ঢাকা ১০:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রাজারহাটে চাকিরপশার বিল রক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৮:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৫৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :

কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্বাক্ষী চাকিরপশার বিল রক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে রাজারহাট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এলাকাবাসীর ব্যানারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অবঃ) ইউনুস আলী ও সার্ভেয়ার আব্দুল জলিল মূল বক্তব্য পাঠ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মেজর (অবঃ) ইউনুস আলী বলেন, চাকিরপশার বিলকে নদ দাবি করে নদী বাচাঁও নামে একটি কমিটি নানা অপপ্রচার করে আসছে। তারা কৃষকদের চাষাবাদ যোগ্য জমিকে নদীতে পরিনত করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এই উপজেলায় এমনিতেই শতাধিক বিল রয়েছে। তিস্তা ও ধরলার ভাঙনে প্রতিবছর উপজেলার চারটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামগুলো নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তার উপর ইতিহাস বিকৃত করে বিলকে নদীতে সংযোগের অপচেষ্টা করছে ওই সংগঠনটি। এমন হলে খাল কেটে কুমির আনার মত ঘটনা হবে। সম্প্রতি একটি জাতীয় পত্রিকায় চাকিরপশার বিল নিয়ে “নদের জমি বেচেছেন কৃষকলীগ নেতা” শিরোনামে প্রকাশিত রিপোর্টের ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে তিনি আদালতে মামলাও করেছেন বলে জানান।

সম্মেলনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পী বলেন, চাকিরপশার বিল যেখানে শাপলা,পদ্ম ফুলের লীলাভূমি, এই বিলে চাষাবাদ করে এবং মাছ ধরে মানুষ জীবন জীবিকা নির্বাহ করে। সেটিকে নদীতে রুপান্তরের অপচেষ্টা মানা যায় না।

রাজারহাটবাসীর ব্যানারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন আয়োজকদের মধ্যে অন্যান্যরা হলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আশিকুর ইসলাম মন্ডল সাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আজগর আলী, আহসান হাবিব টিটু, ফারুক মন্ডল, বাবলু মিয়া ও শামসুল ইসলাম । এ সময় তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে চকিরপশার নদী সুরক্ষা কমিটির সমন্বয়ক ড.তুহিন ওয়াদুদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ইটাকুড়ি থেকে উলিপুরের কাচকোল এটা ৫০ কিলোমিটার একটা দীর্ঘ প্রবাহ। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের তদন্ত দল বলেছে এটা পুরোনো বুড়ি তিস্তা। অবৈধ দখলদাররা বিল দাবি করলেও তাদের এক ইঞ্চি জমি অবৈধভাবে বিলেরও নেয়ার সুযোগ নেই।

বা/খ : এসআর।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

রাজারহাটে চাকিরপশার বিল রক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ০৪:৫৮:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :

কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্বাক্ষী চাকিরপশার বিল রক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে রাজারহাট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এলাকাবাসীর ব্যানারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অবঃ) ইউনুস আলী ও সার্ভেয়ার আব্দুল জলিল মূল বক্তব্য পাঠ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মেজর (অবঃ) ইউনুস আলী বলেন, চাকিরপশার বিলকে নদ দাবি করে নদী বাচাঁও নামে একটি কমিটি নানা অপপ্রচার করে আসছে। তারা কৃষকদের চাষাবাদ যোগ্য জমিকে নদীতে পরিনত করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এই উপজেলায় এমনিতেই শতাধিক বিল রয়েছে। তিস্তা ও ধরলার ভাঙনে প্রতিবছর উপজেলার চারটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামগুলো নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তার উপর ইতিহাস বিকৃত করে বিলকে নদীতে সংযোগের অপচেষ্টা করছে ওই সংগঠনটি। এমন হলে খাল কেটে কুমির আনার মত ঘটনা হবে। সম্প্রতি একটি জাতীয় পত্রিকায় চাকিরপশার বিল নিয়ে “নদের জমি বেচেছেন কৃষকলীগ নেতা” শিরোনামে প্রকাশিত রিপোর্টের ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে তিনি আদালতে মামলাও করেছেন বলে জানান।

সম্মেলনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পী বলেন, চাকিরপশার বিল যেখানে শাপলা,পদ্ম ফুলের লীলাভূমি, এই বিলে চাষাবাদ করে এবং মাছ ধরে মানুষ জীবন জীবিকা নির্বাহ করে। সেটিকে নদীতে রুপান্তরের অপচেষ্টা মানা যায় না।

রাজারহাটবাসীর ব্যানারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন আয়োজকদের মধ্যে অন্যান্যরা হলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আশিকুর ইসলাম মন্ডল সাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আজগর আলী, আহসান হাবিব টিটু, ফারুক মন্ডল, বাবলু মিয়া ও শামসুল ইসলাম । এ সময় তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে চকিরপশার নদী সুরক্ষা কমিটির সমন্বয়ক ড.তুহিন ওয়াদুদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ইটাকুড়ি থেকে উলিপুরের কাচকোল এটা ৫০ কিলোমিটার একটা দীর্ঘ প্রবাহ। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের তদন্ত দল বলেছে এটা পুরোনো বুড়ি তিস্তা। অবৈধ দখলদাররা বিল দাবি করলেও তাদের এক ইঞ্চি জমি অবৈধভাবে বিলেরও নেয়ার সুযোগ নেই।

বা/খ : এসআর।