শাহরাস্তিতে জোরপূর্বক মাছের ঘের দখলের অভিযোগ
- আপডেট সময় : ১১:২৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৪৩২ বার পড়া হয়েছে
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জোরপূর্বক মাছের ঘের দখলের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সকালে পৌর শহরের সোনাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের মৃত আলী আজমের পুত্র ফখরুল আলম (৩৩) নাওড়া মৌজার বিএস দাগ নম্বর ১৫৫ ও ১৫৬ এবং সোনাপুর মৌজার ১৫৪ মূলে ৮১ শতাংশ ভূমির অন্দরে ২৭ শতাংশ ভূমির মালিক হইয়া ভোগদখল সহ উক্ত সম্পত্তির উপর মাছ চাষ করিয়া আসিতেছে। ওই দাগের সম্পত্তির উপর বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রহিয়াছে। ঘটনার দিন সকালে প্রতিপক্ষ ওই গ্রামের মৃত আলী আহম্মদের পুত্র মোঃ মোস্তফা (৫৫), তারপুত্র দাউদ হোসেন (২৮), আবদুল হান্নান (২২), জিসান (১৮) সহ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন লোক জোর পূর্বক ওই মাছের ঘের দখলের চেষ্টা চালায়। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে ফখরুল আলম জানান, উক্ত ৩ দাগে মোট সম্পত্তির পরিমান ৮১ শতাংশ। যার প্রকৃত মালিক মৃত নুরুল আমিন পাটোয়ারী। আমরা মূল মালিকের মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশ থেকে ১২ শতাংশ সম্পত্তি সাব কবলা দলিল এবং বাকি ১৫ শতাংশ সম্পত্তি বায়নাপত্র মূলে দখলে রয়েছে। এছাড়াও বাকি সম্পত্তি সহ আমরা মালিকপক্ষের সাথে কথা বলে মাছের ঘের করেছি। যা আমাদের সাথে মূল মালিকের নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে লিখিত চুক্তিপত্র হয়। কিছুদিন ধরে একই গ্রামের মোঃ মোস্তফা মৃত নুরুল আমিন পাটোয়ারীর ওয়ারিশ থেকে আমাদের চুক্তিপত্রের মেয়াদ শেষ না হতেই ওই সম্পত্তিতে মাছের ঘের করার জন্য নতুন চুক্তিপত্র করেছে বলে জানায়। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার বৈঠক হলেও শেষ পর্যন্ত আমাদের নিদিষ্ট সম্পত্তিতে থাকার বিষয়ে একটি সময়সীমা বেধে দেয়া হয়।
ওই সময়ের মধ্যে দেশে বন্যা শুরু হলে আমরা আমাদের মাছের ঘের থেকে মাছ ধরতে ব্যর্থ হই। এরই মধ্যে মোঃ মোস্তফা আমাদের মাছের ঘের দখলে নেয়ার চেষ্টা চালায় এবং ২০/২৫ জনের সংঘবদ্ধ দল বাঁশের খুঁটি দিয়ে ঘের দখল নেয়। আমি ও আমার পরিবারের লোকজন বাঁধা দিতে গেলে তারা আমাদের উপর আক্রমন করার চেষ্টা করে এবং প্রাণনাশের হুমকী ধমকী প্রদর্শন করে। আমি কোন উপায় না পেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
অভিযুক্ত মোঃ মোস্তফার ছেলে দাউদ হোসেন জানান, আমরা কারো মাছের ঘের দখল করিনি। আমার বাবা ওই সম্পত্তি মাছের ঘের করার জন্য মূল মালিক থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ৬ বছরের জন্য পৌষানি নেয়। মালিক পক্ষ আমাদেরকে ফখরুল ইসলামের মালিক ও দখলিয় সম্পত্তি বাদ দিয়ে তাদের সম্পত্তি পরিমাপ করে বুঝিয়ে দেয়। আমরা বুঝিয়ে দেয়া সম্পত্তি সীমানা খুঁটি বসিয়েছি। ওই সময় ফখরুল ও তার পরিবারের লোকজন উল্টো আমাদের উপর আক্রমন করার চেষ্টা করে। আমরা সঠিক কাজগপত্র মূলে আমাদের দখলে রয়েছি। প্রতিপক্ষ অহেতুক আমাদের নামে কুৎসা রটাচ্ছে।
বাখ//এস