ঢাকা ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

যমুনায় তীব্র ভাঙন; অর্ধশত বাড়িঘর জমিজমা যমুনায় বিলীন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৬:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪১৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিশেষ প্রতিবেদক :

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা যমুনা নদী অধ্যুষিত দুর্গম জালালপুর ইউনিয়নের বিস্তৃর্ণ এলাকা অসময়ে যমুনার ভাঙনে অর্ধশত বাড়িঘর, বিস্তৃর্ণ জমিজমা ও গাছপালা যমুনা গর্ভে বিলীন হয়েছে। বর্তমানে যমুনায় ভাঙনের তান্ডবলীলা তীব্র থেকে তীব্রতর হওয়ায় দিশেহারা ও দুশ্চিন্তগ্রস্থ হয়ে পড়েছে শতশত ভাঙন কবলিত মানুষজন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ‘যমুনার ভাঙন থেকে জালালপুরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাকে রক্ষা করতে ২০২১ সালে ৬’শ ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে যমুনার পশ্চিত তীরের ৬ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করলেও পরবর্তীতে কাজ বন্ধ করে দেয় তারা। ফলে গত ১ সপ্তাহ ধরে জালালপুরে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে।’

গত ১ সপ্তাহে যমুনার কড়াল গ্রাসে বিলীন হয়েছে অর্ধশত ঘরবাড়ি, গাছপালা, ফসলী জমিসহ নানা স্থাপনা। রাক্ষুসী যমুনা ক্রমেই উত্তাল ও আগ্রাসী রূপ ধারণ করায় ভাঙনের তীব্রতায় চরম আতংক আর উদ্বিগ্নে দিন কাটাচ্ছে নদী তীরের মানুষজন।

এলাকাবাসী জানায়, ভাঙনের তীব্রতা এতই বেশি যে এলাকাবাসী ঘরবাড়ি সরানোরও সময় পাচ্ছে না। চোখের পলকে তাদের সহায় সম্বল গ্রাস করে নিচ্ছে প্রমত্তা যমুনা। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান যথাসময়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ না করায় বাড়িঘর জমিজমা সব নদীর মধ্যে চলে যাচ্ছে। ভাঙন কবলিতরা কোথায় থাকবে, কোথায় যাবে তা নিয়ে তারা রীতিমতো চোখেমুখে সর্ষের ফুল দেখছেন।

উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের জালালপুর উত্তরপাড়া মহল্লার ওমর আলী, আবু হানিফ, পলাশ মন্ডল, বাবু, সাদ্দাম, আরিছ, খলিল, আব্দুস সালাম, ওমর আলী, জেলহাজ, ইয়াছিনসহ ভাঙন কবলিত এলাকার অর্ধশত পরিবার ঘরবাড়ি, জমিজমা হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে মানবেতর দিনযাপন করছে।
জালালপুর ইউনিয়নের জালালপুর উত্তরপাড়া মহল্লার আব্দুস সালাম অভিযোগ করেন, ‘ভাঙন কবলিত এলাকার ১০, ১১ ও ১২ পয়েন্টে ঠিকাদার ভাঙন রোধে কোন কাজ না করায় এলাকাবাসীর ক্ষয়ক্ষতি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, আগামী বর্ষা মৌওসুম আসার আগেই জালালপুরের ভাঙন কবলিত এলাকায় ক্রসবাঁধ নির্মাণ করা হবে। জালালপুরসহ ৩টি স্থানে ভাঙন রোধের চেষ্টা করার পরও ভেঙে গেছে। পানি নামার সাথে সাথে সেখানে যে চর জেগেছে সেখানে একটি ক্রসবাঁধ নির্মাণ করে দেয়া হবে।

এদিকে, ভাঙন রোধ প্রকল্পের কাজ দ্রæত সম্পন্ন করে এ এলাকাটি স্থায়ীভাবে ভাঙনের কবল থেকে রক্ষার জোর দাবীতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভাঙন কবলিত মহাদুশ্চিন্তাগ্রস্থ মানুষজন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

