নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আমরা সফল হব, জয়ী হব এবং এই দানবীয় সরকারকে পরাজিত করে আমরা গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করব।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বনানীতে কবর জিয়ারত ও পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা আজ গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছি। আমাদের অনেক নেতাকর্মী কারাগারে রয়েছেন। চলমান এই আন্দোলনে আমাদের ১৫ নেতাকর্মীর ‘শহীদ’ হয়েছেন।
ফখরুল বলেন, আমরা আজ গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি সংগ্রাম করছি। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী আজ কারাগারে বন্দি রয়েছে। এই চলমান আন্দোলনে আমাদের প্রায় ১৫ জন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন।
ফখরুল আরো বলেন, আরাফাত রহমান একজন রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হলেও তিনি রাজনীতিবিদ ছিলেন না। তিনি একজন সাধারণ ক্রীড়াবিদ ছিলেন। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, এদেশে রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কময় ১/১১ ঘটনার পর আরাফাত রহমান কোকোকে গ্রেফতার করা হয়। মিথ্যে মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। কোকো একজন অসাধারণ ক্রিয়া সংগঠক ছিলেন।
বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সবচেয়ে আদরের ছেলে ছিলেন আরাফাত রহমান কোকো। আমরা দেখেছি কী করুণ অবস্থায় তাকে (কোকো) মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। দেশের মাটিতে ভালো চিকিৎসা না পেয়ে তাকে চলে যেতে হয়েছে।
তিনি বলেন, এই পরিবার (জিয়া) এদেশের মানুষের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের প্রতীক। এই পরিবার এদেশের গণতন্ত্রের প্রতীক। আমরা আরাফাত রহমান কোকোর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহ যেন তাকে বেহেশত নসিব করেন।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জয়নাল আবেদীন ফারুক, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা তাবিথ আউয়াল, মহানগর নেতা শামীম পারভেজ, বিএনপি নেতা মহাসিন জিল্লুর রহমান, নাজিমুদ্দিন আলম, মীর সারাফত আলী সপু, নবী উল্লাহ নবী, আব্দুল আলিম নাকি, যুবদলের মামুন হাসান, আবদুল মোনায়েম মুন্না, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।