ঢাকা ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সবই আল্লাহর ইচ্ছা : সাহাবুদ্দিন চুপ্পু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:১৬:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে আল্লাহকে স্মরণ করলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও দুদকের সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে নিজের সই করা মনোনয়নপত্র জমা দেন চুপ্পু।

মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে বের হওয়ার সময় প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমকে সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বলেন, সব কিছু আল্লাহর ইচ্ছা। এখন কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। সব সর্বশক্তিমান আল্লাহর ইচ্ছা।

এদিকে মনোনয়নপত্র জমার আনুষ্ঠানিকতা শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, দলের প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে মনোনীত করেছেন।

সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় তাদের মনোনীত প্রার্থীই হচ্ছেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি, এটি মোটামুটি নিশ্চিত। বিরোধী দল জাতীয় পার্টি প্রার্থী না দেওয়ার কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছে।

পেশায় আইনজীবী সাহাবুদ্দিন চুপ্পু এখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য। ইতোপূর্বে জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

পাবনার সন্তান মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর জন্ম ১৯৪৯ সালে। ১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) বিভাগে যোগদান করেন এবং ১৯৯৫ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতা কর্মীর দ্বারা সংঘটিত হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠন এবং মানবতা বিরোধী কর্মকাণ্ডের অনুসন্ধানে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৫ বছর পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন। ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়া ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।

নিউজটি শেয়ার করুন

সবই আল্লাহর ইচ্ছা : সাহাবুদ্দিন চুপ্পু

আপডেট সময় : ০১:১৬:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে আল্লাহকে স্মরণ করলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও দুদকের সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে নিজের সই করা মনোনয়নপত্র জমা দেন চুপ্পু।

মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে বের হওয়ার সময় প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমকে সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বলেন, সব কিছু আল্লাহর ইচ্ছা। এখন কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। সব সর্বশক্তিমান আল্লাহর ইচ্ছা।

এদিকে মনোনয়নপত্র জমার আনুষ্ঠানিকতা শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, দলের প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে মনোনীত করেছেন।

সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় তাদের মনোনীত প্রার্থীই হচ্ছেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি, এটি মোটামুটি নিশ্চিত। বিরোধী দল জাতীয় পার্টি প্রার্থী না দেওয়ার কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছে।

পেশায় আইনজীবী সাহাবুদ্দিন চুপ্পু এখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য। ইতোপূর্বে জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

পাবনার সন্তান মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর জন্ম ১৯৪৯ সালে। ১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) বিভাগে যোগদান করেন এবং ১৯৯৫ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতা কর্মীর দ্বারা সংঘটিত হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠন এবং মানবতা বিরোধী কর্মকাণ্ডের অনুসন্ধানে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৫ বছর পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন। ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়া ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।