ঢাকা ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হাসান আজিজুল হকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:১০:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৪৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজশাহী ব্যুরোঃ

আজ ১৫ নভেম্বর প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক হাসান আজিজুল হকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দিনটি বিভিন্ন আয়োজন-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়।

এদিন সকাল ৯:১৫ মিনিটে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার চত্বরে মরহুমের সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।সেখানে মরহুমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও মোনাজাত করা হয়।

এসময় অন্যদের মধ্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক (অব.) মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আবদুস সালাম, প্রক্টর অধ্যাপক মো. আসাবুল হক, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, অনুষদ অধিকর্তা, হল প্রাধ্যক্ষ, বিভাগীয় সভাপতি, ইনস্টিটিউট পরিচালক প্রমুখসহ সংশ্লিষ্ট অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে দর্শন বিভাগসহ অন্যান্য সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন অধ্যাপক হাসান আজিজুল হকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করে।

বেলা ১১:৩০ মিনিটে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ অনুষ্ঠান।এতে আলোচক হিসেবে হাসান আজিজুল হকের জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা করেন রাবি ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক সনৎকুমার সাহা।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে এই স্মরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক (অব.) মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

স্মরণ অনুষ্ঠানে বাংলা কথাসাহিত্যে অধ্যাপক হাসান আজিজুল হকের অবদানের কথা স্মরণ করে বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক সনৎকুমার সাহা বলেন, অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক চলার পথে যে মানবিক যন্ত্রণা পেয়েছেন তা তাঁর সাহিত্যকর্মের মধ্য দিয়ে ফুটে উঠেছে।তিনি তাঁর লেখনীর মাধ্যমে একজন নিগৃহীত মানুষকে মানবিক বাস্তবতায় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। ‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই’ এ বাক্যটিকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন তাঁর লেখনীর মাধ্যমে।

তিনি আরো বলেন, মনুষ্য সত্যকে তিনি যে পূর্ণতা দিয়েছেন সেটা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর যে সাহিত্য প্রতিভা তা বাংলা সাহিত্যজগতে চিরদিন সমাদৃত হয়ে থাকবে। তাঁর প্রতি আমাদের যে আবেগ আছে সেটি মোটেও কাচা নয়, এক গভীর আবেগ।এ আবেগ ধরে রাখতে পারলে আমাদেরই কল্যাণ। তিনি আমাদের গভীরে গেঁথে আছেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন। তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সমাহিত করে আমরা চিরস্মরণীয় করে রাখতে পেরে আমরা গর্বিত। যদিও এতে আমাদের বেদনার উপশম হয় না।

অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক যে বিশাল প্রতিভার অধিকারী ছিলো তা এক স্মরণ অনুষ্ঠানের সীমিত পরিসরে বলে শেষ করা যাবে না। বাংলা কথাসাহিত্যের বরপূত্র হাসান আজিজুল হক যখনই প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি তখনই তার বিরুদ্ধে লিখেছেন। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে যে কয়েকজন বাংলা সাহিত্যে ক্ষুরধার লেখনী চর্চা করেছেন তিনি ছিলেন তাঁদের অন্যতম। তাঁর অসাধারণ ভাষাশৈলী, বিষয়বস্তুকে সহজবোধ্য করে তুলে ধরা, জীবনঘনিষ্ঠ বিষয়বস্তু নির্বাচন এসবই তাঁর কর্মকে বিশিষ্টতা দিয়েছে। তাঁর মৃত্যু আমাদের সাহিত্যঙ্গণে অসীম শুন্যতার সৃষ্টি করেছে। হাসান আজিজুল হককে জানতে ও বুঝতে হলে তাঁর কর্ম নিয়ে নিবিড় গবেষণা প্রয়োজন।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর তাঁর বক্তৃতায় বলেন অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক শারীরিকভাবে আমাদের মধ্যে নেই, আছেন তাঁর কর্মের মাধ্যমে। তিনি ছিলেন বহুমাত্রিক প্রতিভাবান মানুষ। তিনি যে জ্ঞান আমাদের মাঝে দিয়েছেন তার জন্য আমরা অশেষ কৃতজ্ঞ। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের মানুষ তাঁর কাছে ঋণী। শিক্ষক হিসেবে তিনি দর্শনের মতো জটিল বিষয়কে সহজ করে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের মধ্যে তুলে ধরেছেন। তাঁর জ্ঞান আমাদের সাহিত্য ও দর্শন চিন্তার জগতকে সমৃদ্ধ করেছে। আমরা যত বেশি তাঁর কর্ম নিয়ে চর্চা করবো ততই বেশি জানতে পারবো বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

সভাপতির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন,অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক ছিলেন প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক চিন্তা চেতনার অধিকারী এক বহুমাত্রিক কথাসাহিত্যিক। তিনি সবসময় তাঁর সৃজনশীলতা দিয়ে সবধরণের অন্যায়-অবিচার, সাম্প্রদায়িকতা,কূপমÐুকতার বিরুদ্ধে লিখে গিয়েছেন।তিনি ছিলেন একজন অমায়িক বন্ধুবৎসল মানুষ, পছন্দ করতেন মানুষের সঙ্গ। নিজ অধ্যাপনার বিষয় দর্শনে ছিল তাঁর অগাধ দখল। দর্শনের মতো একটি বিষয়কেও তিনি তাঁর ভাষার দখল দিয়ে হৃদয়গ্রাহী করে শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরতেন।

স্মরণ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন দর্শন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক নিলুফার আহমেদ। সেখানে পরিবারের পক্ষ থেকে হাসান আজিজুল হকের নাতি অনির্বাণ হাসানসহ দর্শন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মহেন্দ্রনাথ অধিকারী,ইতিহাস বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক নূরুল হোসেন চৌধুরী,বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক কবি জুলফিকার মতিন, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক এস এম আবু বকর, ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক মলয় ভৌমিক প্রমুখ স্মৃতিচারণ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে স্মরণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

বা/খ :

নিউজটি শেয়ার করুন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হাসান আজিজুল হকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

আপডেট সময় : ০৬:১০:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২

রাজশাহী ব্যুরোঃ

আজ ১৫ নভেম্বর প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক হাসান আজিজুল হকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দিনটি বিভিন্ন আয়োজন-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়।

এদিন সকাল ৯:১৫ মিনিটে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার চত্বরে মরহুমের সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।সেখানে মরহুমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও মোনাজাত করা হয়।

এসময় অন্যদের মধ্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক (অব.) মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আবদুস সালাম, প্রক্টর অধ্যাপক মো. আসাবুল হক, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, অনুষদ অধিকর্তা, হল প্রাধ্যক্ষ, বিভাগীয় সভাপতি, ইনস্টিটিউট পরিচালক প্রমুখসহ সংশ্লিষ্ট অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে দর্শন বিভাগসহ অন্যান্য সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন অধ্যাপক হাসান আজিজুল হকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করে।

বেলা ১১:৩০ মিনিটে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ অনুষ্ঠান।এতে আলোচক হিসেবে হাসান আজিজুল হকের জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা করেন রাবি ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক সনৎকুমার সাহা।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে এই স্মরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক (অব.) মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

স্মরণ অনুষ্ঠানে বাংলা কথাসাহিত্যে অধ্যাপক হাসান আজিজুল হকের অবদানের কথা স্মরণ করে বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক সনৎকুমার সাহা বলেন, অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক চলার পথে যে মানবিক যন্ত্রণা পেয়েছেন তা তাঁর সাহিত্যকর্মের মধ্য দিয়ে ফুটে উঠেছে।তিনি তাঁর লেখনীর মাধ্যমে একজন নিগৃহীত মানুষকে মানবিক বাস্তবতায় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। ‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই’ এ বাক্যটিকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন তাঁর লেখনীর মাধ্যমে।

