ঢাকা ১১:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

লালমনিরহাটে বাল্য বিয়ে মুক্ত হয়নি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৩৯:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৫১৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

// মোঃ রেজাউল করিম, লালমনিরহাট //

লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভায় ঢাকঢোল পিটিয়ে বাল্য বিয়ে মুক্ত ঘোষণা করলেও আবারও বাল্য বিয়ে আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এছাড়াও বাল্য বিয়ের কারণে অল্পদিন সংসার করার পর বিবাহ বিচ্ছেদের শিকার হয়ে কোন কোন মেয়ে পিতার বাড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রামগঞ্জের অশিক্ষিত বিত্তহীন অল্প আয়ের পরিবারগুলোতে বাল্যবিয়ের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। প্রত্যন্ত ও গ্রামের অভিভাবক তাদের মেয়েদের বোঝা মনে করে কৈশোর পার হতে না হতে বিয়ে দেয়।

তারা মনে করেন, পরিবারের দরিদ্রতা যেখানে নিত্যদিনের সঙ্গী সেখানে মেয়েদের লেখাপড়া শিখিয়ে সুশিক্ষায় গড়ে তোলা তাদের কাছে অবাস্তব কল্পনা ছাড়া কিছুই না। তাদের মতে, মেয়েদের যত তাড়াতাড়ি বিয়ে দেয়া যায় ততই মঙ্গল।

অনেকে মনে করেন, বাল্যবিয়ে কম খরচে দেয়া যায় এ কথা চিন্তা করে তারা মেয়েদের কম বয়সে বিয়ে দিয়ে দায়মুক্তির ব্যর্থ চেষ্টা করে থাকেন। বাল্যবিয়ের কারণে অল্প বসে মেয়েরা গর্ভধারণ করে।

জানা যায়, বাল্যবিয়ের কারণে প্রতি বছর বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে অনেক দম্পতির। বিবাহ বিচ্ছেদের শিকার এসব মেয়ে বাবার বাড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছে। আর প্রতি বছর ঝুঁকিপূর্ণ ও অপ্রাপ্ত বয়সে গর্ভধারণ করায় প্রসবকালে মৃত্যু হয় অনেক নারীর। বাল্যবিয়ে রোধে সরকারিভাবে আইন থাকলেও সবখানে সে আইন প্রয়োগ হচ্ছে না। ২০১৫ সালের ২৭ নভেম্বর লালমনিরহাট জেলাকে বাল্য বিয়ে মুক্ত ঘোষণা দেয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

লালমনিরহাটে বাল্য বিয়ে মুক্ত হয়নি

আপডেট সময় : ০২:৩৯:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

// মোঃ রেজাউল করিম, লালমনিরহাট //

লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভায় ঢাকঢোল পিটিয়ে বাল্য বিয়ে মুক্ত ঘোষণা করলেও আবারও বাল্য বিয়ে আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এছাড়াও বাল্য বিয়ের কারণে অল্পদিন সংসার করার পর বিবাহ বিচ্ছেদের শিকার হয়ে কোন কোন মেয়ে পিতার বাড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রামগঞ্জের অশিক্ষিত বিত্তহীন অল্প আয়ের পরিবারগুলোতে বাল্যবিয়ের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। প্রত্যন্ত ও গ্রামের অভিভাবক তাদের মেয়েদের বোঝা মনে করে কৈশোর পার হতে না হতে বিয়ে দেয়।

তারা মনে করেন, পরিবারের দরিদ্রতা যেখানে নিত্যদিনের সঙ্গী সেখানে মেয়েদের লেখাপড়া শিখিয়ে সুশিক্ষায় গড়ে তোলা তাদের কাছে অবাস্তব কল্পনা ছাড়া কিছুই না। তাদের মতে, মেয়েদের যত তাড়াতাড়ি বিয়ে দেয়া যায় ততই মঙ্গল।

অনেকে মনে করেন, বাল্যবিয়ে কম খরচে দেয়া যায় এ কথা চিন্তা করে তারা মেয়েদের কম বয়সে বিয়ে দিয়ে দায়মুক্তির ব্যর্থ চেষ্টা করে থাকেন। বাল্যবিয়ের কারণে অল্প বসে মেয়েরা গর্ভধারণ করে।

জানা যায়, বাল্যবিয়ের কারণে প্রতি বছর বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে অনেক দম্পতির। বিবাহ বিচ্ছেদের শিকার এসব মেয়ে বাবার বাড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছে। আর প্রতি বছর ঝুঁকিপূর্ণ ও অপ্রাপ্ত বয়সে গর্ভধারণ করায় প্রসবকালে মৃত্যু হয় অনেক নারীর। বাল্যবিয়ে রোধে সরকারিভাবে আইন থাকলেও সবখানে সে আইন প্রয়োগ হচ্ছে না। ২০১৫ সালের ২৭ নভেম্বর লালমনিরহাট জেলাকে বাল্য বিয়ে মুক্ত ঘোষণা দেয়া হয়।