ঢাকা ০৭:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
আজকের সেহরি ও ইফতার ::
ঢাকায় সেহেরি ৪:৩৪ মি. ইফতার ৬:১৬ মি.:: চট্টগ্রামে সেহেরি ৪:২৯ মি. ইফতার ৬:১০ মি. :: রাজশাহীতে সেহেরি ৪:৪০ মি. ইফতার ৬:২৩ মি. :: খুলনায় সেহেরি ৪:৩৮ মি. ইফতার ৬:১৯ মি. :: বরিশালে সেহেরি ৪:৩৫ মি. ইফতার ৬:১৬ মি. :: সিলেটে সেহেরি ৪:২৭ মি. ইফতার ৬:১০ মি. :: রংপুরে সেহেরি ৪:৩৮ মি. ইফতার ৬:২১ মি. :: ময়মনসিংহে সেহেরি ৪:৩৩ মি. ইফতার ৬:১৬ মি. ::::

রাজশাহীতে চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব, ফর্মেসিগুলোতে চোখের ড্রপের সংকট 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৩০:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪৭২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
রাজশাহী ব্যুরোঃ
রাজশাহীতে চলতি সপ্তাহে হঠাৎই চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে এই চোখ ওঠা রোগ।শিশু, কিশোর, যুবক বৃদ্ধসহ সকল বয়সী নারী-পুরুষের মাঝে এই রোগ দেখা যাচ্ছে। ছোঁয়াচে রোগ হওয়ায় এক পরিবারে একজনের হলে পর্যায়ক্রমে অন্যদেরও হচ্ছে। রোগটি এখন রাজশাহী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ায় এক রকম উদ্বিগ্ন দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন কেউ না কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন।
শিশুদের মাঝে এই রোগ বেশী ছড়িয়ে পড়ায় তারা স্কুলে যেতেও পারছে না। আবার কারো স্কুলে মাসিক পরীক্ষা থাকায় কালো চশমা পড়ে স্কুলে যেতে চাইলে শিক্ষকরা স্কুলে যেতে নিষেধ করছে।
রাজশাহী মহানগরীর দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী রোহান দাস বলেন,আমার মাসিক পরীক্ষা চলছে। আমার চোখ উঠায় শিক্ষকরা আমাকে স্কুলে যেতে নিষেধ করছে। তবে ওই শিক্ষার্থী স্কুলে যেতে শিক্ষকদের বাঁধা প্রদান হওয়ায় খুব মন খারাপ করতে দেখা গেছে।
রাফিয়া সুলতানা রাজশাহীর শহীদ নাজমুল হক স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। স্কুলে এক সহপাঠীর সাথে বসেছিল। বাড়িতে আসার পরের দিন তার চোখ ওঠে। এরপর রাফিয়া চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হয়।
রেদওয়ান আহম্মেদ নোমান রাজশাহী মহানগরীর আসাম কলোনী বায়তুল আমান জামে মসজিদের মোয়াজ্জেম। মসজিদে আযান দেওয়ার পর দেখা গেল তার চোখে কালো রোদ চশমা।কেন চশমা পড়েছেন প্রশ্ন করতেই জানালেন চোখ উঠেছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, গরমে আর বর্ষায় চোখ ওঠার প্রকোপ বাড়ে। রোগটি ছোঁয়াচে। ফলে দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এ রোগে আক্রান্ত হওয়ায় অনেকে কালো চোশমা পরে আবার অনেকে খালি চোখেই ঘুরাফেরা করছেন। এতে ওই রোগের সংক্রমন আরো বেড়ে যেতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।তাই সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা।
এদিকে রাজশাহী সদর সহ বিভিন্ন  উপজেলায় বাজারের ফর্মেসিগুলোতে চোখের ড্রপের সংকট দেখা দিয়েছে।এতে করে চাহিদা মতো ড্রপ না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে রোগীরা। আবার কোন কোন ফার্মেসীতে বেশী দামে চোখের ড্রপ বিক্রি করছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. নাইমুল হক বলেন, এটা মৌসুমি রোগ। সাধারণত সাত থেকে দশ দিনের মধ্যেই এ রোগ ভালো হয়ে যায়। তবে জটিলতা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন হয়। প্রথমে চোখ লাল ও ফুলে গিয়ে পানি পড়ে। চোখে ব্যথা, আলো সহ্য না হওয়া, চোখে হালকা জ্বালাপোড়া হওয়া এসব লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। হাত দিয়ে চোখ চুলকানো যাবে না। বাইরে বের হলে রোগীকে কালো চশমা পরতে হবে।
এ বিষয়ে রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, শুধু রাজশাহী না, সারাদেশেই চোখ ওঠা রোগের পাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। সাধারণত এমনিই এ রোগ ভালো হয়ে যায়। তবে জটিলতা দেখা দিলে চিকিৎসকের কাছ থেকেই পরামর্শ নেওয়া উত্তম।
তিনি আরও বলেন, তারা এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে, আক্রান্ত হওয়ার আগে প্রতিরোধের জন্য প্রতিটি উপজেলায় প্রচারণা চালাচ্ছি। গত ৩ অক্টোবর বিভাগীয় পর্যায়ে চোখের যত্ন বিষয়ে সেমিনারও করা হয়েছে। এছাড়া রোগীর প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়ার জন্য ইউনিয়ন-উপজেলার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নির্দেশনা দেয়া রয়েছে।
The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/pcwt

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রাজশাহীতে চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব, ফর্মেসিগুলোতে চোখের ড্রপের সংকট 

আপডেট সময় : ০৩:৩০:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০২২
রাজশাহী ব্যুরোঃ
রাজশাহীতে চলতি সপ্তাহে হঠাৎই চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে এই চোখ ওঠা রোগ।শিশু, কিশোর, যুবক বৃদ্ধসহ সকল বয়সী নারী-পুরুষের মাঝে এই রোগ দেখা যাচ্ছে। ছোঁয়াচে রোগ হওয়ায় এক পরিবারে একজনের হলে পর্যায়ক্রমে অন্যদেরও হচ্ছে। রোগটি এখন রাজশাহী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ায় এক রকম উদ্বিগ্ন দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন কেউ না কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন।
শিশুদের মাঝে এই রোগ বেশী ছড়িয়ে পড়ায় তারা স্কুলে যেতেও পারছে না। আবার কারো স্কুলে মাসিক পরীক্ষা থাকায় কালো চশমা পড়ে স্কুলে যেতে চাইলে শিক্ষকরা স্কুলে যেতে নিষেধ করছে।
রাজশাহী মহানগরীর দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী রোহান দাস বলেন,আমার মাসিক পরীক্ষা চলছে। আমার চোখ উঠায় শিক্ষকরা আমাকে স্কুলে যেতে নিষেধ করছে। তবে ওই শিক্ষার্থী স্কুলে যেতে শিক্ষকদের বাঁধা প্রদান হওয়ায় খুব মন খারাপ করতে দেখা গেছে।
রাফিয়া সুলতানা রাজশাহীর শহীদ নাজমুল হক স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। স্কুলে এক সহপাঠীর সাথে বসেছিল। বাড়িতে আসার পরের দিন তার চোখ ওঠে। এরপর রাফিয়া চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হয়।
রেদওয়ান আহম্মেদ নোমান রাজশাহী মহানগরীর আসাম কলোনী বায়তুল আমান জামে মসজিদের মোয়াজ্জেম। মসজিদে আযান দেওয়ার পর দেখা গেল তার চোখে কালো রোদ চশমা।কেন চশমা পড়েছেন প্রশ্ন করতেই জানালেন চোখ উঠেছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, গরমে আর বর্ষায় চোখ ওঠার প্রকোপ বাড়ে। রোগটি ছোঁয়াচে। ফলে দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এ রোগে আক্রান্ত হওয়ায় অনেকে কালো চোশমা পরে আবার অনেকে খালি চোখেই ঘুরাফেরা করছেন। এতে ওই রোগের সংক্রমন আরো বেড়ে যেতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।তাই সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা।
এদিকে রাজশাহী সদর সহ বিভিন্ন  উপজেলায় বাজারের ফর্মেসিগুলোতে চোখের ড্রপের সংকট দেখা দিয়েছে।এতে করে চাহিদা মতো ড্রপ না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে রোগীরা। আবার কোন কোন ফার্মেসীতে বেশী দামে চোখের ড্রপ বিক্রি করছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. নাইমুল হক বলেন, এটা মৌসুমি রোগ। সাধারণত সাত থেকে দশ দিনের মধ্যেই এ রোগ ভালো হয়ে যায়। তবে জটিলতা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন হয়। প্রথমে চোখ লাল ও ফুলে গিয়ে পানি পড়ে। চোখে ব্যথা, আলো সহ্য না হওয়া, চোখে হালকা জ্বালাপোড়া হওয়া এসব লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। হাত দিয়ে চোখ চুলকানো যাবে না। বাইরে বের হলে রোগীকে কালো চশমা পরতে হবে।
এ বিষয়ে রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, শুধু রাজশাহী না, সারাদেশেই চোখ ওঠা রোগের পাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। সাধারণত এমনিই এ রোগ ভালো হয়ে যায়। তবে জটিলতা দেখা দিলে চিকিৎসকের কাছ থেকেই পরামর্শ নেওয়া উত্তম।
তিনি আরও বলেন, তারা এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে, আক্রান্ত হওয়ার আগে প্রতিরোধের জন্য প্রতিটি উপজেলায় প্রচারণা চালাচ্ছি। গত ৩ অক্টোবর বিভাগীয় পর্যায়ে চোখের যত্ন বিষয়ে সেমিনারও করা হয়েছে। এছাড়া রোগীর প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়ার জন্য ইউনিয়ন-উপজেলার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নির্দেশনা দেয়া রয়েছে।
The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/pcwt