তিনি আরো বলেন, মনুষ্য সত্যকে তিনি যে পূর্ণতা দিয়েছেন সেটা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর যে সাহিত্য প্রতিভা তা বাংলা সাহিত্যজগতে চিরদিন সমাদৃত হয়ে থাকবে। তাঁর প্রতি আমাদের যে আবেগ আছে সেটি মোটেও কাচা নয়, এক গভীর আবেগ।এ আবেগ ধরে রাখতে পারলে আমাদেরই কল্যাণ। তিনি আমাদের গভীরে গেঁথে আছেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন। তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সমাহিত করে আমরা চিরস্মরণীয় করে রাখতে পেরে আমরা গর্বিত। যদিও এতে আমাদের বেদনার উপশম হয় না।

অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক যে বিশাল প্রতিভার অধিকারী ছিলো তা এক স্মরণ অনুষ্ঠানের সীমিত পরিসরে বলে শেষ করা যাবে না। বাংলা কথাসাহিত্যের বরপূত্র হাসান আজিজুল হক যখনই প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি তখনই তার বিরুদ্ধে লিখেছেন। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে যে কয়েকজন বাংলা সাহিত্যে ক্ষুরধার লেখনী চর্চা করেছেন তিনি ছিলেন তাঁদের অন্যতম। তাঁর অসাধারণ ভাষাশৈলী, বিষয়বস্তুকে সহজবোধ্য করে তুলে ধরা, জীবনঘনিষ্ঠ বিষয়বস্তু নির্বাচন এসবই তাঁর কর্মকে বিশিষ্টতা দিয়েছে। তাঁর মৃত্যু আমাদের সাহিত্যঙ্গণে অসীম শুন্যতার সৃষ্টি করেছে। হাসান আজিজুল হককে জানতে ও বুঝতে হলে তাঁর কর্ম নিয়ে নিবিড় গবেষণা প্রয়োজন।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর তাঁর বক্তৃতায় বলেন অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক শারীরিকভাবে আমাদের মধ্যে নেই, আছেন তাঁর কর্মের মাধ্যমে। তিনি ছিলেন বহুমাত্রিক প্রতিভাবান মানুষ। তিনি যে জ্ঞান আমাদের মাঝে দিয়েছেন তার জন্য আমরা অশেষ কৃতজ্ঞ। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের মানুষ তাঁর কাছে ঋণী। শিক্ষক হিসেবে তিনি দর্শনের মতো জটিল বিষয়কে সহজ করে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের মধ্যে তুলে ধরেছেন। তাঁর জ্ঞান আমাদের সাহিত্য ও দর্শন চিন্তার জগতকে সমৃদ্ধ করেছে। আমরা যত বেশি তাঁর কর্ম নিয়ে চর্চা করবো ততই বেশি জানতে পারবো বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

সভাপতির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন,অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক ছিলেন প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক চিন্তা চেতনার অধিকারী এক বহুমাত্রিক কথাসাহিত্যিক। তিনি সবসময় তাঁর সৃজনশীলতা দিয়ে সবধরণের অন্যায়-অবিচার, সাম্প্রদায়িকতা,কূপমÐুকতার বিরুদ্ধে লিখে গিয়েছেন।তিনি ছিলেন একজন অমায়িক বন্ধুবৎসল মানুষ, পছন্দ করতেন মানুষের সঙ্গ। নিজ অধ্যাপনার বিষয় দর্শনে ছিল তাঁর অগাধ দখল। দর্শনের মতো একটি বিষয়কেও তিনি তাঁর ভাষার দখল দিয়ে হৃদয়গ্রাহী করে শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরতেন।

স্মরণ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন দর্শন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক নিলুফার আহমেদ। সেখানে পরিবারের পক্ষ থেকে হাসান আজিজুল হকের নাতি অনির্বাণ হাসানসহ দর্শন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মহেন্দ্রনাথ অধিকারী,ইতিহাস বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক নূরুল হোসেন চৌধুরী,বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক কবি জুলফিকার মতিন, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক এস এম আবু বকর, ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক মলয় ভৌমিক প্রমুখ স্মৃতিচারণ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে স্মরণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

বা/খ :