বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার
- আপডেট সময় : ১২:৩৯:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৪২৮ বার পড়া হয়েছে
চলতি বছরের গত দুই মাসের (জুলাই ও আগস্ট) এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) সদস্য রাষ্ট্রগুলোর আমদানির বিল ১ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। আকুর এই আমদানি বিল পরিশোধের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলারে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) স্বীকৃত বিপিএম৬ পদ্ধতিতে হিসাব করে রিজার্ভের এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আকুর বিল পরিশোধের আগে সেপ্টেম্বরের শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছিল, গ্রস হিসাবে রিজার্ভ ২৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। বিপিএম৬ অনুসারে রিজার্ভের পরিমাণ ২০ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু আকুর দুই মাসের (জুলাই থেকে আগস্ট) বিল পরিশোধের পর বিপিএম৬ হিসাবে রিজার্ভ দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার। গ্রস রিজার্ভ ২৪ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার। এর আগের দুই মাসের (মে থেকে জুন) আকু সদস্য রাষ্ট্রগুলোর আমদানির বিল ১ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছিল বাংলাদেশ। এরও আগে আগে মার্চ থেকে এপ্রিল এই দুই মাসের জন্য ১ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়েছিল।
আকু হলো একটি আন্তদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তির ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। এই ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি দুই মাস অন্তর আমদানির অর্থ পরিশোধ করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সাত দিনে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স দেশে এসেছে ৫৮ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। আলোচিত সাত দিনে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ৪১ কোটি ৫২ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। এ ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৫ কোটি ২৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এক কোটি ৪৮ লাখ ৩০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৬ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।
দেশে কার্যরত ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রথম এই সাত দিনে একক ব্যাংক হিসেবে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকটির মাধ্যমে প্রবাসী আয় ১২ কোটি ৬৫ লাখ ১০ হাজার ডলার এসেছে। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে আট কোটি ৮২ লাখ ৪০ হাজার ডলার। এরপর সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে তিন কোটি ৯০ লাখ ৪০ হাজার ডলার, জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে তিন কোটি ৮৬ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং ট্রাস্ট ব্যাংকের মাধ্যমে তিন কোটি এক লাখ ২০ হাজার ডলার।