শ্রীনগরে ঝুমুর হল রোডের বেহাল দশায় ভোগান্তি
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময় : ০১:৩৩:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ৬৬৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ
(Google News) ফিডটি
// শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি //
শ্রীনগর সদর এলাকার পাটাভোগ ও শ্রীনগর ইউনিয়নের সীমানাবর্তী ঝুমুর সিনেমা হল রোড হিসেবে পরিচিত এলজিইডির পাকা সড়কটি
সংস্কারের অভাবে বেহাল হয়ে পড়েছে। শ্রীনগর বাজার সংলগ্ন সেতু মোড় থেকে পুরাতন ফেরী
ঘাট বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার সড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে। এ
অবস্থায় বৃষ্টির পানি জমে ভাঙ্গাচূরা সড়কটির আরো নাজুক হয়ে পড়েছে। সড়কের ভাঙ্গাচূরা
গর্তে জলাবদ্ধতায় যান চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বাড়ছে দুর্ঘটনার শঙ্কাও। গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সড়কটির বেহাল দশায় হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
অপরদিকে শ্রীনগর বাজার সেতু সংলগ্ন সড়কটির মোড়ে (কৃষি ও সোনালী ব্যাংকের সামনে) যত্রতত্রভাবে ইজিবাইক স্ট্যান্ড গড়ে উঠায় প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শ্রীনগর সোনালী ব্যাংক সংলগ্ন মোড় থেকে পুরাতন ফেরী ঘাট
(মাশুরগাঁও) ঢাকা-মাওয়া-খুলনা এক্সপ্রেসওয়ে পর্যন্ত খানাখন্দে ভরা সড়কটির বেহাল দশা। রাজরানী কমিউনিটি সেন্টার, সোনালী ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, ঝুমুর সিনেমা হল সংলগ্ন সড়কের
বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টির
ফলে যান চলাচলা ব্যাহত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে অটোরিক্সা, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য গাড়ি
চালকদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সংস্কারের অভাবে সড়কটি
দিনদিন বেহাল হয়ে পড়ছে। এছাড়া পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতাসহ সড়ক জুড়ে কাঁদামাটি জমে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে গেছে। জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
পাটাভোগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হামিদুল্লাহ্ খান মুন জানান, সড়কটির বর্তমান
অবস্থা খুবই নাজুক। মানুষ আসতে যেতে বকাঝকা দিচ্ছে। শ্রীনগর থেকে পুরাতন ফেরিঘাট
হয়ে গোয়ালীমান্দ্রা পর্যন্ত (একনেকের বরাদ্দে) সড়কটির সংস্কার কাজ আটকে আছে। গেল
উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় সড়কটির সংস্কারের বিষয়ে কথা বলেছি। সংশ্লিষ্টজনদের সাথে আলোচনা চলছে।
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. মহিফুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে আমরা উধ্বর্তন
কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করছি। আশা করছি দ্রুত সমাধান হবে।