ঢাকা ০৭:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিদেশে কবর দেওয়া শহীদদের দেশে আনার ইচ্ছা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৬:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি : 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে যেসব শহীদদের কবর দেশের বাইরে আছে, তাদের কবর দেশে এনে করব দেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার শীতার্ত মানুষজনের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।

বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ আর কোনোদিন অন্ধকারে যাবে না বলে মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জনগণ বিশ্বাস করে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। যতদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে থাকবেন ততদিন বাংলাদেশের আকাশ-বাতাস সবই ভালো থাকবে। আলোকিত হয়েই দেশ এগিয়ে যাবে। দেশের মানুষ আর কোনোদিন সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদে সমর্থন দেবে না। এখন পৃথিবীর অনেক দেশে বাংলাদেশের সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনের প্রশংসা করা হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ অনেক। আজকে আমরা সব চ্যালেঞ্জকে অতিক্রম করে একটা সুন্দর পরিস্থিতিতে এসেছি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দক্ষ প্রশাসন তাদের অভিজ্ঞতা, সাহসিকতা ও দেশপ্রেম দিয়ে জনসেবা করছেন।

তিনি আরও বলেন, র‌্যাব শুধু জঙ্গি দমন করে না। যখন যা প্রয়োজন র‌্যাব সশরীরে মানুষের কাতারে সেবা দেওয়ার জন্য চলে আসে। র‌্যাব শুধু এলিট ফোর্স নয়, তারা জনগণের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় জয় করেছে র‌্যাব। জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। র‌্যাব বাহিনীর প্রশংসা সবার মুখে মুখে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষতা, দূরদর্শিতা, নেতৃত্ব এবং তার তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতার কারণে আমরা ভালো আছি। এ দেশের জনগণ আর কোনোদিন জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসের মদদদাতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও সমর্থন দেবে না। দেশের মানুষ এখন যখনই কোনো দুর্যোগ আসে, সমস্যা-সংকট দেখা দেয় তখনই সবাই একসঙ্গে ঘুরে দাঁড়ায়। দেশের মানুষের জন্য যখন যা প্রয়োজন, প্রধানমন্ত্রী কখনো তা করতে না করেননি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে নো বলে কোনো শব্দ নেই।

আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, তিস্তায় অনেক সমস্যা, পানি প্রবাহ নেই। কিন্তু তিস্তায় পানি প্রবাহ না থাকলেও ফসল যাতে হয় সেদিকে প্রধানমন্ত্রীর খেয়াল রয়েছে। তিস্তা নির্ভর এই অঞ্চলে ফসল উৎপাদনে যা যা করণীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা করে যাচ্ছেন। আমরা মনে করি এখানকার মানুষজন আরও এগিয়ে যাবে। এখানকার নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে, নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হওয়ায় সবক্ষেত্রে সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে। এখন যত ষড়যন্ত্রই হোক আমাদের এই দুর্বার গতি কেউ আটকাতে পারবে না। কারণ দেশের মানুষ আর অন্ধকারে ফিরতে চান না।

এসময় সীমান্তবর্তী ভারতের বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ হওয়া বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের করব ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চলছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

সীমান্তে হত্যা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, এ বিষয়ে উভয় পক্ষে আলোচনা চলছে। ভারত সরকারও আন্তরিক। তারা সবসময় বলে থাকেন বর্ডার ক্লিন (সীমান্তে হত্যা) বন্ধ করবেন। তারপরও তারা করছেন। আমরা দুপক্ষই আন্তরিক এটা বন্ধ করতে। খুব শিগগির আমাদের পরিকল্পনা এটা বন্ধে আমরা সফল হবো।

অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধ হচ্ছে না- এটা দুঃখজনক। বিজিবি ও বিএসএফ তাদের সাধ্যমতে সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধে চেষ্টা করছেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাট -১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন, র‌্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস্) কর্নেল কামরুল হাসান, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নুরেআলম মিনা, র‌্যাব-১৩ এর অধিনায়ক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম, লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান, লালমনিরহাট জেলার পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক টিএমএ মুমিন প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিদেশে কবর দেওয়া শহীদদের দেশে আনার ইচ্ছা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৪:৫৬:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩

লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি : 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে যেসব শহীদদের কবর দেশের বাইরে আছে, তাদের কবর দেশে এনে করব দেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার শীতার্ত মানুষজনের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।

বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ আর কোনোদিন অন্ধকারে যাবে না বলে মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জনগণ বিশ্বাস করে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। যতদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে থাকবেন ততদিন বাংলাদেশের আকাশ-বাতাস সবই ভালো থাকবে। আলোকিত হয়েই দেশ এগিয়ে যাবে। দেশের মানুষ আর কোনোদিন সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদে সমর্থন দেবে না। এখন পৃথিবীর অনেক দেশে বাংলাদেশের সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনের প্রশংসা করা হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ অনেক। আজকে আমরা সব চ্যালেঞ্জকে অতিক্রম করে একটা সুন্দর পরিস্থিতিতে এসেছি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দক্ষ প্রশাসন তাদের অভিজ্ঞতা, সাহসিকতা ও দেশপ্রেম দিয়ে জনসেবা করছেন।

তিনি আরও বলেন, র‌্যাব শুধু জঙ্গি দমন করে না। যখন যা প্রয়োজন র‌্যাব সশরীরে মানুষের কাতারে সেবা দেওয়ার জন্য চলে আসে। র‌্যাব শুধু এলিট ফোর্স নয়, তারা জনগণের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় জয় করেছে র‌্যাব। জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। র‌্যাব বাহিনীর প্রশংসা সবার মুখে মুখে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষতা, দূরদর্শিতা, নেতৃত্ব এবং তার তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতার কারণে আমরা ভালো আছি। এ দেশের জনগণ আর কোনোদিন জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসের মদদদাতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও সমর্থন দেবে না। দেশের মানুষ এখন যখনই কোনো দুর্যোগ আসে, সমস্যা-সংকট দেখা দেয় তখনই সবাই একসঙ্গে ঘুরে দাঁড়ায়। দেশের মানুষের জন্য যখন যা প্রয়োজন, প্রধানমন্ত্রী কখনো তা করতে না করেননি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে নো বলে কোনো শব্দ নেই।

আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, তিস্তায় অনেক সমস্যা, পানি প্রবাহ নেই। কিন্তু তিস্তায় পানি প্রবাহ না থাকলেও ফসল যাতে হয় সেদিকে প্রধানমন্ত্রীর খেয়াল রয়েছে। তিস্তা নির্ভর এই অঞ্চলে ফসল উৎপাদনে যা যা করণীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা করে যাচ্ছেন। আমরা মনে করি এখানকার মানুষজন আরও এগিয়ে যাবে। এখানকার নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে, নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হওয়ায় সবক্ষেত্রে সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে। এখন যত ষড়যন্ত্রই হোক আমাদের এই দুর্বার গতি কেউ আটকাতে পারবে না। কারণ দেশের মানুষ আর অন্ধকারে ফিরতে চান না।

এসময় সীমান্তবর্তী ভারতের বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ হওয়া বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের করব ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চলছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

সীমান্তে হত্যা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, এ বিষয়ে উভয় পক্ষে আলোচনা চলছে। ভারত সরকারও আন্তরিক। তারা সবসময় বলে থাকেন বর্ডার ক্লিন (সীমান্তে হত্যা) বন্ধ করবেন। তারপরও তারা করছেন। আমরা দুপক্ষই আন্তরিক এটা বন্ধ করতে। খুব শিগগির আমাদের পরিকল্পনা এটা বন্ধে আমরা সফল হবো।

অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধ হচ্ছে না- এটা দুঃখজনক। বিজিবি ও বিএসএফ তাদের সাধ্যমতে সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধে চেষ্টা করছেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাট -১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন, র‌্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস্) কর্নেল কামরুল হাসান, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নুরেআলম মিনা, র‌্যাব-১৩ এর অধিনায়ক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম, লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান, লালমনিরহাট জেলার পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক টিএমএ মুমিন প্রমুখ।