আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তিন বৌদ্ধ ভিক্ষুসহ ২২ জনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে। গত সপ্তাহে মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলে বেসামরিকদের উপর এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর জান্তা বিরোধীরা বলছে- সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত গণহত্যার অংশ এটি।
জান্তা মুখপাত্র জাও মিন তুন এক বিবৃতিতে বলেন, স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা দিতে সরকারি বাহিনী দক্ষিণ শান রাজ্যের পিনলাউং অঞ্চলের নান নিন্ট গ্রামে প্রবেশ করলে কারেনি ন্যাশনালিটিজ ডিফেন্স ফোর্স (কেএনডিএফ) এবং অন্য একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী হামলা চালায়। যখন সন্ত্রাসীরা হিংস্রভাবে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়, তখন কয়েকজন গ্রামবাসী নিহত ও আহত হন বলে জানান তিনি।
এদিকে কেএনডিএফের একজন মুখপাত্র বলেন, তাদের সেনারা রবিবার (১২ মার্চ) নান নিন্টে প্রবেশ করে একটি বৌদ্ধ বিহারে মৃতদেহগুলো পড়ে থাকতে দেখে।
কেএনডিএফ ও কারেন্নি রেভোলিউশন ইউনিয়নের (কেআরইউ) প্রকাশিত ভিডিও এবং ছবিতে মৃতদেহের শরীর ও মাথায় বুলেটের ক্ষতচিহ্ন দেখা যায়। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী বৌদ্ধ বিহারের দেয়ালেও বুলেটের ছিদ্র দেখা গেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, জান্তাবিরোধী প্রতিরোধ যোদ্ধা এবং মানবাধিকার সংস্থা মিয়ানমার উইটনেসের যাচাইকৃত স্যাটেলাইট ইমেজ অনুসারে, নান নিন্টে গণহত্যা সংঘটিত হচ্ছে।সেখানকার প্রায় ১০০টি স্থাপনা পুড়িয়ে ফেলার পাশাপাশি কমপক্ষে দুই সপ্তাহ ধরে লড়াই চলছে। সূত্র: রয়টার্স