ঢাকা ০১:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

লাগামহীন বাজারে বাড়ল মাংসের দাম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:২৫:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৫৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাজারে আরেক দফা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি, সোনালি মুরগি ও গরুর মাংসের দাম। খাসির মাংসেও লেগেছে দামের বাড়তি আঁচ। চাল, ডাল, চিনি, সয়াবিনসহ বাজারে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল রয়েছে।

রাজধানীর মালিবাগ ও সেগুনবাগিচা বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, এক থেকে দেড় মাস ধরে মুরগির মাংসের বাজারে অস্থিরতা চলছে। এক মাসের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম আবারও বেড়েছে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এখন ব্রয়লার মুরগির দাম পড়ছে কেজিতে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা, এক মাস আগে যা ছিল ২০০ থেকে ২১০ টাকার মধ্যে। সোনালি মুরগির দাম এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা। ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া সোনালি মুরগি গতকাল বিক্রি হয়েছে ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা।

মূল্যবৃদ্ধির জন্য বড় খামারিদের দায়ী করছেন ক্ষুদ্র খামারিরা। বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, দেশে মুরগির বাচ্চা ও খাদ্য উৎপাদন করে অল্প কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। তারাই আবার ‘কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের’ মাধ্যমে মুরগি উৎপাদন করছে। ক্ষুদ্র খামারিদের হাত থেকে বাজারটা তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ায় তারা একতরফাভাবে দাম বাড়িয়ে রাখছে। এ অবস্থায় সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে ক্ষুদ্র খামারিদের আবার উৎপাদনে ফেরানো গেলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান ব্রয়লার মুরগির কেজি ২৫০ টাকা কেন তা খতিয়ে দেখতে বলেছেন।

তিনি জানান, অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট মুরগির অযৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করছে। এ ক্ষেত্রে গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি বাড়ানোর দরকার। প্রত্যেক দোকানে মূল্য তালিকা লাগাতে হবে। অন্যথায় বাজার কমিটির বিরুদ্ধে নেয়া হবে ব্যবস্থা।

এদিকে শবে বরাতের আগেই বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। তবে কোথাও কোথাওদাম ছিল আরেকটু কম। এক মাস আগে গরুর মাংস কেজিতে বেড়েছিল ৫০ টাকা। আর এক মাস আগে খাসির মাংস দরদাম করে ১ হাজার টাকায় কেনা যেত। সেটা এখন প্রতি কেজি ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকার নিচে কেনা যাচ্ছে না।

মাছ ও সবজির বাজারের উত্তাপ একটু কমলেও তা নিয়ে আশাবাদী হওয়ার সুযোগ নেই। প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। বাজারে চাল, ডাল, চিনি ও সয়াবিনের দামে কোনো পরিবর্তন নেই।

মিরপুর- ৬ নম্বর বাজারের ভাসমান আদা, রসুন ও পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ফোরকান উদ্দিন বলেন, বর্তমানে ভারতের পেঁয়াজের পাশাপাশি দেশীয় পেঁয়াজের ভরা মৌসুম চলছে। এজন্য আকৃতি ভেদে দেশি পেঁয়াজ বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। যেমন- বড় সাইজের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। মাঝারি আকৃতির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় আর ছোট সাইজের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। এছাড়া, ভারতীয় কালো জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে।

‘আদা ও রসুনের দামও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে চাইনিজ আদার দামটা নাগালের বাইরে গেলেও মিয়ানমারের আদা নাগালের মধ্যে আছে। কারণ, চাইনিজ আদা আমদানির খরচ অনেক বেড়েছে। এজন্য এ আদা বর্তমান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে। দাম বেশি হলেও এ আদা বাজারে নেই বললেই চলে। অন্যদিকে, মিয়ানমারের আদা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। অর্থাৎ চাইনিজ আদার তুলনায় দাম অর্ধেক। এছাড়া, দেশীয় পুরাতন রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। নতুন রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে, চাইনিজ রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়।’

‘বর্তমানে পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভালোমানের পেঁয়াজ ২৫ থেকে ২৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা কেজি দরে। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। অন্যদিকে, মিয়ানমার আদা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। চায়নাটা বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা দরে। আপাতত আমরা (শ্যামবাজারের ব্যবসায়ীরা) চায়না আদা আনছি না। কারণ, সেখানে আদার দাম অনেক বেশি।’

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকারভেদে ফুলকপি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৮০-৯০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

লাউ প্রতিটি আকারভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, কচুর লতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা ও ধুন্দুল ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কমেছে কাঁচামরিচের দাম। বাজারে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে। দুই সপ্তাহ আগে কাঁচামরিচের কেজি ছিল ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়।

বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। খোলা আটার কেজি ৬০ টাকা। প্যাকেট আটার কেজি ৬৫ টাকা। দুই কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।

দেশি মসুরের ডালের কেজি ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৭ টাকায়। লবণের কেজি ৩৮ থেকে ৪০ টাকা।

মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের সবজিবিক্রেতা মো. আমিন বলেন, দুই-একটি সবজির দাম বাড়তি আছে। অন্য সবজির দাম তেমন বাড়েনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

