় গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মেলেনি’ প্রতিদিন মার্কিন ঘাঁটির উপর দিয়ে উড়ছে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান ‘স্যার’ সম্বোধন ঔপনিবেশিক, এটা বদলাতে হবে–আ স ম রব   পাঁচ দশকেও গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পাওয়া হতাশাব্যাঞ্জক : রাবি উপাচার্য 

সরকার রাতকে দিন বলছে, মুরগির ডিমকে অশ্বডিম্ব বলছে : মির্জা ফখরুল

সরকার রাতকে দিন বলছে, মুরগির ডিমকে অশ্বডিম্ব বলছে : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

শিক্ষা কারিকুলামে পরিবর্তনের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার যা খুশি তাই করছে। রাতকে দিন বলছে, মুরগির ডিমকে অশ্বডিম্ব বলছে। আমরা কেমন জানি অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে রই। মরেই গেছি মনে হয়। মনে হয় বেঁচে নেই।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘অপরিণামদর্শী কারিকুলাম ও মানহীন পাঠ্যপুস্তক, দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধ্বংসের পাঁয়তারা শীর্ষক’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সবাইকে জেগে উঠতে হবে। আপনারা শিক্ষকরা যারা জাতির বিবেক তাদের জেগে উঠতে হবে। আমার স্বকীয়তা ও ইতিহাস ঐতিহ্য রক্ষার জন্য জেগে উঠতে হবে। ভুলে ভরা পাঠ্যবই অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। আজ শিশুদের ভ্রান্ত ধারণা ও ইতিহাস শিক্ষা দিচ্ছে। আমরা শিক্ষা কারিকুলামে বহু ত্রুটি দেখতে পাই। পাঠ্যপুস্তকে কী লিখেছে তার বিস্তারিত আলোচনায় আমি যেতে চাচ্ছি না। পুরোটা বিষয় পড়লে একটা বিষয় বেরিয়ে আসবে যে, তারা আমার পরিচয়টা ভুলিয়ে দিতে চায়। সেটার বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়াতে পারছি না কেন? বাইরে থেকে কেউ স্যাংশন দিয়ে কিছু করে দেবে না। নিজেদেরকেই ঘুরে দাঁড়াতে হবে। সত্যকে সত্য ও মিথ্যাকে মিথ্যা বলতে ভয় কেন? জেগে উঠতে হবে। এটা জাতির অস্তিত্বের লড়াই। আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাই। ভবিষ্যত প্রজন্মকে রক্ষা করতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা দাবি করি আমরা পৃথিবীর উৎকৃষ্ট জাতি। কিন্তু আমার ইতিহাস মুছে দেওয়া হচ্ছে, আমার সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। সরকারের সকল অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার আমাদের খোলনলচে পাল্টে দিতে চায়। যার প্রমাণ এই পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাস বিকৃতি ও ভুল তথ্য সংযোজন। প্রাথমিক শিক্ষা সারাজীবনের জন্য থেকে যায়। এই শিক্ষাকে পুঁজি করে শিশু সামনের দিকে এগিয়ে যায়। প্রাথমিক বিদ্যালয় হলো শিক্ষার মূল। দুর্ভাগ্যবশত এখনও আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। পাকিস্তান আমলেও এ ধরনের পরীক্ষা ও বিভিন্ন শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়েছিল। শুধু বারবার পরীক্ষা ও শিক্ষানীতি হয়েছে। এখনও সেটা চলছে।

পাঠ্যপুস্তকে ভুলে ভরা ইতিহাস ও তথ্য সংযোজন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা কারিকুলাম তৈরি করে, কেউ ভাবে না যে ছেলে-মেয়েরা কী শিখছে? জাতির মূল জায়গা হলো শিক্ষা। আর সেখানেই হাত দিয়েছে সরকার। সরকার শিক্ষার মূল খোলস পরিবর্তন করতে চায়। সরকারের পরিবর্তনের ফলে শুধু শিক্ষানীতি পরিবর্তন হচ্ছে, কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছে না। এতক্ষণে অরিন্দম কহিলা বিষাদে।

তিনি বলেন, অপরিণামদর্শী কারিকুলাম ও মানহীন পাঠ্যপুস্তক শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। এতে অংশ নেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার একটি নতজানু ও ব্যর্থ জাতি তৈরির জন্য পরিকল্পিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারা আমাদের শেকড়ে টান দিয়েছে। ভবিষ্যত প্রজন্মকে ব্যর্থ করতে শিক্ষা ব্যবস্থায় হাত দিয়েছে। কেউ কিন্তু কোনো প্রতিবাদ করছে না। আমাদের তো আলাদা সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং পরিচয় আছে। সত্যকে সত্য ও মিথ্যাকে মিথ্যা বলতে ভয় কেন? আজ শিশুদের ভ্রান্ত ধারণা ও ইতিহাস শিক্ষা দিচ্ছে। আজ আমাদের পরিচয় ভুলিয়ে দিতে চায়। এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে জেগে উঠতে হবে। এটা জাতির অস্তিত্বের লড়াই। আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাই।

তিনি বলেন, সরকার আমাদের পাল্টে দিতে চায়। যার প্রমাণ এই পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাস বিকৃতি ও ভুল তথ্য সংযোজন। আজকে যেসব সন্তান যারা প্রাথমিক শিক্ষা নেয় সেটা তার সারাজীবনের জন্য থেকে যায়। এই শিক্ষাকে পুঁজি করে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। প্রাথমিক বিদ্যালয় হলো শিক্ষার মূল। দুর্ভাগ্যবশত এখনো আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। যদিও পাকিস্তান আনলেও এ ধরনের পরীক্ষা ও বিভিন্ন শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়েছিল। শুধু বারবার পরীক্ষা ও শিক্ষানীতি হচ্ছে। এখনো সেটা চলছে।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউট্যাবের সভাপতি বিএনপির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম। সংগঠনটির মহাসচিব মোর্শেদ হাসান খান ও হেলেন জেরিন খানের পরিচালনায় সভায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম ও শাহ শামীম আহমেদ। তারা ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বিভিন্ন পাঠ্যবইয়ের কার্বন-ডাই-অক্সাইড, মানুষের উৎপত্তি নিয়ে বিতর্কিত তত্ত্বসহ বেশকিছু বইয়ের অসংখ্য ভুল এবং অসত্য তথ্য তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, তাজমেরী এস ইসলাম, নূরুল আমিন বেপারী, আব্দুল করিম, লুৎফর রহমান, গোলাম হাফিজ কেনেডি, মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, কাদের গণি চৌধুরী, মো. জাকির হোসেন, মো. আল আমিন, শামসুল আলম সেলিম, কামরুল আহসান, নূরুল ইসলাম, মামুনুর রশিদ, আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শামীম, মাসুদুল হাসান, শফিকুল ইসলাম, শরিফুল করিম, শের মাহমুদ, তৌফিকুল ইসলাম মিথিল প্রমুখ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *