ঢাকা ১২:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বাসচাপায় নাদিয়ার মৃত্যুর প্রতিবাদে কাওলায় সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৩৫:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাসচাপায় নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাদিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় বিচারের দাবিতে আবারও দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কাওলা ব্রিজের নিচে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কাওলা ব্রিজের নিচে তারা অবস্থান নেন।

এদিকে অবরোধের কারণে খিলক্ষেত থেকে বিমানবন্দর ও উত্তরাগামী সড়কে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে মহাখালী, বাড্ডা ও গুলশান এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে যানজটের।

নর্দান ইউনিভার্সিটির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, তারা নাদিয়ার মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ ও বিচারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন।

বিমানবন্দর সড়কে আজও বিক্ষোভ, যান চলাচল বন্ধ

কয়েক শ’ শিক্ষার্থী সড়কে অবস্থান নিয়ে নাদিয়া হত্যার বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। এতে বিমানবন্দর এলাকার রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।

এদিকে ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের ঘাতকবাসটির চালক ও হেলপারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে বাড্ডার আনন্দনগর এলাকায় সার্জেন্ট টাওয়ারের পেছন থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন চালক মো. লিটন ও হেলপার মো. আবুল খায়ের। তাদের দুজনের বাড়ি ভোলায়। দুর্ঘটনার পর তারা পালিয়ে গিয়েছিলেন।

দ্বিতীয় দিনের মতো বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা

এর আগে রোববার নাদিয়া নিহতের পর বিকেলে কাওলায় সড়ক অবরোধ করেছিলেন তার সহপাঠীরা। তবে পুলিশের অনুরোধে সন্ধ্যার দিকে শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়ে চলে যান। এরপর দ্বিতীয় দিনের মতো বিচারের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলো হলো-

১. ভিক্টর ক্লাসিক বাসের রুট পারমিট বাতিল করতে হবে।

২. নাদিয়ার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

৩. চালক ও হেলপারের গ্রেফতারের বিষয়ে পর্যাপ্ত প্রমাণ দিতে হবে।

৪. কাওলা এলাকায় একটি বাস স্টপেজ করতে হবে।

আন্দোলনরত নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আশরাফ জাহিদ বলেন, আমাদের বোন মারা গেছে, একজন শিক্ষার্থী মারা গেছে কিন্তু এ বিষয়ে কারও কোনো দায়িত্ব নেই? আমাদের ৪ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত রাস্তা ছাড়ব না।

দুপুর ১টার দিকে দেখা যায় দূরপাল্লার বাসগুলোর জন্য আলাদা একটি লেন করে সেগুলো ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ব্যক্তিগত যানবাহন ও জরুরি সেবার বিভিন্ন গাড়িকেও যেতে দিচ্ছেন তারা।

নাদিয়াকে বাসচাপা, দক্ষিণখান সড়কে প্রতিবাদ 

বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক বলেন, শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নাদিয়া আক্তার নর্দান ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁর বাবার নাম জাহাঙ্গীর মৃধা। বাড়ি পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালি সদর ইউনিয়নের পূর্বনেতা গ্রামে। তাঁরা নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকায় থাকেন। রাজধানীর আশকোনা এলাকায় থেকে পড়াশোনা করছিলেন নাদিয়া। দুর্ঘটনায় নাদিয়ার বন্ধু মোটরসাইকেলের চালকের আসনে থাকা মেহেদী হাসান আহত হয়েছেন। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য একটি বিভাগের ছাত্র।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাসচাপায় নাদিয়ার মৃত্যুর প্রতিবাদে কাওলায় সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের

আপডেট সময় : ০১:৩৫:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাসচাপায় নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাদিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় বিচারের দাবিতে আবারও দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কাওলা ব্রিজের নিচে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কাওলা ব্রিজের নিচে তারা অবস্থান নেন।

এদিকে অবরোধের কারণে খিলক্ষেত থেকে বিমানবন্দর ও উত্তরাগামী সড়কে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে মহাখালী, বাড্ডা ও গুলশান এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে যানজটের।

নর্দান ইউনিভার্সিটির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, তারা নাদিয়ার মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ ও বিচারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন।

বিমানবন্দর সড়কে আজও বিক্ষোভ, যান চলাচল বন্ধ

কয়েক শ’ শিক্ষার্থী সড়কে অবস্থান নিয়ে নাদিয়া হত্যার বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। এতে বিমানবন্দর এলাকার রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।

এদিকে ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের ঘাতকবাসটির চালক ও হেলপারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে বাড্ডার আনন্দনগর এলাকায় সার্জেন্ট টাওয়ারের পেছন থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন চালক মো. লিটন ও হেলপার মো. আবুল খায়ের। তাদের দুজনের বাড়ি ভোলায়। দুর্ঘটনার পর তারা পালিয়ে গিয়েছিলেন।

দ্বিতীয় দিনের মতো বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা

এর আগে রোববার নাদিয়া নিহতের পর বিকেলে কাওলায় সড়ক অবরোধ করেছিলেন তার সহপাঠীরা। তবে পুলিশের অনুরোধে সন্ধ্যার দিকে শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়ে চলে যান। এরপর দ্বিতীয় দিনের মতো বিচারের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলো হলো-

১. ভিক্টর ক্লাসিক বাসের রুট পারমিট বাতিল করতে হবে।

২. নাদিয়ার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

৩. চালক ও হেলপারের গ্রেফতারের বিষয়ে পর্যাপ্ত প্রমাণ দিতে হবে।

৪. কাওলা এলাকায় একটি বাস স্টপেজ করতে হবে।

আন্দোলনরত নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আশরাফ জাহিদ বলেন, আমাদের বোন মারা গেছে, একজন শিক্ষার্থী মারা গেছে কিন্তু এ বিষয়ে কারও কোনো দায়িত্ব নেই? আমাদের ৪ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত রাস্তা ছাড়ব না।

দুপুর ১টার দিকে দেখা যায় দূরপাল্লার বাসগুলোর জন্য আলাদা একটি লেন করে সেগুলো ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ব্যক্তিগত যানবাহন ও জরুরি সেবার বিভিন্ন গাড়িকেও যেতে দিচ্ছেন তারা।

নাদিয়াকে বাসচাপা, দক্ষিণখান সড়কে প্রতিবাদ 

বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক বলেন, শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নাদিয়া আক্তার নর্দান ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁর বাবার নাম জাহাঙ্গীর মৃধা। বাড়ি পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালি সদর ইউনিয়নের পূর্বনেতা গ্রামে। তাঁরা নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকায় থাকেন। রাজধানীর আশকোনা এলাকায় থেকে পড়াশোনা করছিলেন নাদিয়া। দুর্ঘটনায় নাদিয়ার বন্ধু মোটরসাইকেলের চালকের আসনে থাকা মেহেদী হাসান আহত হয়েছেন। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য একটি বিভাগের ছাত্র।