আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
নিউজিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন দেশটির পুলিশ, শিক্ষা ও জনসেবাবিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস হিপকিনস। প্রধানমন্ত্রী পদে দলের মনোনয়ন পাওয়া একমাত্র ব্যক্তি হওয়ায় তিনিই এখন দেশটির কর্ণধার। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) শপথ নিয়েছেন তিনি।
ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ও মন্দার মধ্যে আগামী অক্টোবরের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টিকে জয়ী করার জন্য লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হবে ৪৪ বছর বয়সী ক্রিস হিপকিনসকে।
লেবার পার্টির নেতা ক্রিস হিপকিনস দেশটির প্রধানমন্ত্রী হলেন, গত সপ্তাহে জেসিন্ডা আরডার্নের আশ্চর্যজনকভাবে পদত্যাগের ঘোষণার পর। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) হঠাৎই পদত্যাগের ঘোষণা দেন জেসিন্ডা আরডার্ন।
পদত্যাগ করার কথা জানিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা বলেছিলেন, নিউজিল্যান্ডের বহু দুঃসময়ের সাক্ষী তিনি। ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সন্ত্রাসী হামলা এবং করোনা অতিমারী সামলাতে হয়েছে তাকে। এবার কাজ থেকে অব্যাহতি দিয়ে নিজের কাজ এবং পরিবারের সঙ্গে থাকতে চান তিনি। পার্লামেন্টে একথা জানিয়ে গভর্নমেন্ট হাউসে রাজা চার্লসের প্রতিনিধির হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দিয়েছিলেন জেসিন্ডা। তার পদত্যাগের কথা শুনে পার্লামেন্টের সাংসদেরা কার্যত হতবাক হয়ে পড়েছিলেন।
ক্রিস হিপকিন্স ২০০৮ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০২০ সালের জুলাইয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। ওই বছরের শেষ দিকে করোনাবিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব বর্তায় তাঁর ওপর। সে সময় শক্ত হাতে করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন হপকিন্স।
শপথ নেওয়ার পর ক্রিস হিপকিনস বলেন, এটি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সুযোগ এবং দায়িত্ব। কথা দিচ্ছি, সমস্ত দায়িত্ব সম্পূর্ণ গুরুত্ব দিয়ে পালন করার চেষ্টা করব। সাহসের সঙ্গে সামনের দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে চাই।
২০২০ সালে দেশটির ৫৩তম জাতীয় নির্বাচনে ন্যাশনাল পার্টির প্রধান কলিন্সকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসেন জেসিন্ডা আরডার্ন। এর আগে ৩৭ বছর বয়সে ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নারী সরকার প্রধান হওয়ার মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।
জেসিন্ডা করোনা মহামারি, ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলা ও হোয়াইট আইল্যান্ড আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে হওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পের মতো জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে নিউজিল্যান্ডের নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিশেষ করে, করোনাভাইরাসের বিপরীতে সফল ব্যবস্থাপনার কারণেই তিনি দ্বিতীয় মেয়াদেও জয়লাভ করেন তিনি। সূত্র: আল-জাজিরা।