লাগামহীন বাজারে বাড়ল মাংসের দাম

আপডেট সময় : ১২:২৫:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩

বাজারে আরেক দফা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি, সোনালি মুরগি ও গরুর মাংসের দাম। খাসির মাংসেও লেগেছে দামের বাড়তি আঁচ। চাল, ডাল, চিনি, সয়াবিনসহ বাজারে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল রয়েছে।

রাজধানীর মালিবাগ ও সেগুনবাগিচা বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, এক থেকে দেড় মাস ধরে মুরগির মাংসের বাজারে অস্থিরতা চলছে। এক মাসের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম আবারও বেড়েছে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এখন ব্রয়লার মুরগির দাম পড়ছে কেজিতে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা, এক মাস আগে যা ছিল ২০০ থেকে ২১০ টাকার মধ্যে। সোনালি মুরগির দাম এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা। ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া সোনালি মুরগি গতকাল বিক্রি হয়েছে ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা।

মূল্যবৃদ্ধির জন্য বড় খামারিদের দায়ী করছেন ক্ষুদ্র খামারিরা। বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, দেশে মুরগির বাচ্চা ও খাদ্য উৎপাদন করে অল্প কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। তারাই আবার ‘কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের’ মাধ্যমে মুরগি উৎপাদন করছে। ক্ষুদ্র খামারিদের হাত থেকে বাজারটা তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ায় তারা একতরফাভাবে দাম বাড়িয়ে রাখছে। এ অবস্থায় সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে ক্ষুদ্র খামারিদের আবার উৎপাদনে ফেরানো গেলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান ব্রয়লার মুরগির কেজি ২৫০ টাকা কেন তা খতিয়ে দেখতে বলেছেন।

তিনি জানান, অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট মুরগির অযৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করছে। এ ক্ষেত্রে গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি বাড়ানোর দরকার। প্রত্যেক দোকানে মূল্য তালিকা লাগাতে হবে। অন্যথায় বাজার কমিটির বিরুদ্ধে নেয়া হবে ব্যবস্থা।

এদিকে শবে বরাতের আগেই বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। তবে কোথাও কোথাওদাম ছিল আরেকটু কম। এক মাস আগে গরুর মাংস কেজিতে বেড়েছিল ৫০ টাকা। আর এক মাস আগে খাসির মাংস দরদাম করে ১ হাজার টাকায় কেনা যেত। সেটা এখন প্রতি কেজি ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকার নিচে কেনা যাচ্ছে না।

মাছ ও সবজির বাজারের উত্তাপ একটু কমলেও তা নিয়ে আশাবাদী হওয়ার সুযোগ নেই। প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। বাজারে চাল, ডাল, চিনি ও সয়াবিনের দামে কোনো পরিবর্তন নেই।

মিরপুর- ৬ নম্বর বাজারের ভাসমান আদা, রসুন ও পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ফোরকান উদ্দিন বলেন, বর্তমানে ভারতের পেঁয়াজের পাশাপাশি দেশীয় পেঁয়াজের ভরা মৌসুম চলছে। এজন্য আকৃতি ভেদে দেশি পেঁয়াজ বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। যেমন- বড় সাইজের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। মাঝারি আকৃতির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় আর ছোট সাইজের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। এছাড়া, ভারতীয় কালো জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে।

‘আদা ও রসুনের দামও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে চাইনিজ আদার দামটা নাগালের বাইরে গেলেও মিয়ানমারের আদা নাগালের মধ্যে আছে। কারণ, চাইনিজ আদা আমদানির খরচ অনেক বেড়েছে। এজন্য এ আদা বর্তমান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে। দাম বেশি হলেও এ আদা বাজারে নেই বললেই চলে। অন্যদিকে, মিয়ানমারের আদা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। অর্থাৎ চাইনিজ আদার তুলনায় দাম অর্ধেক। এছাড়া, দেশীয় পুরাতন রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। নতুন রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে, চাইনিজ রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়।’

‘বর্তমানে পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভালোমানের পেঁয়াজ ২৫ থেকে ২৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা কেজি দরে। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। অন্যদিকে, মিয়ানমার আদা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। চায়নাটা বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা দরে। আপাতত আমরা (শ্যামবাজারের ব্যবসায়ীরা) চায়না আদা আনছি না। কারণ, সেখানে আদার দাম অনেক বেশি।’

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকারভেদে ফুলকপি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৮০-৯০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

লাউ প্রতিটি আকারভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, কচুর লতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা ও ধুন্দুল ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কমেছে কাঁচামরিচের দাম। বাজারে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে। দুই সপ্তাহ আগে কাঁচামরিচের কেজি ছিল ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়।

বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। খোলা আটার কেজি ৬০ টাকা। প্যাকেট আটার কেজি ৬৫ টাকা। দুই কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।

দেশি মসুরের ডালের কেজি ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৭ টাকায়। লবণের কেজি ৩৮ থেকে ৪০ টাকা।

মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের সবজিবিক্রেতা মো. আমিন বলেন, দুই-একটি সবজির দাম বাড়তি আছে। অন্য সবজির দাম তেমন বাড়েনি।