ঢাকা ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শেখ হাসিনার উন্নয়নের জ্বালায় বিএনপি জ্বলছে: কাদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৯:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৬ বার পড়া হয়েছে

সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

শেখ হাসিনার উন্নয়নের জ্বালায় জ্বলছে বিএনপি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে আসার পর বাংলাদেশ বদলে গেছে। আওয়ামী লীগের উন্নয়ন দেখে বিএনপির ভিতরে শুধু এখন জ্বালারে জ্বালারে। এত জ্বালা তারা কোথায় রাখবে। অনেক জ্বালা অনেকের। সুনামগঞ্জ গ্রাম থেকে শহর হয়ে গেল, বিএনপি নেতাদের কত জ্বালা। তাই আন্দোলনের নামে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে চায়। শেখ হাসিনা দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির রূপকার, তিনি দেশবাসীর অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য অমর হয়ে থাকবেন। তিনি বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছেন।

বিএনপিকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির গণঅভ্যুত্থান কোথায় গেল? ১৪ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে, হিংসা করে লাভ নেই বিএনপির।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আটঘাট বেঁধে নেমেছেন জানি। জানি, লন্ডনের ডান হাত আপনি (ফখরুল) নন। সব গোপন খবর আপনি পান। জানিয়ে দিচ্ছি, আমরা কিন্তু মাঠে আছি। আমরা রাজপথে আছি। তলে তলে কৌশল কী করছেন জানি। ভোটে জিততে পারবেন না, সে জন্য এখন চোরাগোপ্তা পথে আবারো আগুন সন্ত্রাস করবেন। প্রস্তুতি নিচ্ছেন জঙ্গিবাদকে আবারও মাঠে নামাবেন, তার ইশারা-আলামত আমরা বুঝতে পারছি।

ওবায়দুল কাদের  বলেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করলে খবর আছে। নির্বাচনের মাঠে আসুন খেলা হবে।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আমরা ডাকি সমাবেশ, হয়ে যায় মহাসমাবেশ। আর বিএনপি ডাকে মহাসমাবেশ, হয়ে যায় কোনোরকম একটা সমাবেশ।

তিনি বলেন, বিএনপির গণঅভ্যুত্থান গোলাপগঞ্জের গরুর হাটে গিয়ে গুরুতর আহত। আহত হয়ে বিএনপির এখন খোঁড়াতে খোঁড়াতে পদযাত্রা করছে। এখন খোঁড়াতে খোঁড়াতে পদযাত্রা করছে, ছুটতে আর পারছে না।

নির্বাচনের মাঠে আসুন, খেলা হবে

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জেলায়-বিভাগে সমাবেশ-বিক্ষোভ, এখন আবার গ্রামে ইউনিয়নে ইউনিয়নে। খবর নিয়ে দেখুন কয়টা ইউনিয়নে বিএনপির পদযাত্রা হচ্ছে? কালকে পত্রিকার বন্ধুদের বলব, মিডিয়াকে বলব, কয়টা ইউনিয়নে বিএনপির পদযাত্রা হচ্ছে? মিডিয়াকে বলব আগে খবর নিয়ে দেখুন, সত্যটা তুলে ধরুন। আমাদের কিন্তু আজ সারা বাংলাদেশে শান্তি সমাবেশ হচ্ছে। সব ইউনিয়নে। খবর পেয়েছি, শান্তি সমাবেশ সফল হয়েছে।

বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিচ্ছে না আওয়ামী লীগ- এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত কোনো বিভাগে আওয়ামী লীগের লোকেরা বিএনপির ওপর কোনো সমাবেশে হামলা চালিয়েছে? এর প্রমাণ আছে? তাহলে কেন পাল্টাপাল্টি বলবেন?’

তিনি বলেন, পাল্টাপাল্টি করি না। পাল্টাপাল্টি করলে যখন আপনারা ক্ষমতায় ছিলেন, রাস্তায় দাঁড়াতে দেননি। আমরা সভা করলে পাল্টা সমাবেশ, ১৪৪ ধারা দিয়ে পুলিশ সমাবেশ বন্ধ করত। আমাদের পার্টি অফিসের সামনে সমাবেশ করতে দেননি। আমাদের পার্টি অফিসে সামনে শান্তি সমাবেশ করছিলাম, আমাদের নেত্রীকে টার্গেট করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল বিএনপি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা করছি আমাদের সমাবেশ। আমরা একই রকম করছি না। নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিদিনই আমাদের সমাবেশ হবে। আমরা ডাকি সমাবেশ, হয়ে যায় মহাসমাবেশ। বিএনপি ডাকে মহাসমাবেশ, হয়ে যায় কোনো রকম একটা সমাবেশ। সমাবেশ হয় আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশ, বিএনপির মহাসমাবেশ সমাবেশ হতেও কষ্ট।

ছবি: ইত্তেফাক

ওবায়দুল কাদের ওয়ান-ইলেভেনে পালায়নি, জেলে গেছে’- উল্লেখ করে বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, সাহস আছে আপনাদের? সাহস ছিল আপনাদের নেতার? পালিয়ে গেল কেন? ওখানে বসে বসে ফেসবুক লাইভে হুঙ্কার ছোড়ে। সৎ সাহস থাকলে আসুন, মোকাবিলা হবে। রাজপথে খেলা হবে, আসুন।

সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সৈয়দা জেবুন্নেছা, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদের, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ড. মুশফিকুর রহমান, আজিজুস সামাদ ডন, সায়েম খান প্রমুখ।

সম্মেলন শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নোমান বখত পলিনের নাম ঘোষণা করেন। দুই সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটিকে পরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে কেন্দ্রে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শেখ হাসিনার উন্নয়নের জ্বালায় বিএনপি জ্বলছে: কাদের

