ঢাকা ০৬:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর আরো দু’টি ঘাঁটি বেহাত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:১৯:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪
  • / ৪৩৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যের নাওংকিও শহরে সেনা বাহিনীর দুটি ঘাঁটি নিয়ন্ত্রণ দেয়ার দাবি করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি-টিএনএলএ। ঘাঁটি পুনরুদ্ধারে হামলা চালাচ্ছে সামরিক বাহিনী।

দেশটির সংবাদমধ্যম দ্য ইরাবতী জানিয়েছে, টিএনএলএ এবং তার সহযোগী গোষ্ঠী মান্দালয় পিপলস ডিফেন্স ফোর্স প্রায় দুই সপ্তাহের লড়াইয়ের পর গত বুধবার নাওংকিও শহরের বাইরে মিসাইল ব্যাটালিয়ন ৬০৬ ঘাঁটি দখল করে।

দুদিন পর শুক্রবার সকালে টিএনএলএ এবং তাদের আরেক সহযোগী গোষ্ঠী দানু পিপলস লিবারেশন আর্মি গোকটুইন ও গোকটেকের দুটি ঘাঁটিতে হামলা চালায়। মিসাইল ব্যাটালিয়ন ৬০৬ ঘাঁটি দখল হওয়ার পর এর সেনারা এই দুই ঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছিল।

টিএনএলএ বলেছে, তারা ঘাঁটি দুটি থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে। গোকটুইন ঘাঁটিতে সেনাদের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। ওই লড়াইয়ে জান্তা বাহিনী হামলা চালানোর জন্য যুদ্ধবিমান, এমআই-৩৫ হেলিকপ্টার ও ওয়াই-১২ বিমান ব্যবহার করেছিল। এছাড়া কাছাকাছি কাউকমি শহরে দুবার গোলাবর্ষণ চালিয়েছে সেনা বাহিনী।

শুক্রবার শান রাজ্যের নাউংকিও শহরের অধীনে নাউং আউ গ্রামের কাছে লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে। মংমিট শহরেও শাসক বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে অস্ত্র ও গোলাবরুদ। বিদ্রোহী গোষ্ঠী টিএনএলএ এর দাবি, গত ২৫ শে জুন থেকে ৮০ টিরও বেশি শাসক বাহিনীর অবস্থান দখল করেছে। শান রাজ্যের কাউকমি ও নাওংকিও শহর এবং মান্দালয় অঞ্চলের মোগকে শহরের বেশিরভাগ এখন বিদ্রোহীদের দখলে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর আরো দু’টি ঘাঁটি বেহাত

আপডেট সময় : ১১:১৯:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যের নাওংকিও শহরে সেনা বাহিনীর দুটি ঘাঁটি নিয়ন্ত্রণ দেয়ার দাবি করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি-টিএনএলএ। ঘাঁটি পুনরুদ্ধারে হামলা চালাচ্ছে সামরিক বাহিনী।

দেশটির সংবাদমধ্যম দ্য ইরাবতী জানিয়েছে, টিএনএলএ এবং তার সহযোগী গোষ্ঠী মান্দালয় পিপলস ডিফেন্স ফোর্স প্রায় দুই সপ্তাহের লড়াইয়ের পর গত বুধবার নাওংকিও শহরের বাইরে মিসাইল ব্যাটালিয়ন ৬০৬ ঘাঁটি দখল করে।

দুদিন পর শুক্রবার সকালে টিএনএলএ এবং তাদের আরেক সহযোগী গোষ্ঠী দানু পিপলস লিবারেশন আর্মি গোকটুইন ও গোকটেকের দুটি ঘাঁটিতে হামলা চালায়। মিসাইল ব্যাটালিয়ন ৬০৬ ঘাঁটি দখল হওয়ার পর এর সেনারা এই দুই ঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছিল।

টিএনএলএ বলেছে, তারা ঘাঁটি দুটি থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে। গোকটুইন ঘাঁটিতে সেনাদের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। ওই লড়াইয়ে জান্তা বাহিনী হামলা চালানোর জন্য যুদ্ধবিমান, এমআই-৩৫ হেলিকপ্টার ও ওয়াই-১২ বিমান ব্যবহার করেছিল। এছাড়া কাছাকাছি কাউকমি শহরে দুবার গোলাবর্ষণ চালিয়েছে সেনা বাহিনী।

শুক্রবার শান রাজ্যের নাউংকিও শহরের অধীনে নাউং আউ গ্রামের কাছে লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে। মংমিট শহরেও শাসক বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে অস্ত্র ও গোলাবরুদ। বিদ্রোহী গোষ্ঠী টিএনএলএ এর দাবি, গত ২৫ শে জুন থেকে ৮০ টিরও বেশি শাসক বাহিনীর অবস্থান দখল করেছে। শান রাজ্যের কাউকমি ও নাওংকিও শহর এবং মান্দালয় অঞ্চলের মোগকে শহরের বেশিরভাগ এখন বিদ্রোহীদের দখলে।