নিজস্ব প্রতিবেদক :
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলনে স্রোত হারিয়ে গেছে। তাদের আন্দোলন এখন গুরুতর আহত। ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন ফিরে পেতে বিএনপি মরিয়া হয়ে উঠেছে।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এ আয়োজন করা হয়।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশে আবারও আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে। সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে হামলা হয়েছে। পদযাত্রায় দেখলাম আবারও আগুন সন্ত্রাস। ১৭, ১৮টি মোটরসাইকেল পুড়িয়েছে। তারা আবার এসব করছে, ওরা বিএনপি-জামায়াত। এই বিএনপি আগুন সন্ত্রাসের ঠিকানা, সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্ঠপোষক, জঙ্গিবাদের ঠিকানা এই বিএনপি-জামায়াত দেশে আবারও আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে, এদের হাতে দেশটাকে ছেড়ে দিতে পারি না।
ওবায়দুল কাদের বরেন, নারীরা এখন তো ফুরফুরে মেজাজে ঘুরে বেড়ায়, ঢাকার শহরে ছেলে-মেয়ে হাত ধরাধরি করে, স্বামী-স্ত্রী হাত ধরাধরি করে হাঁটে। প্রেমিক-প্রেমিকা বসে থাকে। যদি বিএনপি আসে, সঙ্গে জামায়াত, সঙ্গে ওই শক্তি যারা আফগানিস্তানে মেয়েদের পড়তে দেয় না। নারীদের মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবেন না। দেশে আফগানি অবস্থা চালু করবে। মেয়েরা বিশ্ববিদ্যালয়, মাধ্যমিক স্কুলে পড়তে পারবে না
তিনি বলেন, বিএনপি যদি আবার ক্ষমতায় আসে, সঙ্গে জামায়াত। আপনারা কাকে চান, শেখ হাসিনা নারীদের সম্মান দিয়েছেন, যে উন্নয়ন করতে পারে, নারীদের সম্মান দিতে পারে, বাবার নামের সঙ্গে সন্তানের পরিচয়ে মায়ের নাম এখন লিখতে পারেন। যে বিদ্যুৎ, পানি দিতে পারেন। আপনাদের ভাবতে হবে, উপলব্দি করতে হবে। আমি বলব না আপনারা বেহেস্তে আছেন, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির কারণে জিনিসের দাম বেড়ে গেছে, একটু ধৈর্য ধরেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চেষ্টা করছেন এই সমস্যা থাকবে না।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, এত লাফালাফি করছেন তত্ত্বাবধায়েকর দিবাস্বপ্ন দেখে কোনো লাভ নেই। বিএনপি মার্কা তত্ত্বাবধায়ক সরকার আওয়ামী লীগ চায় না। বিএনপির আন্দোলনের স্রোত হারিয়ে গেছে। বিএনপির আন্দোলন এখন গুরুতর আহত। ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন ফিরে পেতে তারা মরিয়া হয়ে পড়েছে। তাদের আন্দোলন ভুয়া; পদযাত্রা পতনযাত্রা, ভুয়া।
এ সময় ওবায়দুল কাদের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সফল এবং তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। পাশাপাশি পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শোখ হাসিনা এক দক্ষ ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করেছেন। অনেকের কথা শোনা গেছে, আমার নাম কেউ কেউ আলোচনা করেছে, কিন্তু শেখ হাসিনা এমন এক জনকে বেছে নিয়েছেন যার নাম আজ সকাল পর্যন্ত কেউ জানতো না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, টাকার ওপর বসে আছেন মির্জা ফখরুল। টাকা উড়ে আকাশে, টাকা উড়ে বাতাসে। মির্জা খফরুল আপনার মনও ভালো নেই। আমি জানি তারেক জিয়ার আসল লোক চট্টগ্রামের আমির খসরু। মির্জা ফখরুল কী করবে, ধমকের চোটে সংসদ সদস্য হয়েও রিজাইন করলো।
শান্তি সমাবেশে বক্তারা বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির আগুন সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন রুহুলের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির, সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।