ঢাকা ১০:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৮ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সমাবেশস্থলে নেতা-কর্মীর ঢল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪১২ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হবে দুপুর ২ টায়। তার আগেই সমাবেশস্থল কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ঢল নেমেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কানায় কানায় পূর্ণ হয় সমাবেশ স্থল।

এর আগে গত তিন দিন থেকে আসা নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে মাঠের অর্ধেকাংশ ভর্তি হয়ে যায়। অনেকে আবার সমাবেশস্থল ছাড়াও আশপাশ এলাকায় অবস্থান করছেন। শনিবার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসতে শুরু করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়া বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা করে সমাবেশে যোগ দিতে এসেছেন নেতা-কর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠ বিভিন্ন স্লোগানে মুখর হয়ে উঠছে। দলীয় প্রতীক ধানের শীষ ছাড়াও ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন নিয়ে আসা নেতা-কর্মীরা এখন সমাবেশ শুরুর অপেক্ষা করছেন।

মাঠে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও রংপুরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও সমর্থক ছাড়াও রাজশাহী বিভাগের বগুড়া, জয়পুরহাট, নওগাঁসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দলীয় লোকজনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। যাদের বেশিরভাগই ভোর হওয়ার আগেই সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছেছেন।

রংপুর মহানগরীর শাপলা চত্বর, গ্রান্ড হোটেল মোড়, জাহাজ কোম্পানি মোড়, পায়রা চত্বর, মেডিকেল মোড়, ডিসির মোড়, রাধাবল্লভ, কাচারি বাজার, সরকারি কলেজ রোড হয়ে সমাবেশস্থল কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে জড়ো হচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। দলে দলে হেঁটে হেঁটে মিছিল নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে আসছেন তারা।

মাঠে সভামঞ্চের কাছাকাছি দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে বসে থাকা জহুরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) রাতে পার্বতীপুর থেকে আসা লালমনিরহাটগামী একটি ট্রেনে গাদাগাদি করে তারা অন্তত ১৫০ জন একসঙ্গে এসেছেন। রাতেই মাঠের মধ্যে পলিথিন বিছিয়ে শুয়ে ছিলেন। কিন্তু ভোর হওয়ার আগেই মাঠে লোকজন আসতে শুরু করায় তারা কেউ বিশ্রাম নিতে পারেননি।

রংপুর মহানগর বিএনপির নেতারা বলেন, দুপুর ১২টার আগেই সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে সভামঞ্চসহ আশপাশে মাইক লাগানোর কাজ শেষ হয়েছে। মিছিল নিয়ে আসার পথে নেতা-কর্মীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি তাদের। তবে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমাগম নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানান তারা।

নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিভিন্ন স্থানে গুলিতে দলের নেতা-কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদসহ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার রংপুরে তাদের চতুর্থ বিভাগীয় গণসমাবেশ হবে।
অন্যদিকে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। নগরীর বিভিন্ন মোড়ে তাদেরকে টহল দিতে দেখা গেছে।

এদিকে জেলা মোটর মালিক সমিতির ডাকা ধর্মঘটের কারণে দুই দিন আগে থেকেই বিএনপির বিভাগীয় গণ সমাবেশে অংশ নিতে রংপুরে আসেন নেতা-কর্মীরা। আবাসিক হোটেলগুলোতে জায়গা না হওয়ায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ সমাবেশস্থলে নির্ঘুম রাত কাটান তারা।

জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ধর্মঘট চললেও বিভাগের আট জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ট্রাক, মিনি বাস, মোটরসাইকেল এবং ট্রেনযোগে রংপুরে এসে পৌঁছেছেন নেতাকর্মীরা। বিএনপির নেতারা জানান, কর্মীদের আগমনে আগের রাতেই সমাবেশস্থল পূর্ণ হয়েছে কানায় কানায়। তাদের জন্য নগরীর ২০টি স্কুল মাঠে অস্থায়ী প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান তারা।

কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, বিএনপির সমাবেশেকে বাধাগ্রস্ত করতেই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সরকার। তাতে কোনো লাভ হবে না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।

এদিকে একদিন আগেই রংপুরে এসেছেন বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের প্রধান অতিথি দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

