মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :
পুলিশের উপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ ও উদ্ধারসহ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মিছিল মিটিং করার অভিযোগ এনে যশোরের মণিরামপুর থানা বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেন, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আলহাজ্ব মোহাম্মাদ মুছা, যুগ্ম-আহবায়ক আসাদুজ্জামান মিন্টু, মফিজুর রহমান মফিজ, বিএনপি নেতা ডা. আলতাফ হোসেন, এ্যাড. মকবুল ইসলাম, পৌর বিএনপির আহবায়ক খায়রুল ইসলাম, যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুল হাইসহ বিএনপির যুবদল ও ছাত্রদলের ৪১ নেতা-কর্মীকে আসামী করে মণিরামপুর থানা পুলিম মামলা করেছে। পুলিশ এ মামলায় ৬ জনকে আটক করেছে। বুধবার রাতে থানার উপ-পরিদর্শক সুমন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ মামলায় আটক করা হয়েছে বিএনপি নেতা আনছার আলী (৪৮), আজিজুর রহমান (৪২), রোস্তম আলী (৪০), যুবদল নেতা বিল্লাল হোসেন (৩৮), বিএনপি নেতা সিদ্দিকুর রহমান (৫৮) এবং মাহাবুবুর রহমান (৪২)। এ মামলায় অজ্ঞাত আসামী হিসেবে আরো অনেককে রাখা হয়েছে।
মামলা দায়েরের পর মণিরামপুর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. শহীদ ইকবালের মণিরামপুরস্থ বাসভবনে নেতাকর্মীদের নিয়ে দলীয় মিটিং করছিলেন। মিটিং-এ পূর্বে থানা থেকে মৌখিক অনুমতি নেওয়া হয়েছিল বলে দাবী করেন নেতাকর্মীরা। পুলিশ এসময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে সেখানে গেলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে এসআই মলয়সহ ৪ পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছে বলে থানার ওসি শেখ মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী এসআই সুমনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মামলায় কেবল স্বাক্ষর করেছি। অন্যকিছু বলতে পারবো না। বর্তমানে আমি ছুটিতে আছি।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেন জানান, অনুমতি সাপেক্ষে মিটিং চলাকালীন সময়ে থানা পুলিশ হঠাৎ বাড়িটি ঘিরে ফেলে। এসময় তারা ৬/৭জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। কোন ঘটনা ছাড়াই নেতা-কর্মীদের নামে একটি পাতানো মামলা দেয়া হয়েছে।
বা/খ : এসআর।