সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
বিএনপি দেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস মুছে ফেলতে চেয়েছিল বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপি দেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস মুছে ফেলতে চেয়েছিল। ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিল বিএনপি। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল বিএনপি। অগ্নি-সন্ত্রাসীর দল বিএনপি এখন গণতন্ত্রের কথা বলে। আজ আবার ইউনিয়নে ইউনিয়নে মিছিল দিয়েছিল। কিন্তু কোনো ইউনিয়নে মিছিল নেই। সাপকে বিশ্বাস করা যায়, কিন্তু বিএনপি-জামায়াতকে বিশ্বাস করা যায় না। যখন নির্বাচন আসে তখন বিএনপি ভারত জুজুর ভয় দেখায়।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান। লাখ লাখ নেতাকর্মীকে কারাগারে নিক্ষেপ করে মনে করেছিল আওয়ামী লীগকে নির্মূল করা যাবে। কিন্তু জাতির পিতার কন্যা শত বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে দেশে এসে বলেছিলেন, ‘আমি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই, আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।
তিনি বলেন, সরকার শুধু পদ্মা সেতু, মেট্রেরেল চালু করেনি অসহায় মানুষকে ঘরও দিয়েছে। নেত্রী সুনামগঞ্জ থেকে নেত্রকোনা পর্যন্ত উড়াল সড়ক করার ঘোষণা দেওয়ার পর আমি শুনে খুশি হয়েছি। করোনার সময় বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিয়েছেন। ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের মাঠে নামতে হবে। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলো আপনারা সবাই সাধারণ মানুষকে জানান, প্রচার করুন।
নানক বলেন, সাত বছর পর এই সম্মেলন সুনামগঞ্জের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেই নির্বাচনে এখানের পাঁচটি আসন আমরা প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেব।
সম্মেলন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান সভাপতিত্ব এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়া বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, কেন্দ্রীয় সদস্য ড. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য আজিজুস সামাদ ডন, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুহিবুর রহমান মানিক এমপি, ড. জয়া সেন গুপ্তা এমপি, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি ও শামীমা আক্তার খানম এমপি।