আপডেট সময় : ০৪:৫৯:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

শেখ হাসিনার উন্নয়নের জ্বালায় জ্বলছে বিএনপি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে আসার পর বাংলাদেশ বদলে গেছে। আওয়ামী লীগের উন্নয়ন দেখে বিএনপির ভিতরে শুধু এখন জ্বালারে জ্বালারে। এত জ্বালা তারা কোথায় রাখবে। অনেক জ্বালা অনেকের। সুনামগঞ্জ গ্রাম থেকে শহর হয়ে গেল, বিএনপি নেতাদের কত জ্বালা। তাই আন্দোলনের নামে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে চায়। শেখ হাসিনা দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির রূপকার, তিনি দেশবাসীর অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য অমর হয়ে থাকবেন। তিনি বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছেন।

বিএনপিকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির গণঅভ্যুত্থান কোথায় গেল? ১৪ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে, হিংসা করে লাভ নেই বিএনপির।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আটঘাট বেঁধে নেমেছেন জানি। জানি, লন্ডনের ডান হাত আপনি (ফখরুল) নন। সব গোপন খবর আপনি পান। জানিয়ে দিচ্ছি, আমরা কিন্তু মাঠে আছি। আমরা রাজপথে আছি। তলে তলে কৌশল কী করছেন জানি। ভোটে জিততে পারবেন না, সে জন্য এখন চোরাগোপ্তা পথে আবারো আগুন সন্ত্রাস করবেন। প্রস্তুতি নিচ্ছেন জঙ্গিবাদকে আবারও মাঠে নামাবেন, তার ইশারা-আলামত আমরা বুঝতে পারছি।

ওবায়দুল কাদের  বলেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করলে খবর আছে। নির্বাচনের মাঠে আসুন খেলা হবে।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আমরা ডাকি সমাবেশ, হয়ে যায় মহাসমাবেশ। আর বিএনপি ডাকে মহাসমাবেশ, হয়ে যায় কোনোরকম একটা সমাবেশ।

তিনি বলেন, বিএনপির গণঅভ্যুত্থান গোলাপগঞ্জের গরুর হাটে গিয়ে গুরুতর আহত। আহত হয়ে বিএনপির এখন খোঁড়াতে খোঁড়াতে পদযাত্রা করছে। এখন খোঁড়াতে খোঁড়াতে পদযাত্রা করছে, ছুটতে আর পারছে না।

নির্বাচনের মাঠে আসুন, খেলা হবে

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জেলায়-বিভাগে সমাবেশ-বিক্ষোভ, এখন আবার গ্রামে ইউনিয়নে ইউনিয়নে। খবর নিয়ে দেখুন কয়টা ইউনিয়নে বিএনপির পদযাত্রা হচ্ছে? কালকে পত্রিকার বন্ধুদের বলব, মিডিয়াকে বলব, কয়টা ইউনিয়নে বিএনপির পদযাত্রা হচ্ছে? মিডিয়াকে বলব আগে খবর নিয়ে দেখুন, সত্যটা তুলে ধরুন। আমাদের কিন্তু আজ সারা বাংলাদেশে শান্তি সমাবেশ হচ্ছে। সব ইউনিয়নে। খবর পেয়েছি, শান্তি সমাবেশ সফল হয়েছে।

বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিচ্ছে না আওয়ামী লীগ- এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত কোনো বিভাগে আওয়ামী লীগের লোকেরা বিএনপির ওপর কোনো সমাবেশে হামলা চালিয়েছে? এর প্রমাণ আছে? তাহলে কেন পাল্টাপাল্টি বলবেন?’

তিনি বলেন, পাল্টাপাল্টি করি না। পাল্টাপাল্টি করলে যখন আপনারা ক্ষমতায় ছিলেন, রাস্তায় দাঁড়াতে দেননি। আমরা সভা করলে পাল্টা সমাবেশ, ১৪৪ ধারা দিয়ে পুলিশ সমাবেশ বন্ধ করত। আমাদের পার্টি অফিসের সামনে সমাবেশ করতে দেননি। আমাদের পার্টি অফিসে সামনে শান্তি সমাবেশ করছিলাম, আমাদের নেত্রীকে টার্গেট করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল বিএনপি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা করছি আমাদের সমাবেশ। আমরা একই রকম করছি না। নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিদিনই আমাদের সমাবেশ হবে। আমরা ডাকি সমাবেশ, হয়ে যায় মহাসমাবেশ। বিএনপি ডাকে মহাসমাবেশ, হয়ে যায় কোনো রকম একটা সমাবেশ। সমাবেশ হয় আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশ, বিএনপির মহাসমাবেশ সমাবেশ হতেও কষ্ট।

ছবি: ইত্তেফাক

ওবায়দুল কাদের ওয়ান-ইলেভেনে পালায়নি, জেলে গেছে’- উল্লেখ করে বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, সাহস আছে আপনাদের? সাহস ছিল আপনাদের নেতার? পালিয়ে গেল কেন? ওখানে বসে বসে ফেসবুক লাইভে হুঙ্কার ছোড়ে। সৎ সাহস থাকলে আসুন, মোকাবিলা হবে। রাজপথে খেলা হবে, আসুন।

সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সৈয়দা জেবুন্নেছা, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদের, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ড. মুশফিকুর রহমান, আজিজুস সামাদ ডন, সায়েম খান প্রমুখ।

সম্মেলন শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নোমান বখত পলিনের নাম ঘোষণা করেন। দুই সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটিকে পরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে কেন্দ্রে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।