ঢাকা ০৬:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
আজকের সেহরি ও ইফতার ::
ঢাকায় সেহেরি ৪:৩৩ মি. ইফতার ৬:১৭ মি.:: চট্টগ্রামে সেহেরি ৪:২৮ মি. ইফতার ৬:১১ মি. :: রাজশাহীতে সেহেরি ৪:৩৯ মি. ইফতার ৬:২৪ মি. :: খুলনায় সেহেরি ৪:৩৭ মি. ইফতার ৬:২০ মি. :: বরিশালে সেহেরি ৪:৩৪ মি. ইফতার ৬:১৭ মি. :: সিলেটে সেহেরি ৪:২৬ মি. ইফতার ৬:১১ মি. :: রংপুরে সেহেরি ৪:৩৭ মি. ইফতার ৬:২২ মি. :: ময়মনসিংহে সেহেরি ৪:৩২ মি. ইফতার ৬:১৭ মি. ::::

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ নেই বিএনপির : মোশাররফ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:০২:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিন চুপপুকে মনোনয়ন সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আমরা আজকে যে উদ্দেশ্যে প্রেস ব্রিফিংয়ের জন্য ডেকেছি গতকালের ইউনিয়ন পদযাত্রায় সংঘটিত বিষয়গুলো আপনাদেরকে অবহিত করা। আপনারা তো জানেন যে আমাদের ১০ দফা দাবির প্রথম দফা হচ্ছে এই অবৈধ স্বৈরাচারী সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, তত্ত্ববধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এসব হলো ইস্যু। এই সরকার কি করছে, না করছে এসব বিষয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

তিনি বলেন, চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বাধাগ্রস্থ করতে বর্তমান ফ্যাসিস্ট, বাকশালী আওয়ামী সরকার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রাকে বানচাল করতে দলীয় সন্ত্রাসী ও কিছু সংখ্যক পুলিশকে লেলিয়ে দিয়েছিল। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির পদযাত্রায় আওয়ামী সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হামলা ও গুলি চালায়।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, নরসিংদীর পলাশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেকমন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খানের মিছিল থেকে ব্যানার ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া যশোরে ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ অমিত-এর ওপর ডিবি পুলিশ বর্বরচিত হামলা চালায়। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায় হামলা হয়েছে। পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় প্রায় ৫০০ শতাধিক নেতার্মীদের আহত হয়েছে। প্রায় শতাধিক বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠা ভাঙচুর এবং লুটপাট চালিয়েছে তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ২০০ শতাধিক বিএনপি’র নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।

তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক দল যখন পাল্টা কর্মসূচি দেয় তখন বুঝতে হবে তারা একেবারেই দেউলিয়া হয়ে গেছে। তাদের শক্তি আজকে শূন্যের কোটায়। ভীত হয়ে তারা পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে। তাদের এই ধরনের পাল্টা কর্মসূচি সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে কেউ গ্রহণ করে না। আমরা যেদিন কর্মসূচি দিয়ে থাকি সেদিন তারা পাল্টা কর্মসূচি দেয়। এর মাধ্যমেই প্রমাণিত হয় তারা দিশেহারা হয়ে দেশে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে।

