সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ০১:৩৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
কাপ্তানবাজারের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হানিফ ফ্লাইওভার বদলগাছীতে এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয় করনের দাবীতে মানববন্ধন সাঁথিয়ায় অসুস্থ্য বাবাকে রক্তদানের পর মারা গেলেন ছেলে মাগুরায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন মঠবাড়িয়ায় ৩ মাসের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী গ্রেপ্তার হতদরিদ্রের ভরসা বালু চরের কমদামি পোশাক হাট নির্বাচনের স্বার্থে ইসির মাধ্যমে বিএনপি প্রস্তাব দিলে বিবেচনা: আওয়ামী লীগ বেলকুচিতে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে উপস্থিত নেই এমপি ৬০ কিমি বেগে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস সড়কে দুর্ঘটনার ৭০ ভাগই মোটরসাইকেলে ঘটে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ৭ম পুতিনের সিদ্ধান্ত ‘বিপজ্জনক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন’: ন্যাটো সাংবাদিক স্ত্রী’র ছবি ব্যবহার করে ফেসবুক আইডি : থানায় জিডি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরখাস্তের পর ইসরায়েলে গণবিক্ষোভ নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠক চায় ইউক্রেন

মহিপুরে প্রতারিত হচ্ছে কোমলমতি শিশুরা, অনুমতি ছাড়া চলছে পাঠদান

মহিপুরে প্রতারিত হচ্ছে কোমলমতি শিশুরা, অনুমতি ছাড়া চলছে পাঠদান

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :

মহিপুরে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই পাঠদান চলছে আলহাজ্ব হাতেম আলী আইডিয়াল স্কুলে। নেই কমিটির অনুমোদন তবুও চলছে বছরের পর বছর শিক্ষা কার্যক্রম। ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে এখন পর্যন্ত চলছে বহাল তবিয়াতে। বিদ্যালয়টিকে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ উপজেলা শিক্ষা অফিস একটি সতর্ক বার্তা পাঠালেও কোন কর্ণপাত করেনি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আবু সালেহ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিক্ষা অধিদপ্তরের অনুমতি না থাকায় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই বিদ্যালয়টি নিজ শিক্ষার্থীদের অন্য স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ের মাধ্যমে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে আসছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসের অনুমোতি ছাড়াই অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বই নিয়ে বিতরণ করছে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। প্রতিষ্ঠানের নামে নেই কোন জমি, নিজেস্ব স্থাপনা শিক্ষা কার্যক্রমের নামে ভাড়া বাসায় চলছে কোচিং বাণিজ্য। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আবু সালেহ কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রী কলেজ, মহিপুর মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজ ও বর্তমানে ড.শহিদুল ইসলাম কলেজে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন। একই সাথে ৩/৪টি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করায় ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।

শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু ও স্বীকৃতি প্রদানের নিতিমালা ২এর(১,২,৩) স্পষ্ট লঙ্গন করেছে। কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদনের চার মাসের মধ্যে বিদ্যালয় চালুর প্রাথমিক অনুমতি প্রাপ্তির বিধান থাকা সত্বেও কোনরূপ অনুমতি নেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। সরকারী নিতিমালা অনুযায়ী একটি প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানের নুন্যতম ৩কিঃ মিঃ দুরত্বের বিধান থাকলেও এই প্রতিষ্ঠানটি মহিপুর কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে মাত্র আধা কিলোমিটার দুরত্বে অবস্থিত। যা শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ১৯৯৭ইং নিতিমালার পরিশিষ্ট-১-এর ক্রমিক ১নং স্পষ্ট লঙ্গন। উপজেলা শিক্ষা অফিস প্রতিষ্ঠানটিকে একাধিকবার সতর্কবার্তা পাঠালেও কোন ধরনের কর্ণপাত করছেনা প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আবু সালেহ।

স্থানীয় আমির হোসেন বলেন, বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আমার ছেলেকে তাদের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করতে বলে। পরে আমি খোজ নিয়ে জানতে পারি ওই স্কুলে অনেক বিষয়ে শিক্ষক নাই। পড়ালেখার মান মোটেও ভালো না। ২/৩ জন শিক্ষক দিয়ে চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের উদ্যোগ না নিলে আমার মতো অনেক অভিভাবকের সন্তান অকালে ঝরে পড়বে।

মহিপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাবিবুল্লাহ খান রাব্বী বলেন, স্বনামধন্য মহিপুর কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশেই আলহাজ্ব হাতেম আলী আইডিয়াল স্কুল নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এটি সরকারি নিতিমালা বহির্ভূত কার্যক্রম সংগঠিত হচ্ছে। তিনি মনে করেন, উর্ধ্বতন কর্মকতাদের সঠির তদারকি না থাকায় এটা হয়েছে যা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।

মহিপুর কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম বলেন, আমাদের স্কুল থেকে মাত্র আধা কি: মি: দূরে বিদ্যালয়ের নামে কোচিং বাণিজ্য চালাচ্ছে। আমার বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে।

কলাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা আফিসার মো. মোকলেছুর রহমান বলেন, মহিপুরে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন করে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে এ তথ্যের ভিত্তিতে আমি জেলা শিক্ষা অফিসসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করেছি।

 

বা/খ: জই


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *