ঢাকা ০৭:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিয়ে করলেন এইচআইভি পজিটিভ তরুণ-তরুণী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০৫:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৬১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

পাত্র-পাত্রী দুজনের শরীরেই বয়ে চলেছেন এইচআইভি ভাইরাস। তা সত্ত্বেও তারা বিয়ে করেছেন। এই তরুণ-তরুণীর বিয়ের সাক্ষী হলো ভারতের সোনারপুরের গোবিন্দপুর। পথটা সহজ ছিল না। এইচআইভি পজিটিভ দু’জনের বিয়ে পরিবার আদৌ মেনে নেবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন ছিল বিস্তর।

অবশেষে সব বাধা কাটিয়ে রোববার চার হাত এক হলো এইচআইভি পজিটিভ ওই তরুণ-তরুণীর। শাস্ত্রমতে মন্ত্র পড়ে মালাবদল করলেন দু’জনে। পুরো সময়টা তাদের পাশে ছিল সোনারপুরের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।

জানা গেছে, তাদের লড়াইয়ের শুরুটা অবশ্য হয়েছিল অনেক আগে। তিন বছর বয়সে বাবা-মাকে হারিয়ে মেয়েটির ঠাঁই হয়েছিল কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে গোবিন্দপুরের একটি হোমে। তখনো জানা ছিল না, সে এইচআইভি পজিটিভ। পরে বিষয়টি সামনে আসে।

মাথা গোঁজার ঠাই মিললেও চিকিৎসার জন্য নিয়মিত কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসতে হত তরুণীকে। সেখানেই তার সঙ্গে আলাপ উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা এক যুবকের। হাসপাতালের ছোট ঘরে চিকিৎসা করাতে আসা দু’জনের আলাপ ক্রমে গড়ায় ভালোবাসায়।

অবশেষে দু’জনে সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করার। যুবকটির পরিবারও তাদের এই সিদ্ধান্তে বাধা দেয়নি। এগিয়ে আসে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও। গোটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল তারাই। সূত্র : টিওআই।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিয়ে করলেন এইচআইভি পজিটিভ তরুণ-তরুণী

আপডেট সময় : ০৯:০৫:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

পাত্র-পাত্রী দুজনের শরীরেই বয়ে চলেছেন এইচআইভি ভাইরাস। তা সত্ত্বেও তারা বিয়ে করেছেন। এই তরুণ-তরুণীর বিয়ের সাক্ষী হলো ভারতের সোনারপুরের গোবিন্দপুর। পথটা সহজ ছিল না। এইচআইভি পজিটিভ দু’জনের বিয়ে পরিবার আদৌ মেনে নেবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন ছিল বিস্তর।

অবশেষে সব বাধা কাটিয়ে রোববার চার হাত এক হলো এইচআইভি পজিটিভ ওই তরুণ-তরুণীর। শাস্ত্রমতে মন্ত্র পড়ে মালাবদল করলেন দু’জনে। পুরো সময়টা তাদের পাশে ছিল সোনারপুরের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।

জানা গেছে, তাদের লড়াইয়ের শুরুটা অবশ্য হয়েছিল অনেক আগে। তিন বছর বয়সে বাবা-মাকে হারিয়ে মেয়েটির ঠাঁই হয়েছিল কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে গোবিন্দপুরের একটি হোমে। তখনো জানা ছিল না, সে এইচআইভি পজিটিভ। পরে বিষয়টি সামনে আসে।

মাথা গোঁজার ঠাই মিললেও চিকিৎসার জন্য নিয়মিত কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসতে হত তরুণীকে। সেখানেই তার সঙ্গে আলাপ উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা এক যুবকের। হাসপাতালের ছোট ঘরে চিকিৎসা করাতে আসা দু’জনের আলাপ ক্রমে গড়ায় ভালোবাসায়।

অবশেষে দু’জনে সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করার। যুবকটির পরিবারও তাদের এই সিদ্ধান্তে বাধা দেয়নি। এগিয়ে আসে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও। গোটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল তারাই। সূত্র : টিওআই।