মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ০৪:৪৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
আমতলীর দলিলের বালাম ১৯০১-১৯৯২ সাল পর্যন্ত আজো বরগুনা জেলায় পৌঁছেনি মীরসরাইয়ে শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেপ্তার তাড়াশে আড়াই কেজি গাঁজাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ী আটক বানারীপাড়ায় চক্ষু বিষয়ক সচেতনতামূলক উঠান বৈঠক শ্রীপুরে হত্যা মামলার দুই আসামী আটক ভারতজুড়ে কংগ্রেসের বিক্ষোভ ‘আ.লীগের সিন্ডিকেটের কারণে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে’ ফরিদপুরে ফসলসহ মাটি কেটে নেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন চিলমারীতে অষ্টমীর স্নান শুরু কাল : সনাতনীদের ঢল মঠবাড়িয়ায় আইনজীবী নিহতের ঘটনায় ঘাতক বাস চালকের শাস্তি ও নিরাপদ সড়কের দাবীতে মানববন্ধন পদ দিতে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে টাকা দাবির অভিযোগ : অডিও ভাইরাল র‌্যাব হেফাজতে নারীর মৃত্যু: যা বললো র‍্যাব ভারতের সবচেয়ে দামি গাড়ি কিনলেন শাহরুখ, কত দাম? বেলকুচির এমপিএ ডাঃ আবু হেনার প্রথম জানাজা সম্পন্ন উচ্চ রক্তচাপে জেসমিনের মৃত্যু: ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে

রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী’র ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিড়ে ফেলার অভিযোগ 

রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী'র ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিড়ে ফেলার অভিযোগ 

রাজশাহী ব্যুরো :
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত উন্নয়ন চিত্রের ব্যানার ফেস্টুন ছিড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। গত ২৯ জানুয়ারী রাজশাহী সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর সেই সফর উপলক্ষে সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে সমগ্র বাগমারা উপজেলায় ব্যানার ফেস্টুন করেন তাহেরপুর পৌর মেয়র ও তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোঃ আবুল কালাম আজাদ। সেই ব্যানার ফেস্টুন রাতের আধারে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী নাইটগার্ডদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ছিড়ে ফেলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানান, বাগমারা উপজেলায় একটি গোষ্ঠী সরকারের ছত্র ছায়ায় এখনো জামাত বিএনপির মদদপুষ্ট হয়ে গোপনে সরকার বিরোধী কার্যকলাপ করছেন। সেই গোষ্ঠী সরকারের উন্নয়ন চিত্র দেখে মাথা ঠিক রাখতে না পেরে রাতের আধারে প্রধানমন্ত্রী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’র ছবি সন্বলিত ব্যানার ফেস্টুন ছিড়ে ফেলেছেন। সেই ব্যানার ফেস্টুনে জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের সুযোগ্য পুত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের ছবিও ছিড়ে ফেলেন।
জানতে চাইলে তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ বলেন, এখনো ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে জামাত বিএনপির মদদপুষ্ট পেতাত্মা লুকিয়ে আছে। তাঁরা কখনো সরকারের ভালো চায় না। এদেরকে যারা মদদ দিচ্ছেন তারাই এমন দুঃসাহস দেখাচ্ছে। এদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। অবশ্যই তাদেরকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। তারা খুঁজে খুঁজে আমার ব্যানার ফেস্টুনগুলোই কেনো ছিড়েছে তা দেখা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যাত্রাগাছি বাজার পাহারাদার জসিম উদ্দিন বলেন, আমি ৭ বছর ধরে বাজার পাহারা দিয়ে আসছি। রাত ১২ টার পর একদল সন্ত্রাসী বাহিনী এসে কোন কিছু না বলে আমাদের মোবাইল কেড়ে নেয় এবং তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ মোঃ আবুল কালাম আজাদ এর সৌজন্যে যাত্রাগাছি বাজারের মেইন রোড়ের সামনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ বিভিন্ন উন্নয়নের ছবি সম্বলিত ফেস্টুন টাঙ্গানো ছিলো, তা ছিড়ে ফেলেন। একদন সন্ত্রাসী এসে আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে পোষ্টার ছিড়ে গাড়িতে করে নিয়ে শিকদারির দিকে চলে যায়। বাঁশ দিয়ে লাগানো ফেস্টুন ব্যানারগুলো উপড়ে নিয়ে যায়। পরে বিষয়টি বাজার মালিক সমিতির কাছে জানানো হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বাগমারা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড এর আহবায়ক তাহেরপুর ডিগ্রি কলেজ এর অধ্যক্ষ এস এম জিয়াউদ্দিন টিপু বলেন, বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগ এখন রাহুর কবলে পড়েছে। বিএনপি জামাত, শিবিরের কর্মীরা এখন বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশ। বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে বাগমারা আসনের নতুন নেতৃত্ব দরকার।
তাহেরপুর পৌর মেয়র অধ্যক্ষ মোঃ আবুল কালাম আজাদ আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন চাইবে তাই তার পোস্টার ফেস্টুন ছিড়ে ফেলা হচ্ছে। তাছাড়া যাত্রাগাছির পাশে সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এর বাসা। সেখান থেকে ফেস্টুন কে নিয়ে যেতে পারে জনসাধারণ জানে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন উন্নয়ন সম্বলিত ফেস্টুন ছিড়ে ফেলা আইন বিরোধী। প্রশাসনের কাছে দাবি রাখি যারা এর সাথে জড়িত দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাড়িয়া ইউনিয়ন বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি মাহাবুর রহমান বলেন, গত সাংসদ নির্বাচনে তাহেরপুর পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ  বাগমারা আসনের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন চাইছিলেন। সে সময় এই যাত্রাগাছি বাজার হতে শিকদারী রাস্তার দুই পাশের পোস্টার ও ফেস্টুন ছিড়ে  ফেলার সময় বাগমারা আসনের সাংসদ ইঞ্জিঃ মোঃ এনামুল হক এর সন্ত্রাসী বাহিনীকে জনসাধারণ হাতে নাতে ধরে বেধে রাখে।পরে পুলিশ এসে তাদের নিয়ে যায়। ঠিক আবারও একই ভাবে তারা রাতের আধারে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ছবি সহ বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্রের ফেস্টুন ছিড়ে তুলে নিয়ে যায়। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে তদন্ত করে দোষীদের বিচারের দাবি জানাই।
বা/খ: জই


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *