ঢাকা ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বেড়ায় মাদক ব্যবসায়ীকে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৫:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৬১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পাবনা প্রতিনিধি :

পাবনা বেড়া উপজেলায় দেশীয় মদসহ আটক এক মাদক ব্যবসায়ীকে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বেড়া মডেল থানার এসআই শাহীনের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন। বেড়া মডেল থানার এসআই শাহীন নতুন ভারঙ্গা ইউনিয়ন বীট পুলিশিং অফিসারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।

জানা যায়, গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বেড়া মডেল থানা পুলিশের এসআই শাহীন সঙ্গীয় ফোর্সদের নিয়ে নতুন বাড়েঙ্গা ইউনিয়নের রাকসা বাজারে অভিযান চালিয়ে বাশার ফকির (৪৫) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে ৩ লিটার মদসহ আটক করে।

 

পাবনা বেড়া উপজেলায় দেশীয় মদসহ আটক এক মাদক ব্যবসায়ীকে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বেড়া মডেল থানার এসআই শাহীনের বিরুদ্ধে।

 

এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশ আসামীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। ঘটনাটি গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে রাকসা বাজার এলাকায় ঘটে।  বাশার ফকির উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের সাইফুল্লাহ পাড়ার হযরত আলির ছেলে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন উপস্থিত লোকজন জানান, বাসার ফকিরকে চোলাই মদসহ আটক করে এসআই শাহীন এবং এসআই আনোয়ার। আটককৃত বাসার ফকিরকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানালে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেন পুলিশ। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য লোকমান নিজেই ৩ হাজার টাকার বিনিময়ে বাসারকে ছাড়িয়ে রাখেন। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে সমালোচনা এবং ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য লোকমানের সাথে কথা বললে তিনি ৩ হাজার টাকার বিনিময়ে আসামিকে ছাড়িয়ে রাখার কথা স্বীকার করেন।

এ বিষয়ে বেড়া মডেল থানার এস আই শাহিনের সঙ্গে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে অস্বীকার করেন এবং ওসি সাহেবের সাথে কথা বলতে বলেন।

এদিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু দাউদ বলেন, আমি সন্ধ্যায় শুনলাম বাসারকে পুলিশ মদসহ ধরেছে। আমি পুলিশকে বলেছি মাদকের পক্ষে আমার কোন সুপারিশ নেই। যার কাছে মাদক পেয়েছে তাকে তো আটক করবেই এবং যে রেখেছিল তাকে আটক করবেন। কিন্তু ঘটনার কিছুক্ষণ পরে আমি শুনতে পারি পুলিশ আসামীকে ছেড়ে দিয়েছে।

বেড়া মডেল থানার ওসি  আসাদুজ্জামান খান (আসাদ) মুঠোফোনে বলেন, তিন লিটার মদ পাওয়া গেছে, কিন্তু বিষয়টি জানতে পারলাম বাসারকে মদ দিয়ে ফাঁসানোর জন্য সোর্স মদ রেখেছিল। পারিবারিক কোনো কারণে কেউ তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে, এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে বাশারকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

 

বা/খ: জই

নিউজটি শেয়ার করুন

বেড়ায় মাদক ব্যবসায়ীকে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৭:৩৫:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩

পাবনা প্রতিনিধি :

পাবনা বেড়া উপজেলায় দেশীয় মদসহ আটক এক মাদক ব্যবসায়ীকে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বেড়া মডেল থানার এসআই শাহীনের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন। বেড়া মডেল থানার এসআই শাহীন নতুন ভারঙ্গা ইউনিয়ন বীট পুলিশিং অফিসারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।

জানা যায়, গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বেড়া মডেল থানা পুলিশের এসআই শাহীন সঙ্গীয় ফোর্সদের নিয়ে নতুন বাড়েঙ্গা ইউনিয়নের রাকসা বাজারে অভিযান চালিয়ে বাশার ফকির (৪৫) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে ৩ লিটার মদসহ আটক করে।

 

পাবনা বেড়া উপজেলায় দেশীয় মদসহ আটক এক মাদক ব্যবসায়ীকে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বেড়া মডেল থানার এসআই শাহীনের বিরুদ্ধে।

 

এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশ আসামীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। ঘটনাটি গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে রাকসা বাজার এলাকায় ঘটে।  বাশার ফকির উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের সাইফুল্লাহ পাড়ার হযরত আলির ছেলে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন উপস্থিত লোকজন জানান, বাসার ফকিরকে চোলাই মদসহ আটক করে এসআই শাহীন এবং এসআই আনোয়ার। আটককৃত বাসার ফকিরকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানালে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেন পুলিশ। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য লোকমান নিজেই ৩ হাজার টাকার বিনিময়ে বাসারকে ছাড়িয়ে রাখেন। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে সমালোচনা এবং ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য লোকমানের সাথে কথা বললে তিনি ৩ হাজার টাকার বিনিময়ে আসামিকে ছাড়িয়ে রাখার কথা স্বীকার করেন।

এ বিষয়ে বেড়া মডেল থানার এস আই শাহিনের সঙ্গে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে অস্বীকার করেন এবং ওসি সাহেবের সাথে কথা বলতে বলেন।

এদিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু দাউদ বলেন, আমি সন্ধ্যায় শুনলাম বাসারকে পুলিশ মদসহ ধরেছে। আমি পুলিশকে বলেছি মাদকের পক্ষে আমার কোন সুপারিশ নেই। যার কাছে মাদক পেয়েছে তাকে তো আটক করবেই এবং যে রেখেছিল তাকে আটক করবেন। কিন্তু ঘটনার কিছুক্ষণ পরে আমি শুনতে পারি পুলিশ আসামীকে ছেড়ে দিয়েছে।

বেড়া মডেল থানার ওসি  আসাদুজ্জামান খান (আসাদ) মুঠোফোনে বলেন, তিন লিটার মদ পাওয়া গেছে, কিন্তু বিষয়টি জানতে পারলাম বাসারকে মদ দিয়ে ফাঁসানোর জন্য সোর্স মদ রেখেছিল। পারিবারিক কোনো কারণে কেউ তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে, এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে বাশারকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

 

বা/খ: জই