যমুনায় তীব্র ভাঙন; অর্ধশত বাড়িঘর জমিজমা যমুনায় বিলীন

আপডেট সময় : ০৪:৫৬:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০২২

বিশেষ প্রতিবেদক :

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা যমুনা নদী অধ্যুষিত দুর্গম জালালপুর ইউনিয়নের বিস্তৃর্ণ এলাকা অসময়ে যমুনার ভাঙনে অর্ধশত বাড়িঘর, বিস্তৃর্ণ জমিজমা ও গাছপালা যমুনা গর্ভে বিলীন হয়েছে। বর্তমানে যমুনায় ভাঙনের তান্ডবলীলা তীব্র থেকে তীব্রতর হওয়ায় দিশেহারা ও দুশ্চিন্তগ্রস্থ হয়ে পড়েছে শতশত ভাঙন কবলিত মানুষজন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ‘যমুনার ভাঙন থেকে জালালপুরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাকে রক্ষা করতে ২০২১ সালে ৬’শ ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে যমুনার পশ্চিত তীরের ৬ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করলেও পরবর্তীতে কাজ বন্ধ করে দেয় তারা। ফলে গত ১ সপ্তাহ ধরে জালালপুরে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে।’

গত ১ সপ্তাহে যমুনার কড়াল গ্রাসে বিলীন হয়েছে অর্ধশত ঘরবাড়ি, গাছপালা, ফসলী জমিসহ নানা স্থাপনা। রাক্ষুসী যমুনা ক্রমেই উত্তাল ও আগ্রাসী রূপ ধারণ করায় ভাঙনের তীব্রতায় চরম আতংক আর উদ্বিগ্নে দিন কাটাচ্ছে নদী তীরের মানুষজন।

এলাকাবাসী জানায়, ভাঙনের তীব্রতা এতই বেশি যে এলাকাবাসী ঘরবাড়ি সরানোরও সময় পাচ্ছে না। চোখের পলকে তাদের সহায় সম্বল গ্রাস করে নিচ্ছে প্রমত্তা যমুনা। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান যথাসময়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ না করায় বাড়িঘর জমিজমা সব নদীর মধ্যে চলে যাচ্ছে। ভাঙন কবলিতরা কোথায় থাকবে, কোথায় যাবে তা নিয়ে তারা রীতিমতো চোখেমুখে সর্ষের ফুল দেখছেন।

উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের জালালপুর উত্তরপাড়া মহল্লার ওমর আলী, আবু হানিফ, পলাশ মন্ডল, বাবু, সাদ্দাম, আরিছ, খলিল, আব্দুস সালাম, ওমর আলী, জেলহাজ, ইয়াছিনসহ ভাঙন কবলিত এলাকার অর্ধশত পরিবার ঘরবাড়ি, জমিজমা হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে মানবেতর দিনযাপন করছে।
জালালপুর ইউনিয়নের জালালপুর উত্তরপাড়া মহল্লার আব্দুস সালাম অভিযোগ করেন, ‘ভাঙন কবলিত এলাকার ১০, ১১ ও ১২ পয়েন্টে ঠিকাদার ভাঙন রোধে কোন কাজ না করায় এলাকাবাসীর ক্ষয়ক্ষতি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, আগামী বর্ষা মৌওসুম আসার আগেই জালালপুরের ভাঙন কবলিত এলাকায় ক্রসবাঁধ নির্মাণ করা হবে। জালালপুরসহ ৩টি স্থানে ভাঙন রোধের চেষ্টা করার পরও ভেঙে গেছে। পানি নামার সাথে সাথে সেখানে যে চর জেগেছে সেখানে একটি ক্রসবাঁধ নির্মাণ করে দেয়া হবে।

এদিকে, ভাঙন রোধ প্রকল্পের কাজ দ্রæত সম্পন্ন করে এ এলাকাটি স্থায়ীভাবে ভাঙনের কবল থেকে রক্ষার জোর দাবীতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভাঙন কবলিত মহাদুশ্চিন্তাগ্রস্থ মানুষজন।