বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে জেলার শ্রেষ্ঠ সভাপতি হাফিজুর রহমান তানভীর
// সোহেল, মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি //
- আপডেট সময় : ০৩:৫৩:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩
- / ৯৪৮ বার পড়া হয়েছে

পিরোজপুর জেলার শ্রেষ্ঠ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মঠবাড়িয়া উপজেলার ধানীসাফা ইউনিয়নে অবস্থিত ১৫৩ নং দক্ষিন তেতুলঁবাড়ীয়া পঞ্চগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো: হাফিজুর রহমান (তানভীর)। সম্প্রতি পিরোজপুর জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৩ এর জেলা পর্যায়ে অংশ নেয়া ৭টি উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হন তিনি। এর আগে মঠবাড়িয়া উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সভাপতি নির্বাচিত হন।
হাফিজুর রহমান তানভীর মঠবাড়িয়ার পাঠশালার সামনে অবস্থিত মেসার্স সুন্দরবন ট্রেডিং এর স্বত্বাধিকারী। তার পিতা মোঃ আবু তালেব (বি.কম.) এবং মাতা সাজেদা বেগম (বি. এস. সি.)। তিনি কে এম লতিফ ইনস্টিটিউশন, মঠবাড়িয়া থেকে ২০০৪ সালে এস. এস. সি, অমৃত লাল দে কলেজ, বরিশাল থেকে ২০০৬ সালে ইন্টারমেডিয়েট এবং ২০১১ সালে বি এম কলেজ, বরিশাল থেকে ব্যবস্থাপনা বিভাগে স্নাতকোত্তর পাশ করেন।
হাফিজুর রহমান তানভীর এর দাদা মরহুম আবুল হাসেম মাস্টার ব্যাক্তিগত উদ্যোগে ১৯৮০ সালে নিজ জমিতে বাঁশের খুটি ও গোল পাতা দিয়ে ঘর বানিয়ে বিদ্যালয়টি শুরু করেন। হাফিজুর রহমানের মা ছাত্রছাত্রীদের পড়াতেন। তাদের পরিবারের শিশুরাই ওই বিদ্যালয়ের প্রথম দিকের ছাত্রছাত্রী। ১৯৯০ সালে তার পিতা মো: আবু তালেব বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের প্রচেষ্টায় এবং সরকারের আন্তরিকতায় বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ হয়। ২০২০ সালে জমিদাতা সদস্য হিসেবে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে ৮১ শতাংশ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন হাফিজুর রহমান তানভীর।
সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি তার নিজস্ব অর্থায়নে বিদ্যালয়ের ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেন। এর মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হলো সুপেয় পানির জন্য টিউবওয়েল স্থাপন, স্যানিটারি ল্যাট্রিন স্থাপন, প্রাক প্রাথমিকের জন্য খেলনা প্রদান, টিফিন বক্স ও হার্ডবোর্ড বিতরণ, খেলার জার্সি ও ফুটবল বিতরণ, গরীব ছাত্রছাত্রীদের ইউনিফর্ম প্রদান ইত্যাদি। এছাড়াও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোজ খবর নেয়া, অভিভাবকদের উদ্বুদ্ধকরণ এবং বিভিন্ন সমাবেশ এর আয়োজন করেন।
তানভীর হাফিজ বলেন, বিদ্যালয়ের সাথে আমার তিন পুরুষের স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আমার পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি আধুনিক এবং বিশ্বমানের শিক্ষার পরিবেশ উপহার দিতে চাই ৷ এত সব আয়োজন সেই প্রচেষ্টারই একটা অংশ ।