বাড়ির ছাদে বেদানা চাষ করে আলোচনায় ব্যাংক কর্মকর্তা আহমুদুর
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময় : ০৬:১৪:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩
- / ৫৯৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ
(Google News) ফিডটি
নিহাল খান :
ডালিমের উন্নত জাতই হলো আনার বা বেদানা। ডালিম খুবই আকর্ষণীয়, মিষ্টি,সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর একটি ফল।
বেদানা খেতে কার না ভালো লাগে ছোট থেকে বড় বেদনার প্রতি আকর্ষণ সব্বার। দানাদার এই ফলের বীজ মুখের মধ্যে দিলেই সুমিষ্ট রসে মন উতলা হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশের মাটি বেদানা চাষের জন্য উপযোগী বিধায় আমাদের দেশের বসতবাটির আঙ্গিনায় ডালিমের চাষ দেখা যায়। আনার বা ডালিমের অনেক ঔষধি গুণও রয়েছে। স্বাস্থ্যসম্মতভাবে অত্যন্ত বলবর্ধক এই ফল রুগীদের পথ্য হিসাবে আদর্শ। বাজারেও এর চাহিদা থাকায় এই ফলের বহুল পরিমাণে আমাদের দেশে চাষ করা সম্ভব।
তবে বাড়ির ছাদে এই ফলের চাষ নিয়ে অনেকেই ওয়াকিবহাল নন। সহজে, বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগে এই ফলের চাষ বাড়ির ছাদেও করে দেখিয়েছেন রাজশাহী সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার মোঃ আহমুদুর রহন সুজন। তিনি নগরীর শাহমখদুম থানাধীন কয়েরডাঁরা এলাকায় প্রায় ১৬শ’ বর্গফুট ছাদে গড়ে তুলেছেন ছাদ বাগান।
পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ১২শ’ জাতের বেদানার গাছ। এর মধ্যে মাহমুদুর রহমান সুজনের সংগ্রহে রয়েছে ৬০ প্রকার। অধিকাংশে গাছেই ঝুলতে দেখা গেছে টকটকে লাল বেদানা।
বাগানটিতে উল্লেখযোগ্য গাছগুলির মধ্যে রয়েছে ভাগুয়া, সুপার ভাগুয়া, মৃদুলা, আরক্তা, সোলাপুর লাল, অস্ট্রেলিয়ান, থাই, মেক্সিকান, পাকিস্তানি, পারফিয়াংকা, ইরানি, গুজরাটি, রোসাভায়া, এনজেল রেড, পেরূ কিং, সফট সীড, এভার সুইট।
দানাদার বেদানার রং, অতি রসালো এবং নরম বীজ এর কারণে বাজারে আমদানিকৃত বেদানার তুলনায় অনেকটা সুস্বাদু।
ইদানিং অনেকেই বাড়ির ছাদে ছাদ কৃষিতে মেতে উঠলেও রাজশাহীতে প্রথমবারের মত বিভিন্ন প্রকার বেদানার চারা রোপন করে আলোচনায় উঠে এসেছেন ওই ব্যাংক কর্মকর্তা।
এ ছাদ বাগানে গাছে গাছে বিদেশী বেদানা আনার দেখে পড়শীকেও তাক লাগিয়ে দিয়েছেন আহমুদুর রহমান সুজন। স্থানীয়দের কাছে তিনি আনার সম্রাট নামে পরিচিতি অর্জন করেছেন।