সোমবার দুপুরে শাহজাদপুর পৌর এলাকার নূরজাহান ভবনে শিক্ষার্থী উম্মে সালমার হাতে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিএসসিতে (মাইক্রো বায়োলজি) ভর্তির জন্য নগদ অর্থ প্রদান করেন। সেইসাথে অর্থাভাবে যেন তার পড়াশোনা বন্ধ না হয়ে যায় সেজন্য ভবিষ্যতে যা কিছু প্রয়োজন হবে তার সকল দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাস দেন এমপি প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা।
শিক্ষার্থী উম্মে সালমা আবেগাপ্লুত হয়ে জানান, তার বাবা একজন দরিদ্র কৃষক। যমুনা তীরবর্তী পল্লীতে তাদের বসবাস। পিতা কৃষি কাজ করে কোন রকম সংসার চালান। সেজন্য সালমার পড়াশোনার খরচ বহন করা সম্ভব হচ্ছিলো না পিতার। এদিকে সালমা এইচএসসিতে ভালো ফলাফল করে বিএসসিতে ভর্তির জন্য চেষ্টা চালায় তার স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে ভর্তির ব্যবস্থাও হয় তার। কিন্তু অর্থের অভাবে ভর্তি আটকে যায় তার। নিরুপায় হয়ে সে সহযোগিতার জন্য শাহজাদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রাসেল শেখের শরণাপন্ন হয়। রাসেল স্থানীয় এমপি প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতাকে অবগত করলে সাথে সাথে ঐ শিক্ষার্থীকে বাসায় ডেকে এনে ভর্তির জন্য যা যা প্রয়োজন তার সব অর্থ প্রদান করেন এবং ভবিষ্যতে অর্থাভাবে যেন তার পড়াশোনা বন্ধ না হয়ে যায় সেজন্য সামগ্রিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এ সময় এমপি মেরিনা জাহান কবিতা সালমার পরিবারের খোঁজ খবর নেন এবং সালমা যে মনোবল না হারায় সেজন্য পরামর্শ দেন। সেইসাথে এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রথম শর্তই হচ্ছে স্মার্ট নাগরিক তৈরি করা। স্মার্ট নাগরিক হওয়ার জন্য লেখাপড়া করা দরকার। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। আর অর্থাভাবে কারো লেখাপড়া যেন আটকে না যায় সেজন্য খেয়াল রাখাও দায়িত্ব। তিনি আনো বলেন, ‘অতীতেও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি ভবিষ্যতেও পাশে থাকবো।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সুমগ্ন করিম, কৈজুরি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল আলম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রাসেল শেখ প্রমুখ।