ঢাকা ০৬:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
আজকের সেহরি ও ইফতার ::
ঢাকায় সেহেরি ৪:৩৩ মি. ইফতার ৬:১৭ মি.:: চট্টগ্রামে সেহেরি ৪:২৮ মি. ইফতার ৬:১১ মি. :: রাজশাহীতে সেহেরি ৪:৩৯ মি. ইফতার ৬:২৪ মি. :: খুলনায় সেহেরি ৪:৩৭ মি. ইফতার ৬:২০ মি. :: বরিশালে সেহেরি ৪:৩৪ মি. ইফতার ৬:১৭ মি. :: সিলেটে সেহেরি ৪:২৬ মি. ইফতার ৬:১১ মি. :: রংপুরে সেহেরি ৪:৩৭ মি. ইফতার ৬:২২ মি. :: ময়মনসিংহে সেহেরি ৪:৩২ মি. ইফতার ৬:১৭ মি. ::::

মরা গরু জবাই করা নিয়ে কসাইয়ের কান্ড!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:২৬:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :

গতকাল মঙ্গলবার রাতে যশোর জেলার মণিরামপুরের জয়নগর কসাইখানার পাশে মরা গরু এনে নাম কাওয়াস্তে জবাই দেওয়ার সময় জনতার হাতে আটক হয় আব্দুল্লাহ নামের এক ভ্যান চালক। এসময় তার সহযোগী আলমগীর কসাই ও সুমন হোসেনসহ অন্যরা পালিয়ে যায়। বুধবার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নির্দেশে স্থানীয়রা ওই মরা গরুটি মাটিচাপা দিয়েছে। তবে অভিযোগ রয়েছে জনতার হাতে আটক হলেও ভ্যান চালক আব্দুল্লাহকে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে।

সূত্রে জানা যায়, আলমগীর নামের এক কসাই (মাংস বিক্রেতা) ও তার ছোটভাই হাসানের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকা থেকে কম মূল্যে চোরাই, রোগাক্রান্ত, গর্ভবতী ও মরা গরু কিনে মাংস বিক্রি করে আসছিল। এ কর্মকান্ড করতে গিয়ে আলমগীর ইতিপূর্বে যশোর কোতয়ালী থানা পুলিশের হাতে ধরাও পড়েছে বলে জানা গেছে। সেখান থেকে মুক্ত হবার পর এলাকাবাসীর চাপের মুখে আলমগীর কুয়াদা বাজার থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেয়। পরে সে মণিরামপুর পৌর শহরের স্বরুপদাহ এলাকায় বিবাহ সূত্রে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করে আসছে।

অভিযোগ রয়েছে ঘরজামাই থেকে আলমগীর মণিরামপুরেও একই ধরনের কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। মণিরামপুরে কসাই আলমগীরের এ সিন্ডিকেটের সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছে গাংড়া এলাকার সুমন হোসেন, ভ্যান চালক আব্দুল্লাহসহ বেশ কয়েকজন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে গাংড়া এলাকা থেকে একটি মরা গরু ভ্যানে করে নিয়ে আসে পৌর শহরের জয়নগর এলাকায় কসাইখানার পাশে বাগানের ভেতর।

প্রত্যক্ষদর্শী কামরুজ্জামান ও গৃহবধু যমুনা বেগম জানান, গভীর রাতে বাগানের সামনে কসাই আলমগীর ও সুমনকে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। এ সময় তারা বাগানের দিকে এগিয়ে গেলে কসাই আলমগীর হোসেন, সুমন হোসেনসহ অন্যরা পালিয়ে যায়। সেখানে থাকা ভ্যানের উপর রাখা একটি মরা গরুসহ ভ্যান চালক আব্দুল্লাহকে আটকায় স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে থানা থেকে এসআই এমরান আলী গিয়ে জনতার কাছ থেকে আব্দুল্লাহকে উদ্ধার করে।

এসআই এমরান আলী জানান, কাসাই আলমগীর ও তার প্রধান সহযোগী সুমনকে আটকের জন্য বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে জনতার হাতে আটক আব্দুল্লাহ তার ভ্যানে করে গরুটি ৫০০ টাকা ভাড়ায় বহন করে এনেছিল। ফলে তাকে স্থানীয় এক ব্যক্তির জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, গরুর প্রকৃত মালিক গাংড়া গ্রামের আনিচ নামের এক কৃষক। এ ব্যাপারে আরোও খোজ নেয়া হচ্ছে।

জানতে চাইলে থানা অফিসার ইনচার্জ শেখ মনিরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন এসিল্যান্ড।

নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সহকারি কমিশনার (ভূমি) আলী হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কোন ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি। লোকজন নিয়ে বুধবার দুপুরে মরা গরুটি মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।

বা/খ: জই

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/r7oi

নিউজটি শেয়ার করুন

মরা গরু জবাই করা নিয়ে কসাইয়ের কান্ড!

আপডেট সময় : ০৮:২৬:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :

গতকাল মঙ্গলবার রাতে যশোর জেলার মণিরামপুরের জয়নগর কসাইখানার পাশে মরা গরু এনে নাম কাওয়াস্তে জবাই দেওয়ার সময় জনতার হাতে আটক হয় আব্দুল্লাহ নামের এক ভ্যান চালক। এসময় তার সহযোগী আলমগীর কসাই ও সুমন হোসেনসহ অন্যরা পালিয়ে যায়। বুধবার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নির্দেশে স্থানীয়রা ওই মরা গরুটি মাটিচাপা দিয়েছে। তবে অভিযোগ রয়েছে জনতার হাতে আটক হলেও ভ্যান চালক আব্দুল্লাহকে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে।

সূত্রে জানা যায়, আলমগীর নামের এক কসাই (মাংস বিক্রেতা) ও তার ছোটভাই হাসানের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকা থেকে কম মূল্যে চোরাই, রোগাক্রান্ত, গর্ভবতী ও মরা গরু কিনে মাংস বিক্রি করে আসছিল। এ কর্মকান্ড করতে গিয়ে আলমগীর ইতিপূর্বে যশোর কোতয়ালী থানা পুলিশের হাতে ধরাও পড়েছে বলে জানা গেছে। সেখান থেকে মুক্ত হবার পর এলাকাবাসীর চাপের মুখে আলমগীর কুয়াদা বাজার থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেয়। পরে সে মণিরামপুর পৌর শহরের স্বরুপদাহ এলাকায় বিবাহ সূত্রে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করে আসছে।

অভিযোগ রয়েছে ঘরজামাই থেকে আলমগীর মণিরামপুরেও একই ধরনের কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। মণিরামপুরে কসাই আলমগীরের এ সিন্ডিকেটের সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছে গাংড়া এলাকার সুমন হোসেন, ভ্যান চালক আব্দুল্লাহসহ বেশ কয়েকজন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে গাংড়া এলাকা থেকে একটি মরা গরু ভ্যানে করে নিয়ে আসে পৌর শহরের জয়নগর এলাকায় কসাইখানার পাশে বাগানের ভেতর।

প্রত্যক্ষদর্শী কামরুজ্জামান ও গৃহবধু যমুনা বেগম জানান, গভীর রাতে বাগানের সামনে কসাই আলমগীর ও সুমনকে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। এ সময় তারা বাগানের দিকে এগিয়ে গেলে কসাই আলমগীর হোসেন, সুমন হোসেনসহ অন্যরা পালিয়ে যায়। সেখানে থাকা ভ্যানের উপর রাখা একটি মরা গরুসহ ভ্যান চালক আব্দুল্লাহকে আটকায় স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে থানা থেকে এসআই এমরান আলী গিয়ে জনতার কাছ থেকে আব্দুল্লাহকে উদ্ধার করে।

এসআই এমরান আলী জানান, কাসাই আলমগীর ও তার প্রধান সহযোগী সুমনকে আটকের জন্য বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে জনতার হাতে আটক আব্দুল্লাহ তার ভ্যানে করে গরুটি ৫০০ টাকা ভাড়ায় বহন করে এনেছিল। ফলে তাকে স্থানীয় এক ব্যক্তির জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, গরুর প্রকৃত মালিক গাংড়া গ্রামের আনিচ নামের এক কৃষক। এ ব্যাপারে আরোও খোজ নেয়া হচ্ছে।

জানতে চাইলে থানা অফিসার ইনচার্জ শেখ মনিরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন এসিল্যান্ড।

নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সহকারি কমিশনার (ভূমি) আলী হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কোন ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি। লোকজন নিয়ে বুধবার দুপুরে মরা গরুটি মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।

বা/খ: জই

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/r7oi