রক মেলন চাষে লাখ টাকার স্বপ্ন বুনছেন চৌহালির কৃষক
- আপডেট সময় : ০৩:১১:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অক্টোবর ২০২২
- / ৪১৩ বার পড়া হয়েছে

চৌহালি (সিরাজগঞ্জ ) প্রতিনিধি :
যমুনা নদীর ভাঙ্গন কবলিত সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিক ভাবে উচ্চ ফলনশীল রকমেলন চাষ করে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখছেন কৃষক। উপজেলার বাঘুটিয়া গ্রামের কৃষক তার ২০ শতক জমিতে চলতি মৌসুমে বুলেট জাতের রকমেলন চাষ করে এই সফলতার স্বপ্ন দেখছেন।
রকমেলন মূলত মাস্কমেলন গোত্রের একটি উচ্চমূল্যের বিদেশি ফল। এ ফলের বাইরের দিকটা দেখতে অনেকটা পাথরের (রক) মত। তাই ফলটি রকমেলন নামেই বেশি পরিচিত। পুষ্টিগুণে রকমেলন অনন্য। এন্টি-অক্সিডেন্ট সম্পন্ন এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-এ এবং সি। যা উচ্চ রক্তচাপ ও এজমা কমিয়ে দেয়। এতে বিদ্যমান বেটা ক্যারোটিন ক্যান্সার রোধ করে।
বাঘুটিয়া গ্রামের রকমেলন চাষি বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ২০ শতাংশ জমিতে রকমেলন চাষ করেছি। এতে ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এরই মধ্যে পঞ্চাশ হাজার টাকার ফল বিক্রি হয়েছে। রকমেলনের বর্তমান বাজার মূল্য ১০০ টাকা কেজি। তবে কিছুদিন আগে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, চারা রোপণের মাত্র আড়াই মাসের মধ্যেই রকমেলন তোলা যায়। প্রতিটি রেকমেলন ২ থেকে ৩ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। উন্নয়ন প্রচেষ্টার স্থানীয় কৃষি ইউনিট রকমেলন চাষে বীজ, মালচিং পেপার ও জৈব সার ক্রয়ে আর্থিক এবং কারিগরি সহায়তা করেছে।
চৌহালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ জেরিন আহমেদ বলেন, রকমেলন একটি বাঙ্গি জাতীয় ফসল। এটি বেশ লাভজনক। স্থানীয় বাজারে এর চাহিদা না থাকলেও ঢাকায় এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
চৌহালী উপজেলার ইউনিয়ন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোহাম্মদ মামুন সেরাজ জানান, রকমেলন একটি স্বল্পমেয়াদী লাভজনক ফসল। চৌহালীতে এবছর প্রথমবার সম্পূর্ণ অর্গানিক ও আধুনিক মালচিং পেপার পদ্ধতিতে এ ফসল চাষে সফলতা পাওয়া গেছে । প্রথমবারের মত বাণিজ্যিক চাষের কারণে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন উপজেলা কৃষি অফিসার জেরিন আহমেদ।