রোববার ভোর থেকেই মোনাজাতে অংশ নেওয়ার জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ ইজতেমাস্থলে আসতে শুরু করেন। তখনও গাড়ি না পেয়ে অনেকে পায়ে হেঁটেই তুরাগতীরে পৌঁছান।
এত মানুষের ভীড়ে জনসমুদ্রে পরিণত হয় পুরো টঙ্গী এলাকা। ময়দানে স্থান না পাওয়ায় কামারপাড়া সড়ক, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে পলিথিন, খবরের কাগজ বিছিয়ে দুপুরে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন তারা। অনেকেই আবার মোবাইল ফোনে দূর-দূরান্ত থেকেও মোনাজাতে শরিক হন।
এর পরপরই মোনাজাতের উদ্দেশ্য আসা মুসলমানরা ইজতেমা এলাকা ছাড়ছেন। তবে খিত্তায় অবস্থান নেওয়া তাবলীগের অনুসারীরা পর্যায়ক্রমে ময়দান ছাড়বেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সোমবার পর্যন্ত ময়দানে অবস্থান করবেন।
আখেরি মোনাজাতে দেশের কল্যাণ, মুসলিম উম্মার সুদৃঢ় ঐক্য, আখেরাত ও দুনিয়ার শান্তি কামনা করা হয়। এসময় দুহাত তুলে আল্লাহ’র দরবারে ফরিয়াদ জানায় লাখ লাখ মানুষ।
মোনাজাতের পরপরই নিজ গন্তব্যে ফেরার জন্য রওয়ানা হন এসব মানুষ। ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, টঙ্গী-পুবাইল, টঙ্গী-বনমালা আঞ্চলিক সড়ক, টঙ্গী-আব্দুল্লাহ্পুর সড়ক ও কামারপাড়া-আশুলিয়া সড়কে জনস্রোতের সৃষ্টি হয়।
কিন্তু ফেরার পথে দুই-একটি পিক আপ ও মোটরসাইকেল ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি না পেয়ে আবারও পায়ে হেঁটেই বাড়ির দিকে রওনা হন তারা। ফলে তাদের পোহাতে হচ্ছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ-দুর্গতি আর ভোগান্তী।