ঢাকা ১১:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

যমুনায় ওপর এগিয়ে চলেছে রেলওয়ে সেতুর কাজ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:০৩:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৬৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: যমুনায় ওপর এগিয়ে চলেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ। এরইমধ্যে সেতুর ৫৮ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ৫০টি পিলারের মধ্যে ২২টির কাজ শেষ। ৪৯টির মধ্যে ১৩টি সুপার স্ট্র্রাকচার বসে গেছে। সেতু নির্মাণে খরচ হচ্ছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। ১৩টি গাডার বা সুপার স্ট্রাকচার বসানোর পর দৃশ্যমান এখন সোয়া কিলোমিটার। সেতুর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলায় উৎসাহী সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিনিয়োগকারীসহ স্থানীয়রা।

ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগের সূচনা ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর মধ্য দিয়ে। ২০০৮ সালে সেতুতে ফাটলের কারণে কমে ট্রেনের গতি। গড়ে প্রতিদিন ৩৮টি ট্রেন ঘন্টায় মাত্র ২০ কিলোমিটার গতিতে চলছে। এতে সময় অপচয়ের সঙ্গে বাড়ছে সিডিউল বিপর্যয়।

এ অবস্থায় যমুনায় আরেকটি মেগা প্রকল্প। বঙ্গবন্ধু সেতুর উত্তর পাশেই নির্মাণ হচ্ছে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতু।

প্রকৌশলী অমুল্য সুত্রধর বলেন, “রেল ব্রিজে কাজ করতে পেরে গর্ববোধ করছি। এই ব্রিজ হলে সারা উত্তরবঙ্গসহ বাংলাদেশের মানুষ উপকৃত হবে।”

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, “যে গতিতে কাজ চলছে তাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ হবে বলে আশা করছি।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার দাবি স্থানীয়দের।

সয়দাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নবিদুল ইসলাম বলেন, “রেলসেতুর কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। প্রধানমন্ত্রীকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।”

বেলকুচি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাজেদুল বলেন, “আমরা উত্তরবঙ্গবাসী সফলতার মুখ দেখতে পাচ্ছি।”

সেতুটি যোগাযোগসহ উত্তরাঞ্চলে শিল্পের প্রসার ও বাণিজ্যে নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা।

সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোনের পরিচালক শেখ মনোয়ার হোসেন বলেন, “সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোন এবং শিল্পপার্কে যে ইন্ডাস্ট্রিগুলো গড়ে উঠবে তার মালামাল আমদানি-রপ্তানি সহজ থেকে সহজতর হবে।”

সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান বলেন, “উত্তরবঙ্গ থেকে মালামাল সহজেই স্থানান্তর হতে পারবে। সেজন্য মানুষ খুশি।”

নিউজটি শেয়ার করুন

যমুনায় ওপর এগিয়ে চলেছে রেলওয়ে সেতুর কাজ

আপডেট সময় : ০৩:০৩:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: যমুনায় ওপর এগিয়ে চলেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ। এরইমধ্যে সেতুর ৫৮ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ৫০টি পিলারের মধ্যে ২২টির কাজ শেষ। ৪৯টির মধ্যে ১৩টি সুপার স্ট্র্রাকচার বসে গেছে। সেতু নির্মাণে খরচ হচ্ছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। ১৩টি গাডার বা সুপার স্ট্রাকচার বসানোর পর দৃশ্যমান এখন সোয়া কিলোমিটার। সেতুর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলায় উৎসাহী সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিনিয়োগকারীসহ স্থানীয়রা।

ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগের সূচনা ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর মধ্য দিয়ে। ২০০৮ সালে সেতুতে ফাটলের কারণে কমে ট্রেনের গতি। গড়ে প্রতিদিন ৩৮টি ট্রেন ঘন্টায় মাত্র ২০ কিলোমিটার গতিতে চলছে। এতে সময় অপচয়ের সঙ্গে বাড়ছে সিডিউল বিপর্যয়।

এ অবস্থায় যমুনায় আরেকটি মেগা প্রকল্প। বঙ্গবন্ধু সেতুর উত্তর পাশেই নির্মাণ হচ্ছে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতু।

প্রকৌশলী অমুল্য সুত্রধর বলেন, “রেল ব্রিজে কাজ করতে পেরে গর্ববোধ করছি। এই ব্রিজ হলে সারা উত্তরবঙ্গসহ বাংলাদেশের মানুষ উপকৃত হবে।”

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, “যে গতিতে কাজ চলছে তাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ হবে বলে আশা করছি।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার দাবি স্থানীয়দের।

সয়দাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নবিদুল ইসলাম বলেন, “রেলসেতুর কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। প্রধানমন্ত্রীকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।”

বেলকুচি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাজেদুল বলেন, “আমরা উত্তরবঙ্গবাসী সফলতার মুখ দেখতে পাচ্ছি।”

সেতুটি যোগাযোগসহ উত্তরাঞ্চলে শিল্পের প্রসার ও বাণিজ্যে নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা।

সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোনের পরিচালক শেখ মনোয়ার হোসেন বলেন, “সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোন এবং শিল্পপার্কে যে ইন্ডাস্ট্রিগুলো গড়ে উঠবে তার মালামাল আমদানি-রপ্তানি সহজ থেকে সহজতর হবে।”

সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান বলেন, “উত্তরবঙ্গ থেকে মালামাল সহজেই স্থানান্তর হতে পারবে। সেজন্য মানুষ খুশি।”