শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ০৬:০৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংলাপের আশার প্রদীপ এখনও নেভেনি: কাদের রাসিক নির্বাচনে ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী জনির প্রচার মিছিলে জনতার ঢল নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বরফ কল চালু : বন্ধ করলো নৌ-পুলিশ কোরবানি ঈদ সামনে পাবনা-সিরাজগঞ্জে ভেজাল ভুসি ও ওষুধের রমরমা ব্যবসা রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প :২ লক্ষ ৯৮ হাজার টাকার যন্ত্রাংশসহ ৪ চোর আটক  মীরসরাইয়ে লোকালয় থেকে বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার তালায় কনের পিতাকে জরিমানা, পালিয়েছে বর! শাহজাদপুরে প্রফেসর ডা.এমএ মতিন ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন ‘সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বের সেরা হবে’ বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রয়োজন নেই: তথ্যমন্ত্রী সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে : মির্জা ফখরুল পদযাত্রা কর্মসূচির রুট ঘোষণা করেছে বিএনপি ট্রাক-ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪ কাপ্তাইয়ের মোশাররফ রাঙ্গামাটি জেলার শ্রেষ্ঠ ইমাম নির্বাচিত  চিলমারীতে জাতীয় শ্রমিকলীগের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত 

যমুনা-হুরাসাগরে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস দিয়ে রাতের আধারে মাছ শিকার

আল এহসান হক মাসুক, পাবনা প্রতিনিধি :

পাবনার বেড়া উপজেলার পেচাকোলা , নাকালিয়া , মোহনগঞ্জ ও চরাঞ্চল সংলগ্ন যমুনা নদীতে এবং বৃশালিকা , পায়না , মোহনগঞ্জ ও চর পেচাকোলা এলাকায় হুড়াসাগর নদীতে স্থানীয়রা গাছের ডালপালা ফেলে তৈরি করা মাছের ঘের থেকে এক শ্রেণীর অসৎ মাছ শিকারিরা আল্ট্রাসনিক ইলেকট্রিক ফিসিং ইনভার্টারের সাহায্যে রাতের আধারে মাছ শিকার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আলট্রাসনিক ইলেকট্রিক ফিসিং ইনভার্টার বা ফিস শক ইলেকট্রিক মেশিন চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ব্যবসায়ীরা মাছ শিকারের জন্য আমদানী করে থাকে। এছাড়াও দেশীয় ভাবে মাছ শিকারের জন্য এ ধরনের মেশিন তৈরী হচ্ছে।

বিদেশ থেকে আমদানীকৃত মেশিনগুলো প্রকার ভেদে ৯ হাজার টাকা থেকে প্রায় ১ লাখ টাকা দামের হয়ে থাকে। মাছ শিকারের জন্য আলট্রাসনিক ইলেকট্রনিক ফিসিং ইনভার্টার অবৈধ নয় বলে মেশিন আমদানীকারক ও ব্যবসায়ীরা মনে করেন। ১২ ভোল্ট ডিসি ব্যাটারীর সাথে আলট্রাসনিক ইনভার্টার সংযোগ করে ৬৮ হাজার থেকে কয়েক কোটি ওয়ায বৈদুতিক শক তৈরী করে। এই বৈদুতিক শক মেশিনের ক্ষমতা অনুযায়ী ৫ ফুট থেকে ৪০ ফুট বৃত্তের মধ্যে কয়েক সেকেন্ড বৈদুতিক শক আঘাত করে এবং একই পরিমান জায়গায় থাকা জীবন্ত ছোট বড় সব ধরনের মাছ সহ জ¦লজ প্রাণীকে অজ্ঞান করে ফেলে। খাল-বিল , হাওড় বাওড় ও নদীতে আলট্রাসনিক ইনভার্টার বা ফিসুস্টুনা ব্যবহার করে ছোট বড় মাছ শিকার করা হচ্ছে। হুড়াসাগর , বড়াল , যমুনা , ও পদ্মায় চলছে ইলেকট্রনিক শক মেশিন দিয়ে মাছ শিকার।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবি জানান , পেচাকোলা , নাকালিয়া , মোহনগঞ্জ , চর নাকালিয়া , চর নাগদাহ , চর সাড়শিয়া গ্রাম সংলগ্ন যমুনা নদীতে কাঠা ফেলে রাখা মাছের ঘেরে প্রায় প্রতিদিন গভীর রাতে স্থানীয় ও বহিরাগত এক শ্রেনীর অসৎ মাছ শিকারি নৌকা নিয়ে নদীর মধ্যে ইলেকট্রিক শক মেশিনের সাহায্যে পানির মধ্যে বৈদুতিক শক দেয়। এ সময় পানির মধ্যে সাঁতার কাটা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বৈদুতিক শক এর আঘাতে অজ্ঞান হয়ে পানিতে ভেসে ওঠে। মাছ শিকারিরা তখন মাছগুলো জাল এবং থোরকচ জাতীয় মাছ মারার হুকের সাহায্যে পানি থেকে তুলে আনে। উন্মুক্ত জলাশয়ে এ ধরনের মেশিন দিয়ে মাছ শিকার দেশীয় মাছের জন্য মারাত্মক হুমকি বলে মনে করেন স্থানীয় মৎস্যজীবিরা ।
এ বিষয়ে বেড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলামেন সাথে কথা হলে তিনি বলেন , বেড়া নদ নদীতে এ ধরনের বৈদুতিক শক মেশিন দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে বলে আমার কাছে কোন তথ্য নেই। তবে এ বিষয়ে খোজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *