বিশ্বজুড়ে হোয়াটসঅ্যাপ বিভ্রাট
- আপডেট সময় : ০৩:০৫:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২
- / ৪০৫ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারে বিশ্বজুড়ে বিভ্রাটের খবর পাওয়া গেছে। বহু ব্যবহারকারী জানান, তাদের অ্যাপ কাজ করছে না। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানান যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
বাংলাদেশে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর ১টা থেকে গোলমাল শুরু হয় ফেসবুকের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘মেটা’র এই মেসেঞ্জার পরিষেবায়।
হোয়াটসঅ্যাপ থমকে যাওয়ায় ব্যক্তিগত ও অফিসিয়াল কাজে সমস্যা দেখা দিয়েছে অনেকের। কারণ কোটি কোটি গ্রাহক ব্যক্তিগত ও অফিসিয়াল কাজে হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা ব্যবহার করে থাকে।
বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হোয়াটসঅ্যাপ ডাউনের কথা জানান ব্যবহারকারীরা। টেক্সট ও ভিডিও আদানপ্রদান করা যাচ্ছে না বলে জানান তারা। ব্যক্তিগত কিংবা গ্রুপে পাঠানো কোনও বার্তাই ডেলিভার হচ্ছে না।
হোয়াটসঅ্যাপ প্যারেন্ট কোম্পানি মেটা প্ল্যাটফর্মের একজন মুখপাত্র বলেন, কিছু ব্যবহারকারীর বার্তা পাঠাতে সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ অবগত রয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এটি কাটিয়ে উঠতে কাজ চলছে।
ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও পরিষেবার অবস্থা সম্পর্কে রিয়েল-টাইম তথ্য প্রদান করে ডাউনডিটেক্টর নামের একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণকারী এই প্ল্যাটফর্মটি বলছে, ভারতে ১১ হাজারেরও বেশি ব্যবহারকারী হোয়াটস্যাপের গোলযোগের কথা জানিয়েছে। দেশটির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এমন অভিযোগ এসেছে।
যুক্তরাজ্যে ৬৮ হাজারের মতো ব্যবহারকারী হোয়াটস্যাপের গোলযোগের কথা জানিয়েছে। সিঙ্গাপুরে এ সংখ্যা ১৯ হাজার।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ডাউনডিটেক্টর তার প্ল্যাটফর্মে বেশকিছু উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। ফলে তাদের হিসাবের বাইরেও হোয়াটসঅ্যাপ বিভ্রাটের শিকার ব্যবহারকারীদের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
হোয়াটসঅ্যাপডাউন হ্যাশট্যাগ দিয়ে টুইটারে দেওয়া পোস্টে একজন ব্যবহারকারী লিখেন, আমি আমার ফোন রিস্টার্ট করার পর এটিকে ফ্লাইট মোডে রেখে দেই। পরে হোয়াটসঅ্যাপ আনইনস্টল করে টুইটারে আসি।
এর আগে সর্বশেষ ২০২১ সালের অক্টোবরে হোয়াটসঅ্যাপে বড় ধরনের বিভ্রাট ঘটেছিল। ওই সময় প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে মেটার মালিকানাধীন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম ডাউন ছিল। ফলে এ সময়ে বিশ্বের কোটি কোটি ব্যবহারকারী এই অ্যাপগুলো ব্যবহারের সুযোগ পাননি।