ঢাকা ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রেল খাতকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে : রেলমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১৬:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, একটি ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে রেলওয়ের উন্নয়নে কাজ হচ্ছে। রেল ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকার ২০১১ সালে আলাদা মন্ত্রণালয় করে দিয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে আমরা একটি রুগ্ণ, ভঙ্গুর রেল ব্যবস্থা পেয়েছি, সেখান থেকে রেল খাতকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রেল ভবনে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সুবিধাদি প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের পরামর্শক সেবা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের সঙ্গে ছয়টি যৌথ পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

রেলমন্ত্রী বলেন, পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ ৩০ মাস। কিন্তু আমাদের সরকারের মেয়াদ এক বছরেরও কম আছে। আমরা ঐতিহ্যগতভাবে রেল ব্যবস্থা পেয়েছি। আধুনিক রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ২০৪৫ সাল পর্যন্ত স্বল্প, মধ্য, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

সুজন আরও বলেন, আমাদের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের ওপর সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও বিস্তারিত নকশা তৈরির কাজের লক্ষ্যে কনসালটেন্সি সার্ভিস নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হার্ডিঞ্জ সেতু শতবর্ষ পার করেছে। হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশাপাশি একটি নতুন সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে যাচাইকরণ ও বিস্তারিত নকশা তৈরি, নারায়ণগঞ্জ-কুমিল্লা/লাকসাম রুটে কর্ড লাইন নির্মাণ করা। এটি নির্মিত হলে ঢাকা-চট্টগ্রামের দূরত্ব ৯১ কিলোমিটার কমে যাবে।

রেলমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-তারাকান্দি-জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ বাজার সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েল গেজে রূপান্তর প্রকল্প, যশোর-বেনাপোল রুটে বিদ্যমান লাইনের সমান্তরাল একটি ব্রডগেজ লাইন নির্মাণ প্রকল্প, ভৈরব বাজার-ময়মনসিংহ সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েল গেজ অথবা ব্রডগেজ লাইনে রূপান্তর প্রকল্প, সান্তাহার-বগুড়া-কাউনিয়া-লালমনিরহাট সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজকে ব্রডগেজ লাইনে রূপান্তরকরণ প্রকল্পসহ মোট ১১টি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও বিস্তারিত নকশা তৈরির লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো।

নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, আমরা নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি সারা দেশকে একগেজে রূপান্তর করার। এ লক্ষ্যে সব মিটারগেজ পর্যায়ক্রমে ব্রডগেজে রূপান্তর করা হবে।

কনসালটেন্স সার্ভিসের বিষয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, আমাদের যেসব কর্মকর্তা চাকরি থেকে চলে যাচ্ছেন তাদের সমন্বয়ে নিজস্ব কনসালটেন্সি ফার্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে রেলওয়ে কাজ করছে। এর দ্বারা দেশের নিজস্ব সক্ষমতা গড়ে উঠবে, পাশাপাশি দেশের অর্থ বাঁচবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান প্রমুখ।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

রেল খাতকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে : রেলমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৩:১৬:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, একটি ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে রেলওয়ের উন্নয়নে কাজ হচ্ছে। রেল ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকার ২০১১ সালে আলাদা মন্ত্রণালয় করে দিয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে আমরা একটি রুগ্ণ, ভঙ্গুর রেল ব্যবস্থা পেয়েছি, সেখান থেকে রেল খাতকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রেল ভবনে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সুবিধাদি প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের পরামর্শক সেবা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের সঙ্গে ছয়টি যৌথ পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

রেলমন্ত্রী বলেন, পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ ৩০ মাস। কিন্তু আমাদের সরকারের মেয়াদ এক বছরেরও কম আছে। আমরা ঐতিহ্যগতভাবে রেল ব্যবস্থা পেয়েছি। আধুনিক রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ২০৪৫ সাল পর্যন্ত স্বল্প, মধ্য, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

সুজন আরও বলেন, আমাদের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের ওপর সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও বিস্তারিত নকশা তৈরির কাজের লক্ষ্যে কনসালটেন্সি সার্ভিস নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হার্ডিঞ্জ সেতু শতবর্ষ পার করেছে। হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশাপাশি একটি নতুন সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে যাচাইকরণ ও বিস্তারিত নকশা তৈরি, নারায়ণগঞ্জ-কুমিল্লা/লাকসাম রুটে কর্ড লাইন নির্মাণ করা। এটি নির্মিত হলে ঢাকা-চট্টগ্রামের দূরত্ব ৯১ কিলোমিটার কমে যাবে।

রেলমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-তারাকান্দি-জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ বাজার সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েল গেজে রূপান্তর প্রকল্প, যশোর-বেনাপোল রুটে বিদ্যমান লাইনের সমান্তরাল একটি ব্রডগেজ লাইন নির্মাণ প্রকল্প, ভৈরব বাজার-ময়মনসিংহ সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েল গেজ অথবা ব্রডগেজ লাইনে রূপান্তর প্রকল্প, সান্তাহার-বগুড়া-কাউনিয়া-লালমনিরহাট সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজকে ব্রডগেজ লাইনে রূপান্তরকরণ প্রকল্পসহ মোট ১১টি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও বিস্তারিত নকশা তৈরির লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো।

নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, আমরা নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি সারা দেশকে একগেজে রূপান্তর করার। এ লক্ষ্যে সব মিটারগেজ পর্যায়ক্রমে ব্রডগেজে রূপান্তর করা হবে।

কনসালটেন্স সার্ভিসের বিষয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, আমাদের যেসব কর্মকর্তা চাকরি থেকে চলে যাচ্ছেন তাদের সমন্বয়ে নিজস্ব কনসালটেন্সি ফার্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে রেলওয়ে কাজ করছে। এর দ্বারা দেশের নিজস্ব সক্ষমতা গড়ে উঠবে, পাশাপাশি দেশের অর্থ বাঁচবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান প্রমুখ।