ড. মোশাররফ বলেন, বিএনপি জনগণের দাবি নিয়ে যখনই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিচ্ছে ঠিক সেই মুহূর্তে একই স্থানে বর্তমান ফ্যাসিবাদী শাসকগোষ্ঠি পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে সন্ত্রাসকে উসকে দিয়ে দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে চায়। জনগণের রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অর্থ ব্যয় করে পুলিশ পাহারায় শান্তি সমাবেশের নামে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বানানোর সব প্রক্রিয়া চলছে। গতকাল সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের এমপিদের প্রত্যক্ষ নির্দেশে কোথাও কোথাও সরাসরি অংশগ্রহনের মাধ্যমে বিএনপিসহ নিরিহ জনগোষ্ঠীর ঘরবাড়ি, জানমালের উপরে হামলা করেছে, যার দৃশ্য আপনারা অবলোকন করেছেন। আমি ধন্যবাদ জানাই প্রিন্ট এবং ইলেক্টনিক মিডিয়ার কর্তৃপক্ষ ও সাংবাদিক ভাইদের, যারা গতকালকের তৃনমূলের পদযাত্রা এবং এই পদযাত্রার উপর আওয়ামী সন্ত্রাসী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নির্মম হামলার ঘটনা স্বচিত্র প্রকাশ/সম্প্রচার করেছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশি হামলা সত্বেও গণতন্ত্রকামী জনতা দানবীয় সরকারের রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে রাজপথে এসে কর্মসূচি সফল করে প্রমাণ করেছে, এ সরকার জনবিচ্ছিন্ন। যুগে যুগে কোন অত্যাচারী সরকার জুলুম, নির্যাতন করে টিকে থাকতে পারেনি, এই সরকারও পারবে না।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, গত ১৪ বছর ৫০ লক্ষ নেতা-কর্মীদের বানোয়াট নামে মামলা করে এবং সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে খুন-গুম করেও বিএনপি’র নেতাকর্মীসহ দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণকে এই সরকার দমাতে পারেনি। তাই ভোটারবিহীন সরকারের বিদায় এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। নির্যাতনের মাত্রা যত বাড়বে, সরকারের বিদায় ঘণ্টা ততই ত্বরান্বিত হবে। এখনও সময় আছে জনগণের ভাষা বুঝে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিয়ে অবিলম্বে সংসদ বাতিল করে পদত্যাগ করুন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, নিরীহ, নিরাপরাধ জনগণের ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন বন্ধ করুন।

তিনি বলেন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, চাল, ডাল, তেল, আটাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও সার, ডিজেলসহ কৃষি উপকরণের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে গতকাল ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। যদিও গত কয়েকদিন বিএনপি নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও গণগ্রেফতার অব্যাহত রেখেছিল। তারপরও দেশব্যাপি প্রায় সকল ইউনিয়নে গতকাল অত্যন্ত সফলভাবে কর্মসুচি পালিত হয়েছে। দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ ছিল অসাধারণ ও অভূতপূর্ব। ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মসুচিকে সফল করায় চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আপনাদের মাধ্যমে আমি দেশবাসীসহ দলীয় কর্মীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ।

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/g76f

নিউজটি শেয়ার করুন

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ নেই বিএনপির : মোশাররফ

আপডেট সময় : ০২:০২:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিন চুপপুকে মনোনয়ন সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আমরা আজকে যে উদ্দেশ্যে প্রেস ব্রিফিংয়ের জন্য ডেকেছি গতকালের ইউনিয়ন পদযাত্রায় সংঘটিত বিষয়গুলো আপনাদেরকে অবহিত করা। আপনারা তো জানেন যে আমাদের ১০ দফা দাবির প্রথম দফা হচ্ছে এই অবৈধ স্বৈরাচারী সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, তত্ত্ববধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এসব হলো ইস্যু। এই সরকার কি করছে, না করছে এসব বিষয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

তিনি বলেন, চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বাধাগ্রস্থ করতে বর্তমান ফ্যাসিস্ট, বাকশালী আওয়ামী সরকার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রাকে বানচাল করতে দলীয় সন্ত্রাসী ও কিছু সংখ্যক পুলিশকে লেলিয়ে দিয়েছিল। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির পদযাত্রায় আওয়ামী সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হামলা ও গুলি চালায়।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, নরসিংদীর পলাশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেকমন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খানের মিছিল থেকে ব্যানার ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া যশোরে ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ অমিত-এর ওপর ডিবি পুলিশ বর্বরচিত হামলা চালায়। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায় হামলা হয়েছে। পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় প্রায় ৫০০ শতাধিক নেতার্মীদের আহত হয়েছে। প্রায় শতাধিক বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠা ভাঙচুর এবং লুটপাট চালিয়েছে তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ২০০ শতাধিক বিএনপি’র নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।

তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক দল যখন পাল্টা কর্মসূচি দেয় তখন বুঝতে হবে তারা একেবারেই দেউলিয়া হয়ে গেছে। তাদের শক্তি আজকে শূন্যের কোটায়। ভীত হয়ে তারা পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে। তাদের এই ধরনের পাল্টা কর্মসূচি সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে কেউ গ্রহণ করে না। আমরা যেদিন কর্মসূচি দিয়ে থাকি সেদিন তারা পাল্টা কর্মসূচি দেয়। এর মাধ্যমেই প্রমাণিত হয় তারা দিশেহারা হয়ে দেশে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে।

ড. মোশাররফ বলেন, বিএনপি জনগণের দাবি নিয়ে যখনই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিচ্ছে ঠিক সেই মুহূর্তে একই স্থানে বর্তমান ফ্যাসিবাদী শাসকগোষ্ঠি পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে সন্ত্রাসকে উসকে দিয়ে দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে চায়। জনগণের রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অর্থ ব্যয় করে পুলিশ পাহারায় শান্তি সমাবেশের নামে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বানানোর সব প্রক্রিয়া চলছে। গতকাল সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের এমপিদের প্রত্যক্ষ নির্দেশে কোথাও কোথাও সরাসরি অংশগ্রহনের মাধ্যমে বিএনপিসহ নিরিহ জনগোষ্ঠীর ঘরবাড়ি, জানমালের উপরে হামলা করেছে, যার দৃশ্য আপনারা অবলোকন করেছেন। আমি ধন্যবাদ জানাই প্রিন্ট এবং ইলেক্টনিক মিডিয়ার কর্তৃপক্ষ ও সাংবাদিক ভাইদের, যারা গতকালকের তৃনমূলের পদযাত্রা এবং এই পদযাত্রার উপর আওয়ামী সন্ত্রাসী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নির্মম হামলার ঘটনা স্বচিত্র প্রকাশ/সম্প্রচার করেছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশি হামলা সত্বেও গণতন্ত্রকামী জনতা দানবীয় সরকারের রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে রাজপথে এসে কর্মসূচি সফল করে প্রমাণ করেছে, এ সরকার জনবিচ্ছিন্ন। যুগে যুগে কোন অত্যাচারী সরকার জুলুম, নির্যাতন করে টিকে থাকতে পারেনি, এই সরকারও পারবে না।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, গত ১৪ বছর ৫০ লক্ষ নেতা-কর্মীদের বানোয়াট নামে মামলা করে এবং সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে খুন-গুম করেও বিএনপি’র নেতাকর্মীসহ দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণকে এই সরকার দমাতে পারেনি। তাই ভোটারবিহীন সরকারের বিদায় এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। নির্যাতনের মাত্রা যত বাড়বে, সরকারের বিদায় ঘণ্টা ততই ত্বরান্বিত হবে। এখনও সময় আছে জনগণের ভাষা বুঝে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিয়ে অবিলম্বে সংসদ বাতিল করে পদত্যাগ করুন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, নিরীহ, নিরাপরাধ জনগণের ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন বন্ধ করুন।

তিনি বলেন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, চাল, ডাল, তেল, আটাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও সার, ডিজেলসহ কৃষি উপকরণের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে গতকাল ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। যদিও গত কয়েকদিন বিএনপি নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও গণগ্রেফতার অব্যাহত রেখেছিল। তারপরও দেশব্যাপি প্রায় সকল ইউনিয়নে গতকাল অত্যন্ত সফলভাবে কর্মসুচি পালিত হয়েছে। দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ ছিল অসাধারণ ও অভূতপূর্ব। ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মসুচিকে সফল করায় চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আপনাদের মাধ্যমে আমি দেশবাসীসহ দলীয় কর্মীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ।

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/g76f