সমাবেশস্থলে নেতা-কর্মীর ঢল

আপডেট সময় : ১১:৩৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হবে দুপুর ২ টায়। তার আগেই সমাবেশস্থল কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ঢল নেমেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কানায় কানায় পূর্ণ হয় সমাবেশ স্থল।

এর আগে গত তিন দিন থেকে আসা নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে মাঠের অর্ধেকাংশ ভর্তি হয়ে যায়। অনেকে আবার সমাবেশস্থল ছাড়াও আশপাশ এলাকায় অবস্থান করছেন। শনিবার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসতে শুরু করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়া বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা করে সমাবেশে যোগ দিতে এসেছেন নেতা-কর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠ বিভিন্ন স্লোগানে মুখর হয়ে উঠছে। দলীয় প্রতীক ধানের শীষ ছাড়াও ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন নিয়ে আসা নেতা-কর্মীরা এখন সমাবেশ শুরুর অপেক্ষা করছেন।

মাঠে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও রংপুরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও সমর্থক ছাড়াও রাজশাহী বিভাগের বগুড়া, জয়পুরহাট, নওগাঁসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দলীয় লোকজনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। যাদের বেশিরভাগই ভোর হওয়ার আগেই সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছেছেন।

রংপুর মহানগরীর শাপলা চত্বর, গ্রান্ড হোটেল মোড়, জাহাজ কোম্পানি মোড়, পায়রা চত্বর, মেডিকেল মোড়, ডিসির মোড়, রাধাবল্লভ, কাচারি বাজার, সরকারি কলেজ রোড হয়ে সমাবেশস্থল কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে জড়ো হচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। দলে দলে হেঁটে হেঁটে মিছিল নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে আসছেন তারা।

মাঠে সভামঞ্চের কাছাকাছি দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে বসে থাকা জহুরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) রাতে পার্বতীপুর থেকে আসা লালমনিরহাটগামী একটি ট্রেনে গাদাগাদি করে তারা অন্তত ১৫০ জন একসঙ্গে এসেছেন। রাতেই মাঠের মধ্যে পলিথিন বিছিয়ে শুয়ে ছিলেন। কিন্তু ভোর হওয়ার আগেই মাঠে লোকজন আসতে শুরু করায় তারা কেউ বিশ্রাম নিতে পারেননি।

রংপুর মহানগর বিএনপির নেতারা বলেন, দুপুর ১২টার আগেই সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে সভামঞ্চসহ আশপাশে মাইক লাগানোর কাজ শেষ হয়েছে। মিছিল নিয়ে আসার পথে নেতা-কর্মীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি তাদের। তবে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমাগম নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানান তারা।

নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিভিন্ন স্থানে গুলিতে দলের নেতা-কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদসহ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার রংপুরে তাদের চতুর্থ বিভাগীয় গণসমাবেশ হবে।
অন্যদিকে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। নগরীর বিভিন্ন মোড়ে তাদেরকে টহল দিতে দেখা গেছে।

এদিকে জেলা মোটর মালিক সমিতির ডাকা ধর্মঘটের কারণে দুই দিন আগে থেকেই বিএনপির বিভাগীয় গণ সমাবেশে অংশ নিতে রংপুরে আসেন নেতা-কর্মীরা। আবাসিক হোটেলগুলোতে জায়গা না হওয়ায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ সমাবেশস্থলে নির্ঘুম রাত কাটান তারা।

জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ধর্মঘট চললেও বিভাগের আট জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ট্রাক, মিনি বাস, মোটরসাইকেল এবং ট্রেনযোগে রংপুরে এসে পৌঁছেছেন নেতাকর্মীরা। বিএনপির নেতারা জানান, কর্মীদের আগমনে আগের রাতেই সমাবেশস্থল পূর্ণ হয়েছে কানায় কানায়। তাদের জন্য নগরীর ২০টি স্কুল মাঠে অস্থায়ী প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান তারা।

কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, বিএনপির সমাবেশেকে বাধাগ্রস্ত করতেই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সরকার। তাতে কোনো লাভ হবে না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।

এদিকে একদিন আগেই রংপুরে এসেছেন বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের প্রধান অতিথি দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।